জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বাইরেও তদন্ত সম্ভব

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা ১১টি অভিযোগের দ্রুত প্রাথমিক আইনি সুরাহা এখন বিচার বিভাগের এখতিয়ারের বিষয়। দুদক এই পর্যায়ে অনুসন্ধানের অধিকার রাখে না। কারণ, ১৮৫০ সালের জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্ট এতে বাধা দেবে। একটিমাত্র ধারাসংবলিত এই আইন বলছে, কর্মরত বিচারকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনো মামলা চলবে না। এই প্রশ্নে ভারতের তৎকালীন আইনমন্ত্রী এইচ আর ভরদ্বাজ বলেছিলেন, কর্মরত বিচারকের বিরুদ্ধে সিবিআই বা পুলিশের তদন্তের অধিকার নেই। এমনকি প্রধান বিচারপতিরও এ রকম কোনো তদন্তের জন্য কোনো মামলা গ্রহণের ক্ষমতা নেই। তদন্ত চাইলে সংবিধান নির্দেশিত পথে যেতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্যই এই রক্ষাকবচ, আর সরকার সেটা অনুসরণে সংকল্পবদ্ধ। (ইন্ডিয়া টুডে, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯)।
আমরা ১৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের তরফে যে বিবৃতি পেলাম তা বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। বিবৃতির কিছু অংশ আমাদের বিস্মিত করেছে। এত দিনের একটি ধারণা ছিল, কোনো কর্মরত বিচারকের দুর্নীতির অভিযোগ সত্য হলেও তা প্রকাশে গণমাধ্যমকে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। কারণ, বিচার বিভাগ একটি প্রতিষ্ঠান, তাকে কোনোভাবেই আহত করা যাবে না। বিচারকদের দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য প্রকাশে ‘ট্রুথ ইজ নো ডিফেন্স’ বলেও একটি মত চালু আছে।
তবে যে ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারকেরা (সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে নন) তাঁদেরই কারও বিষয়ে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ পাবেন, তখন কী করণীয়, সেই বিষয়ে ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে একটি সর্বসম্মত বিধান তৈরি করা হয়েছে। বিচার বিভাগের পক্ষে এটা কার্যকর করতে রাষ্ট্রপতি বা নির্বাহী বিভাগ কী ভাবল আর কী ভাবল না, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আছে কি নেই, তার কোনো সম্পর্ক নেই। তাই প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ যা উঠেছে, সে বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানের নৈতিক, সাংবিধানিক ও আইনি দায় বিচার বিভাগের।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনের মিডিয়া বিবৃতি ও সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতি জনগণের জানার প্রত্যাশা পূরণ করেনি। বরং কিছু ক্ষেত্রে তাদের হতাশ করেছে বলেই মনে হয়। প্রধান বিচারপতির নিজের মুখে ‘সম্পূর্ণ সুস্থ’ থাকার তথ্য নিশ্চয় গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার থেকেও আমরা বেশি অপেক্ষমাণ ছিলাম এবং এখনো আছি এটা জানতে যে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দিষ্ট বক্তব্য কী? এই মাসের গোড়ায় ফিলিপাইনের প্রধান বিচারপতির দুর্নীতি তদন্তে সংসদে সিদ্ধান্ত পাস হলো। লুকোছাপা নয়, প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে প্রধান বিচারপতিকে দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করতে বললেন। কিন্তু ফিলিপিনো প্রধান বিচারপতি কালবিলম্ব না করে তাঁর বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বলেছেন, এর কোনো ভিত্তি নেই।
আমাদের এখানে অভিযোগ নিয়ে শুধু হইচই হচ্ছে। কিন্তু এর প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া না হলে মানুষ প্রকৃত সত্য জানা থেকে বঞ্চিত থেকে যাবে। সে ধরনের কিছু হওয়ার আশঙ্কাই বেশি বলে মনে হচ্ছে।
