হাওর বার্তা ডেস্কঃ এ প্রসঙ্গে আমি বলব, কলকাতা থেকে যে ছবিটা বাংলাদেশে এসেছে, সেটা তিন সপ্তাহ আগে রিলিজ দেওয়া। আর বাংলাদেশ থেকে যে ছবিটা গেছে সেটা দশ বছর আগের ছবি। আসল কথা হল, ইন্ডিয়ার একটা ছবি বাংলাদেশে আনতেই হবে। এটা একটা চুক্তির মাধ্যমে হয়, যেখানে দুই দেশের ছবি আদান প্রদান করা হয়। এখন বাংলাদেশের যারা আছেন তারা যদি দেশপ্রেম না দেখান তাহলে তো সর্বনাশ হয়েই যাবে। কলকাতার ছবির মার্কেট এই দেশে তৈরি হবে। আর বাংলাদেশের ছবি ওদেশে অবহেলার শিকার হবে। কলকাতার ছবিটা ব্যবসা করবে, কারণ সেটা নতুন ছবি।
আমাদের সরকার মনে করবে, একটা ছবি পাঠিয়ে আরেকটা ছবি আনা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশের শিল্পীরা কলকাতায় তেমন পরিচিত নয়। আমার তা মনে হয় না। বাংলাদেশ অনেক দিন থেকে কাজ করছে। বাংলাদেশের শিল্পীরা কম-বেশি সবাই পরিচিত। এখন বুলগেরিয়ার ছবি আনা হলে সে ছবি কি আমাদের দেশে কেউ দেখবে ? তারপরেও বলা যায় যে, আমাদের কোনো চ্যানেল কলকাতায় চলে না। আর্টিস্টদেরকে ওরা চিনবে কি করে ? ও দেশের মার্কেটটা দখল করতে হলে ভালো ছবি পাঠাতে হবে। সে সব ছবি ভালো চলবে ওখানে। ছবির তো একটা ভাষা আছে। সে ভাষায় ভাল চলবে। যারা পাঠাচ্ছে তারা ভাল ছবি পাঠাচ্ছে না। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো রকমে একটা কম দামি ছবি পাঠিয়ে ওখান থেকে একটা ভালো ছবি নিয়ে আসা। সরকারকে দেখানো যে ছবি এক্সচেঞ্জ করা হয়েছে। যেটা পাঠালাম সেটা একটা পুরনো কমদামি ছবি। আর নিয়ে আসলাম বড় বাজেটের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। আমরা শুধু ব্যবসা দেখছি। আমাদের লাভটা দেখছি। আমাদের মাঝে কোনো দেশপ্রেম নেই। যারা সত্যিকার ভাবে ব্যবসা করতে চায় তাদের সাথে চুক্তি করতে হবে।
আর যারা ব্যবসার নামে বদমায়েশি করবে, তারা তো ছবি নিয়ে ফেলে রাখবে। অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা দেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীলনয়, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো সহমর্মিতা নেই, দায়বদ্ধতা নেই। দেশ বিক্রি হয়ে গেলেও তাদের কিছু আসে যায় না, আইনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে তারা ঠিক টাকা ইনকাম করার পলিসি বের করে। আইনের ছায়ায় থেকে তারা ব্যবসা চালাচ্ছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ভারতের দুষ্টু প্রকৃতির কিছু লোক। যারা সহযোগিতা করছে।
পরিচিতি : চলচ্চিত্র অভিনেতা, মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