আবদুর রাজ্জাক প্রজন্মের খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশের প্রথম প্রজন্মের খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা আবদুর রাজ্জাক পৃথিবী ছেড়েছেন ২০০৫ সালে। মৃত্যুর এতদিন পরেও তিনি বিস্মৃত হননি। তাকে এখনও সমুজ্জ্বল করে রেখেছে তার সব সৃজনশীল কর্ম। তার সুযোগ্য ছেলে আসিফ আহমেদ একজন চিত্র সংগ্রাহক। বাবার রেখে যাওয়া চিত্রকর্মগুলো আগলে রেখেছেন তিনি। এসব চিত্রকর্ম এতদিন সাধারণের দেখার সুযোগ ছিল না। প্রদর্শনীর আয়োজনের মাধ্যমে সবার জন্য এ সুযোগ সৃষ্টি হলো।

আসিফ আহমেদের সংগ্রহে থাকা আবদুর রাজ্জাকের বিভিন্ন সময়ে আঁকা ১২০টি চিত্রকর্ম নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ধানমণ্ডির গ্যালারি চিত্রকে শুরু হয়েছে পক্ষকালব্যাপী প্রদর্শনী। এ ছাড়া রয়েছে কিছু স্টিল ও কাঠের ভাস্কর্য। প্রখ্যাত এই শিল্পীর প্রয়াণের পর তার পরিবারের সদস্যের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। অনেক অদেখা কাজের সমাহার রয়েছে প্রদর্শনীজুড়ে।

এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম ও শিল্পী অধ্যাপক রফিকুন নবী। সভাপতিত্ব করেন শিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীর। এ সময় গ্যালারির নির্বাহী পরিচালক মুনিরুজ্জামান ও আবদুর রাজ্জাকের পুত্র আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘প্রকৃত শিল্পীদের কখনও মৃত্যু হয় না। তারা তাদের রেখে যাওয়া সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে, চিত্রকর্মের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকেন। এ প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে আমরা শিল্পী আবদুর রাজ্জাককে নতুন করে আবিস্কার করব। তার চিত্রকর্মে দেশের মাটি, প্রকৃতি ও গ্রামীণ দৃশ্য ফুটে উঠেছে। তিনি সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিদেশের মোহ ত্যাগ করে দেশে ফিরে এসেছিলেন। ‘

রফিকুন নবী বলেন, ‘দেশে এ যাবৎকালে শ্রেষ্ঠ শিল্পী হিসেবে যারা নিজেদের অবস্থান প্রোথিত করেছেন তাদের অন্যতম হলেন আবদুর রাজ্জাক। এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে গ্যালারি চিত্রক শিল্পপ্রিয় মানুষকে সুযোগ করে দিল দেশের অন্যতম প্রধান শিল্পী আবদুর রাজ্জাকের শিল্পপাঠের।’

প্রদর্শনী উপলক্ষে একটি সুদৃশ্য ক্যাটালগ প্রকাশ করেছে গ্যালারি চিত্রক। তাতে ‘রাজ্জাক স্যার’ শিরোনামে রফিকুন নবী ও ‘আবদুর রাজ্জাক : বহুমাত্রিক’ শিরোনামে নিবন্ধ লিখেছেন মঈনুদ্দীন খালেদ। প্রদর্শনী চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর