ঢাকা ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাধা পার হয়ে গেলে কাজ করতে চাই বুবলি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৮৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এ সময়ের আলোচিত জুটি শাকিব ও বুবলি। এই জুটি অভিনীত চারটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। যত দ্রুত এ জুটি বড়পর্দায় এসেছে, ঠিক তত দ্রুতই আলোচনা-সমালোচনার স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছে। গায়ে জড়িয়েছে তর্ক-বিতর্কের চাদর। নতুন ছবির শুটিং শুরু করেছেন শাকিব-বুবলি। ছবির নাম ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়্যা’। গত ৬ অক্টোবর থেকে ছবির শুটিং শুরু হয়। ছবিটি ও মিডিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে বুবলির সঙ্গে কথা বলেছেন  তুহিন খান নিহাল

‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়্যা’ ছবিটি সম্পর্কে কিছু বলুন-

ছবিটির কিছুদিন টানা শুটিং করেছি। এখন বন্ধ রয়েছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই আবার কাজ শুরু হবে। নামেই বুঝতে পারছেন ছবিটি মজার। আশা করছি ভালো কিছু হবে।

এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য কি আলাদা কোনো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?

আমার সব ছবিতেই প্রস্তুতির একটি বিষয় থাকে। আমি আমার সব ছবির চরিত্রই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করি। এই ছবিও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এই ছবির জন্য আলাদা একটা প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল। কারণ, আমাকে নোয়াখালীর ভাষা শিখতে হয়েছে। চরিত্রটিও চ্যালেঞ্জিং।

আপনার বাড়ি তো নোয়াখালীতে..

আমার বাবা-মা দুজনের বাড়িই নোয়াখালী। কিন্তু আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতে হওয়ায় নোয়াখালীর ভাষায় কথা বলা হয়ে ওঠেনি। যে কারণে ভাষাটা আমার রপ্ত ছিল না।

ভাষা শিখতে গিয়ে কোনো বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন?

না, তেমন কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি। আমার ফ্যামিলির সবাই থাকেন ঢাকায়। তাই কেউই নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন না। কিন্তু আমার অনেক আত্মীয় আছেন, যারা গ্রামে থাকেন। তাদের সহযোগিতা নিয়েছি নোয়াখালীর ভাষায় কথা বলার জন্য। এ ছাড়া নোয়াখালীর ভাষায় নির্মিত নাটকগুলোও দেখেছি।

আগের অভিনীত ছবিগুলোর তুলনায় এখানে নতুন চমক থাকবে কি?

চমক তো অবশ্যই থাকবে। এখানে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষার পাশাপাশি চট্টগ্রামের ভাষাও থাকবে। আমি মনে করি, দর্শক হলে গিয়েই চমকটা দেখুক। আর ছবির নাম দেখে যেমনটি মনে করা হচ্ছে, ছবিতেও ঠিক সে পরিমাণ চমক থাকবে।

শাকিব খানের সঙ্গে কাজের রসায়নটা কেমন ছিল?

আমি বলব, শাকিব ভাই আমাদের দেশের গুণী একজন অভিনয়শিল্পী, যা আমরা সবাই জানি। শুধু আমাদের দেশে নয়, দেশের বাইরেও তিনি অনেক ভালো কাজ করছেন। বলতে গেলে শাকিব খান এ দেশের গর্ব। তার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার অনেক ভালো। কারণ তার কাছে অনেক কিছু শেখার আছে। যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছি ভালো করলে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে, আর খারাপ করলে ভালো করতে হবে এমনভাবে উৎসাহিত করছেন।

শাকিব খান ছাড়া আর কোনো নায়কের সঙ্গে কাজ করবেন না?

আমার কাছে যখন কাজের অফার আসে আমি প্রথমত দেখি গল্পটা কেমন, ডিরেকশন কে দিচ্ছেন। যখন দেখি সবকিছু মিলে যায়, তখনই আমি আগ্রহী হই। আমি সব শিল্পীর সঙ্গেই কাজ করতে চাই। যদি ব্যাটে-বলে মিলে যায়, অবশ্যই অন্য নায়কদের সঙ্গেও কাজ করব।

‘চলচ্চিত্র ফোরাম’ নিয়ে আপনার অভিমত কী?

