হাওর বার্তা ডেস্কঃ নারীরা ঘর ও ঘরের বাইরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পারিবারিক নির্যাতন চরমে উঠেছে। সচেতনার অভাবে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমেও আইনি সহায়তাও পাচ্ছে না নির্যাতিতরা।’
পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট আমরাই পারি আয়োজিত ‘ নির্যাতনের শিকার নারীদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় আইন সহায়তা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা (জিএসি) ও অক্সফামের সহযোগিতায় সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে বক্তারা বলেন, মাত্র ২৭টি জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস থাকলেও জনবলের অভাব রয়েছে। যথাযথ লোকবলের মাধ্যমে প্রতিটি জেলায় অফিস থাকলে নির্যাতিত নারীরা আইনি সহায়তা পেতেন।
আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সঞ্চালনা ও সভাপতিত্বে সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম, বিশেষ অতিথি প্রশিক্ষণ জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইন্সটিটিউশনের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া, পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার ও যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ-ঢাকা’র বিচারক মো. মাসুদ পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম বলেন, নারী নির্যাতন ও আইনি সহায়তা প্রধান একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। নির্যাতন প্রতিরোধ ও আইনি সহায়তা প্রদানে সমস্যাগুলো সুপারিশ আকারে সরকারের কাছে তুলে ধরতে হবে। লিগ্যাল এইড আরও শক্তিশালী করতে হবে। পারিবারিক সহিংসতা আদালত পযর্ন্ত যাতে না আসে সেজন্য স্থানীয়ভাবে লিগ্যাল এইড তথা এনজিও সংস্থার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারলে নির্যাতন কমে আসবে।
মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা নেয়ার সুযোগ থাকলেও শুধুমাত্র সচেতনার অভাবে নির্যাতিতরা সেই সুযোগটি নিতে পারছেন না। অনেক সময় কতিপয় অ্যাডভোকেটরাও নির্যাতিতদের লিগ্যাল এইড’র মাধ্যমে আইনি সহায়তা পাওয়া যাবে তা না জানিয়ে নিজেরাই মামলায় মুখ করেন।
বনজ কুমার মজুমদার বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তথা জনপ্রতিনিধি ও এনজিও কর্মী সমন্ময়ে মাঠ পর্যায় থেকে কাজ করলে নারীর প্রতি সহিংসতা কমে আসবে।
বিচারক মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, পারিবারিক নির্যাতন বন্ধে পরিবার থেকেই সর্ব প্রথম সচেতনতা বাড়াতে হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, নারীর প্রতি শ্রদ্ধা শেখাতে হবে ছোট বয়স থেকেই।
সভাপতির বক্তৃতায় অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, নারীরা আজ ঘরে বাইরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নির্যাতিতরা রাষ্ট্রীয় আইনি সহায়তা যথাযথ ভাবে পাচ্ছে না। দিন দিন পারিবারিক সহিংসতা নির্যাতন চরমে উঠছে। পারিবারিক সম্পত্তিতে নারী পুরুষ সমান ভাগ পাওয়ার কথা থাকলেও নারীরা তা পাচ্ছে না। এ সম্পত্তি ভাগ নিয়ে পুরুষরা নির্যাতন চালাচ্ছেন।