হাওর বার্তা ডেস্কঃ ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহের স্মরণে রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির ডাকা জনসভা হবে বলে নিশ্চিত দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি জানান, বেলা দুইটায় এই সমাবেশ শুরু হবে।
সমাবেশের অনুমতির পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ‘সমাবেশ হবে আমরা নিশ্চিত। তবে লিখিত অনুমতি পাইনি। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষে বলা হয়েছে তারা সমাবেশে সহযোগিতা করবেন।’
৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে বিএনপি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের এক পর্যায়ে বন্দী সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান এদিন মুক্তি হন। সেদিন সেনাবাহিনীর শত শত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার নিহত হন।
স্বাধীনতা উত্তর আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভুত হওয়া জাসদ সেদিন সৈনিক ও সাধারণ মানুষদেরকে নিয়ে বিপ্লবের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ চলে যায় জিয়াউর রহমানের হাতে এবং তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় চলে আসেন। আর কথিত বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তি জাসদ নেতা কর্নেল তাহেরের ফাঁসির ব্যবস্থা করেন।
আওয়ামী লীগ এই দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে এবং গত কয়েক বছর ধরে এই দিনে বিএনপিকে কোনো কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।
এবারও ৭ নভেম্বরের স্মরণে বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পায়নি বিএনপি। পরে শনিবার সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে নতুন আবেদন করা হয়। এই আবেদনের পরদিন আবার সমাবেশ পিছিয়ে বরিবার করা হয়। তবে এখনও বিএনপির আবেদনের বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ।
রিজভী বলেন, ‘সমাবেশের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন যৌথসভা করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাসাস, যুবদল, শ্রমিকদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মুক্তিযোদ্ধা দলসহ সব সংগঠন প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশকে নিখোঁজের দেশে পরিণত করেছে ক্ষমতাসীন সরকার। কে কখন গুম হবে নিখোঁজ হবে বলা যায় না। সম্প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিজার, হাজারিবাগ থানা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুল আজিজের সন্ধান মিলছে না। আসলে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই দায়বদ্ধতা নেই।’
নিম্ন আদালতকে রাজনৈতিক দলগুলোকে হয়রানির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এবং খালেদা জিয়াকে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ এর কর্মসূচি পালনকালে বাধা দেয়া হয়েছে জানিয়ে এরও নিন্দা জানান হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, মীর সরফত আলী সপু, মুনির হোসেন প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।