আমি মনে করি, চলচ্চিত্রে আমরা সব শিল্পীই সবার। প্রত্যেক শিল্পীই প্রত্যেকের জন্য। সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছি। আর চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্যই সবাই কাজ করি। ‘চলচ্চিত্র ফোরাম’ চলচ্চিত্র পরিবারের মতোই একটি সংগঠন। চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট যে কেউ চাইলে এ সংগঠনের সঙ্গে থাকতে পারেন। আর আমরা যারা চলচ্চিত্র ফোরামে আছি, তারা কিন্তু চলচ্চিত্র পরিবারেও আছি। আমাদের সবার একটিই লক্ষ্য-বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়ন।

চলচ্চিত্রে কাকে অনুসরণ করেন?

অনেকেই আছেন। কারণ একেক জনের একেক দিক আমার ভালো লাগে। আমি কার নাম রেখে কার নাম বলব ঠিক করতে পারছি না।

চলচ্চিত্র নিয়ে নানা বিষয়ে বিতর্ক জমে ওঠে। এ সম্পর্কে কিছু বলুন-

যেকোনো ইন্ডাস্ট্রির কথা বলি না কেন, সবখানেই গুজব ও সমলোচনা হয়েই থাকে। আমরাও তার বাইরে নই। আমাদের নিয়ে মানুষ অনেক কিছু চিন্তা করে। অনেক কিছু ভাবে। একটি ভালো কাজ করতে গেলে শুধু চলচ্চিত্রে নয়, যেকোনো সেক্টরেই ভালো কাজ করতে গেলে অনেক বাধা আসে। সেগুলো মোকাবিলা করেই ভালো কিছু করতে হয়। আর এ ক্ষেত্রে আমি বলব সব বাধা পার হয়েই আমি দর্শকদের জন্য কাজ করতে চাই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বাধা পার হয়ে গেলে কাজ করতে চাই বুবলি

আপডেট টাইম : ০৫:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এ সময়ের আলোচিত জুটি শাকিব ও বুবলি। এই জুটি অভিনীত চারটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। যত দ্রুত এ জুটি বড়পর্দায় এসেছে, ঠিক তত দ্রুতই আলোচনা-সমালোচনার স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছে। গায়ে জড়িয়েছে তর্ক-বিতর্কের চাদর। নতুন ছবির শুটিং শুরু করেছেন শাকিব-বুবলি। ছবির নাম ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়্যা’। গত ৬ অক্টোবর থেকে ছবির শুটিং শুরু হয়। ছবিটি ও মিডিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে বুবলির সঙ্গে কথা বলেছেন  তুহিন খান নিহাল

‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়্যা’ ছবিটি সম্পর্কে কিছু বলুন-

ছবিটির কিছুদিন টানা শুটিং করেছি। এখন বন্ধ রয়েছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই আবার কাজ শুরু হবে। নামেই বুঝতে পারছেন ছবিটি মজার। আশা করছি ভালো কিছু হবে।

এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য কি আলাদা কোনো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?

আমার সব ছবিতেই প্রস্তুতির একটি বিষয় থাকে। আমি আমার সব ছবির চরিত্রই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করি। এই ছবিও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এই ছবির জন্য আলাদা একটা প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল। কারণ, আমাকে নোয়াখালীর ভাষা শিখতে হয়েছে। চরিত্রটিও চ্যালেঞ্জিং।

আপনার বাড়ি তো নোয়াখালীতে..

আমার বাবা-মা দুজনের বাড়িই নোয়াখালী। কিন্তু আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতে হওয়ায় নোয়াখালীর ভাষায় কথা বলা হয়ে ওঠেনি। যে কারণে ভাষাটা আমার রপ্ত ছিল না।

ভাষা শিখতে গিয়ে কোনো বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন?