১৭ অক্টোবরের পত্রিকাগুলো বলেছে, ফুলকোর্ট অবহিত হয়েছেন যে প্রধান বিচারপতির ‘বিভ্রান্তিকর’ লিখিত বিবৃতির কারণেই সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতি এসেছে। অভিযোগের তথ্য যেকোনো সূত্রেই রাষ্ট্রপতি বা আপিল বিভাগ পেতে পারেন। সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু একটি টিভি চ্যানেলে বলেছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, তাই প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে তিনি অন্যদের ডেকেছেন। এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। রাষ্ট্রপতি যখনই যে সূত্রে তথ্য পাবেন, তাঁর কাজ হলো সুপ্রিম কোর্টকে তা প্রতিষ্ঠিত বিচারিক রীতিনীতিমতে অবহিত করা। প্রধান বিচারপতি বা কর্মরত বিচারকদের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের দলিল হস্তান্তরে বিচারকদের ডেকে নেওয়ার রেওয়াজ নেই। এই ডাক ও তাতে সাড়া দেওয়া অভিযোগ সুরাহার বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠিত ও কালোত্তীর্ণ বিচার বিভাগীয় রীতিনীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
তবে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের যে জোরালো ভিত্তি থাকতে পারে সেটা আমরা মানব। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান আপিল বিভাগ তেমনটাই মনে করেন। এখন বড় প্রশ্ন হলো এর প্রাথমিক অনুসন্ধান কী প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে? সংবিধান ও আইন কী বলে? এটা কি দুদকের বিষয়?
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তদন্তের কথা বলেছেন। কাউন্সিলের অস্তিত্ব সরকার না মানতে পারে, কিন্তু সংবিধানমতে সেটাই আদালতের জন্য বাধ্যকর। তবে রাষ্ট্রপতি না চাইলে পুনরুজ্জীবিত কাউন্সিল তদন্ত শুরু করতে পারে না। সুতরাং সুপ্রিম কোর্ট চাইলেও কারও আচরণের তদন্তে কাউন্সিল পরিচয়ে তাঁর বসার সুযোগ নেই। তবে ষোড়শ সংশোধনীর রায়মতে জ্যেষ্ঠ বিচারপতিরা একটি কমিটি হিসেবে স্বাধীনভাবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে বসতে পারেন।
কাউন্সিল যখন কমিটি পরিচয়ে তদন্তে বসবে, তখন সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমোদনের কোনো দরকার নেই। এই স্বায়ত্তশাসন, এই স্বাধীনতা সর্বোচ্চ আদালত ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের মাধ্যমে সর্বসম্মতভাবে নিশ্চিত করেছেন। সরকার বা দুদকের মুখাপেক্ষী না থেকে রায় বাস্তবায়ন করাই এখন সুপ্রিম কোর্টের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আছে কি নেই সেই বিতর্ক এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ রাষ্ট্রপতি না চাইলে কাউন্সিল তদন্ত শুরু করতে পারবেন না। কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন, তাহলে রায়ের পরে সরকারের অমতে কাউন্সিল কী করে বসেছিল? এর উত্তর হলো তারা কারও বিষয়ে তদন্তে স্বাধীন না হলেও আচরণবিধি তৈরিতে স্বাধীন। সেই ক্ষমতা তাদের সংবিধান সরাসরি ন্যস্ত করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে আমরা প্রথম একটি অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা কমিটি ব্যবস্থা পেয়েছি। ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের রেওয়াজমতে আমরা একে বলি পিয়ার রিভিউ কমিটি। পিয়ার মানে হলো স্তর, মেধা ও গুণপনায় সমকক্ষ, এর সঙ্গে কমিটি জুড়ে দিলে দাঁড়ায় সমকক্ষদের কমিটি। এই পিয়ার কমিটি থাকতে দুদকের কোনো এখতিয়ার থাকার কথা নয় কোনো কর্মরত বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার। যদিও দুদক অনুসন্ধান বা তদন্ত কোনোটিই শুরু করেছে বলে জানা যায় না। সর্বোচ্চ আদালত সংবিধানমতে কোর্ট অব রেকর্ড। আমরা সর্বোচ্চ আদালতের আঙিনায় এমন কোনো অকাট্য সাক্ষ্য–প্রমাণের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারি না, যা ওই কোর্ট অব রেকর্ডের কাছে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি। আইনের শাসন যুদ্ধাবস্থায়ও যথাযথ প্রক্রিয়া (ডিউ প্রসেস) অনুসরণের শর্ত শিথিল করে না।
