ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহিলা আওয়ামী লীগের ধন্যবাদ সভা শেষে হাতাহাতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৬৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ধন্যবাদ সভা শেষে ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্গত মোহাম্মদপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের মধ্যে হাতাহাতি ও চুলোচুলির ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্বাচনী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি গত ১৮ নভেম্বর নাগরিক কমিটির সমাবেশে সুন্দর সুশৃংখল পরিবেশে উপস্থিতির লক্ষ্যে এই ধন্যবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন এবং সভা পরিচালনা করেন মাহমুদা বেগম কৃক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহিলা আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, মোহাম্মদপুর থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংগঠনিক দ্বন্দ্বের জের ধরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উভয় নেত্রী একে অপরকে থাপ্পড় মারেন। এতে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে চুলোচুলি ও হাতাহাতির ঘটনা শুরু হয়। এরপর মহানগর উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

গত ১৩ মে ২০১৬ মহানগর মহিলা আ.লীগের (উত্তর) মোহাম্মদপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। তার আগে গত ২৩ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর টাউন হলে ঢাকা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের (উত্তর) অন্তর্গত বৃহত্তর মোহাম্মদপুর থানাকে দলের তিন সাংগঠনিক থানায় রূপান্তর করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এই তিন থানার কমিটি গঠন করা হয়। সম্মেলনে মোহাম্মদপুর থানার সভাপতি শাহিন আক্তার সাথী, সাধারণ সম্পাদক ফারজানা হোসেন কলি নির্বাচিত হন।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শাহিদা তারেক দীপ্তি হাওর বার্তাকে বলেন, ‘ঘটনা কিছু না, প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির মধ্যে একটু দ্বন্দ্ব থাকে। তেমন বড় কিছু ঘটনা না। সভাপতি একটা গ্রুপ মেইনটেন করে, সেক্রেটারি আরেকটা গ্রুপ মেইনটেন করে। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে ইচ্ছা করে উস্কানি দেওয়ায় ঝগড়া থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মিটিং শেষে এই ঘটনা ঘটে।

তিনি আরো বলেন, আমি ওই সময় কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলছিলাম। এমন সময় শুনলাম ওরা দুপক্ষ বাইরে গণ্ডগোল করছে। আমি দুই পক্ষকে ধমক দিয়েছি। এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এটা নিয়ে বসব। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও থাকবে। এটা না মিল না হওয়া পর্যন্ত এরকম রাস্তা-ঘাটে হতেই থাকবে। আমরা এটা মিউচুয়াল করে ফেলব। সংগঠনের বদনাম হয়, এমন কর্মকাণ্ড কেউ করুক আমরা চাই না। মোহাম্মদপুরের মেয়েদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মহিলা আওয়ামী লীগের ধন্যবাদ সভা শেষে হাতাহাতি

আপডেট টাইম : ০৪:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ধন্যবাদ সভা শেষে ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্গত মোহাম্মদপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের মধ্যে হাতাহাতি ও চুলোচুলির ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্বাচনী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি গত ১৮ নভেম্বর নাগরিক কমিটির সমাবেশে সুন্দর সুশৃংখল পরিবেশে উপস্থিতির লক্ষ্যে এই ধন্যবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন এবং সভা পরিচালনা করেন মাহমুদা বেগম কৃক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহিলা আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, মোহাম্মদপুর থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংগঠনিক দ্বন্দ্বের জের ধরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উভয় নেত্রী একে অপরকে থাপ্পড় মারেন। এতে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে চুলোচুলি ও হাতাহাতির ঘটনা শুরু হয়। এরপর মহানগর উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

গত ১৩ মে ২০১৬ মহানগর মহিলা আ.লীগের (উত্তর) মোহাম্মদপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। তার আগে গত ২৩ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর টাউন হলে ঢাকা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের (উত্তর) অন্তর্গত বৃহত্তর মোহাম্মদপুর থানাকে দলের তিন সাংগঠনিক থানায় রূপান্তর করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এই তিন থানার কমিটি গঠন করা হয়। সম্মেলনে মোহাম্মদপুর থানার সভাপতি শাহিন আক্তার সাথী, সাধারণ সম্পাদক ফারজানা হোসেন কলি নির্বাচিত হন।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শাহিদা তারেক দীপ্তি হাওর বার্তাকে বলেন, ‘ঘটনা কিছু না, প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির মধ্যে একটু দ্বন্দ্ব থাকে। তেমন বড় কিছু ঘটনা না। সভাপতি একটা গ্রুপ মেইনটেন করে, সেক্রেটারি আরেকটা গ্রুপ মেইনটেন করে। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে ইচ্ছা করে উস্কানি দেওয়ায় ঝগড়া থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মিটিং শেষে এই ঘটনা ঘটে।

তিনি আরো বলেন, আমি ওই সময় কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলছিলাম। এমন সময় শুনলাম ওরা দুপক্ষ বাইরে গণ্ডগোল করছে। আমি দুই পক্ষকে ধমক দিয়েছি। এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এটা নিয়ে বসব। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও থাকবে। এটা না মিল না হওয়া পর্যন্ত এরকম রাস্তা-ঘাটে হতেই থাকবে। আমরা এটা মিউচুয়াল করে ফেলব। সংগঠনের বদনাম হয়, এমন কর্মকাণ্ড কেউ করুক আমরা চাই না। মোহাম্মদপুরের মেয়েদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।