না, তেমন কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি। আমার ফ্যামিলির সবাই থাকেন ঢাকায়। তাই কেউই নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন না। কিন্তু আমার অনেক আত্মীয় আছেন, যারা গ্রামে থাকেন। তাদের সহযোগিতা নিয়েছি নোয়াখালীর ভাষায় কথা বলার জন্য। এ ছাড়া নোয়াখালীর ভাষায় নির্মিত নাটকগুলোও দেখেছি।

আগের অভিনীত ছবিগুলোর তুলনায় এখানে নতুন চমক থাকবে কি?

চমক তো অবশ্যই থাকবে। এখানে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষার পাশাপাশি চট্টগ্রামের ভাষাও থাকবে। আমি মনে করি, দর্শক হলে গিয়েই চমকটা দেখুক। আর ছবির নাম দেখে যেমনটি মনে করা হচ্ছে, ছবিতেও ঠিক সে পরিমাণ চমক থাকবে।

শাকিব খানের সঙ্গে কাজের রসায়নটা কেমন ছিল?

আমি বলব, শাকিব ভাই আমাদের দেশের গুণী একজন অভিনয়শিল্পী, যা আমরা সবাই জানি। শুধু আমাদের দেশে নয়, দেশের বাইরেও তিনি অনেক ভালো কাজ করছেন। বলতে গেলে শাকিব খান এ দেশের গর্ব। তার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার অনেক ভালো। কারণ তার কাছে অনেক কিছু শেখার আছে। যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছি ভালো করলে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে, আর খারাপ করলে ভালো করতে হবে এমনভাবে উৎসাহিত করছেন।

শাকিব খান ছাড়া আর কোনো নায়কের সঙ্গে কাজ করবেন না?

আমার কাছে যখন কাজের অফার আসে আমি প্রথমত দেখি গল্পটা কেমন, ডিরেকশন কে দিচ্ছেন। যখন দেখি সবকিছু মিলে যায়, তখনই আমি আগ্রহী হই। আমি সব শিল্পীর সঙ্গেই কাজ করতে চাই। যদি ব্যাটে-বলে মিলে যায়, অবশ্যই অন্য নায়কদের সঙ্গেও কাজ করব।

‘চলচ্চিত্র ফোরাম’ নিয়ে আপনার অভিমত কী?

আমি মনে করি, চলচ্চিত্রে আমরা সব শিল্পীই সবার। প্রত্যেক শিল্পীই প্রত্যেকের জন্য। সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছি। আর চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্যই সবাই কাজ করি। ‘চলচ্চিত্র ফোরাম’ চলচ্চিত্র পরিবারের মতোই একটি সংগঠন। চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট যে কেউ চাইলে এ সংগঠনের সঙ্গে থাকতে পারেন। আর আমরা যারা চলচ্চিত্র ফোরামে আছি, তারা কিন্তু চলচ্চিত্র পরিবারেও আছি। আমাদের সবার একটিই লক্ষ্য-বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়ন।

চলচ্চিত্রে কাকে অনুসরণ করেন?

অনেকেই আছেন। কারণ একেক জনের একেক দিক আমার ভালো লাগে। আমি কার নাম রেখে কার নাম বলব ঠিক করতে পারছি না।

চলচ্চিত্র নিয়ে নানা বিষয়ে বিতর্ক জমে ওঠে। এ সম্পর্কে কিছু বলুন-

যেকোনো ইন্ডাস্ট্রির কথা বলি না কেন, সবখানেই গুজব ও সমলোচনা হয়েই থাকে। আমরাও তার বাইরে নই। আমাদের নিয়ে মানুষ অনেক কিছু চিন্তা করে। অনেক কিছু ভাবে। একটি ভালো কাজ করতে গেলে শুধু চলচ্চিত্রে নয়, যেকোনো সেক্টরেই ভালো কাজ করতে গেলে অনেক বাধা আসে। সেগুলো মোকাবিলা করেই ভালো কিছু করতে হয়। আর এ ক্ষেত্রে আমি বলব সব বাধা পার হয়েই আমি দর্শকদের জন্য কাজ করতে চাই।