হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপটা স্বরণীয় করে রাখতে চাইবে আর্জেন্টাই ফুটবলাররা। কারণ এ আসরই বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির শেষ বিশ্ব আসর। তবে এবারের আসরের টিকিট পেতে বেশ নাকানি চুবানি খেতে হয়েছে সাম্পাওলিদের।
বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। এমন খেলা দিয়ে বিশ্বকাপে বেশি এগোনো যাবে না। এত তারকার পরও দলটা এমন ভঙ্গুর কেন, এই অপ্রীতিকর প্রশ্নের উত্তর মিলিয়ে দিতে এবার মিশনে নামছেন আর্জেন্টিনা কোচ। যত বেশি সম্ভব প্রীতি ম্যাচ খেলাতে চান তিনি।
বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের আগে মেসি, দিবালা, আগুয়েরোদের ঝালিয়ে নিতে চাইছেন সাম্পাওলি। এরই মধ্যে দলও ঘোষণা করেছেন। আবারও দলে জায়গা হয়নি গঞ্জালো হিগুয়েইনের। ফিরেছেন সার্জিও আগুয়েরো, মাতিয়াস ক্রানেভিতার ও ডিয়েগো পেরোত্তি।
সাম্পাওলি একটা বার্তা হয়তো দিয়ে রাখলেন। আগামী ৪ মাসে দুর্দান্ত কিছু না করলে আর্জেন্টিনা দলে হিগুয়েইন অতীত বলেই বিবেচিত হবেন, ‘হিগুয়েইনের ব্যাপারটা আমাদের মাথায় আছে। ওকে এখনই বাজিয়ে দেখতে চাই না। সে বিশ্বকাপে যাবে কি না, তা আমাদের ওপরই।’
সাম্পাওলির নাম্বার নাইন হিগুয়েইন যে নন, সেটিও পরিষ্কার করে দিয়েছেন পরের কথায়, ‘লিওকে খেলানোর সময় মাঠে সংযোগ ঘটানোর কাজে আগুয়েরো কাজে আসবে। আমরা তাকে নাম্বার নাইন হিসেবে বিবেচনা করছি। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকারদের মধ্য থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে।’
সাম্পাওলির ভবিষ্যৎ মেসি-দিবালা জুটিতে। যদিও একই ধরন আর পজিশনের খেলোয়াড় বলে দুজনকে একসঙ্গে খেলানো সম্ভব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে অনেকের। দুজন খেলেছেন এমন ম্যাচেও আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি।
যদিও সাম্পাওলি মনে করেন, ‘খেলোয়াড়দের দলে একই ছন্দে খেলানোর কাজটা কোচের। মেসি এবং দিবালা একে অন্যের সঙ্গে খেলাটা খুব কঠিন বলে আমি বিশ্বাস করি না।’
রাশিয়ার বিপক্ষে রাশিয়ার মাঠে খেলা আর্জেন্টিনার জন্য দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হবে। নাইজেরিয়া ম্যাচটিও কাজে আসবে মেসিদের, ‘তারা (নাইজেরিয়া) খুবই শরীরনির্ভর দল। কৌশলগত দিক দিয়ে দারুণ। বাছাইপর্বে এ রকম কোনো দলের সঙ্গে আমরা খেলিনি। তারা আফ্রিকার অন্যতম সেরা দল। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করছি।