দেশে সর্বোচ্চ আদালত প্রণীত পিয়ার কমিটি কার্যকর আছে। কোনো বিচারক বা সাংবিধানিক পদধারীর বিরুদ্ধে ওই ১১টির মতো কোনো অভিযোগ, তা হোক না যতই ‘গুরুতর’, সেটা উঠলেই সুপ্রিম কোর্ট পিয়ার কমিটি সরকারের দিকে একদম না তাকিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানে বসবে। এবং দ্রুততার সঙ্গে তার ফলাফল রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবে। সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদের কথা হলো, রায় মানতে সব বিচারক ও বিচারপতি বাধ্য। সে অনুযায়ী আমাদের আদালত নিজেরই তৈরি করা অভিযোগের অনুসন্ধান প্রক্রিয়া অনুসরণ করছেন কি করছেন না তা দেখতে আমরা উদ্গ্রীব থাকব। জাতিসংঘ ও তার ছত্রচ্ছায়ায় বিচারকদের অসদাচরণ খতিয়ে দেখতে এ পর্যন্ত অনেক আন্তর্জাতিক আইনি হাতিয়ার তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর অনেকগুলোর পক্ষ। সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতিতে আমরা অভিযোগ শ্রবণ, দলিলপত্র গ্রহণ ও পদক্ষেপ নেওয়া–সংক্রান্ত যে প্রক্রিয়া অনুসরণের বিবরণ এ পর্যন্ত পেয়েছি, তার সঙ্গে ওই সর্বজনীন বিধানাবলির মিল পাই না।
আইন ও বিচারমন্ত্রী আনিসুল হকের মতে, সংসদীয় অপসারণ বা কাউন্সিল কোনোটিই বহাল না থাকায় ব্যবস্থা গ্রহণে একটা শূন্যতা চলছে। আমরা বিনয়ের সঙ্গে তাঁর সঙ্গে দ্বিমত করব। কারণ, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ কী প্রক্রিয়ায় সুরাহা হবে, তা তো প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাই স্থির করেছেন। হাকিম নড়েছে, তাই বলে হুকুম নড়বে কেন? বরং সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতিমতে ‘সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত একসঙ্গে না বসার’ সিদ্ধান্তের একটা পরোক্ষ যুক্তি আমরা দেখি। কারণ, প্রধান বিচারপতি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে নিজেই বিধান দিয়েছিলেন যে কখনো প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তিনি আপনাআপনি গঠিত পিয়ার কমিটিতে বসবেন না। তাঁর এই অবস্থানকে এজলাসেও একত্রে না বসার পক্ষে একটি যুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা চলে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো এ ক্ষেত্রে কেউ আপিল বিভাগের উদ্ভাবিত পিয়ার কমিটির অস্তিত্ব ও তাকে মেনে চলার বাধ্যবাধকতা মনে রেখেছেন কি না? সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রতিবাদ সভায়, পত্রপত্রিকা-টিভি টক শো—কোথাও এর উল্লেখ দেখি না। চারদিকের রায়-রাজনীতির ঝাঁজটাই চোখ ঝলসে দিচ্ছে। শুধু সরকার কখন কী করল আর করল না, শুধু তাকেই অনেকে একতরফা দোষারোপ করছেন। বিচার বিভাগের যথা করণীয় (ডিউ প্রসেস) কে নিশ্চিত করবে? এটা প্রতিপালন না করার দায় কেন সরকারের ওপর পড়বে?
রায়ের ‘পর্যবেক্ষণ’ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে, কিন্তু আচরণবিধি নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি। সাত বিচারপতিই দুটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছান। ষোড়শ সংশোধনীকে বাতিল করা ও আচরণবিধি তৈরি করা। আইনমন্ত্রী আচরণবিধির প্রশংসাও করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো আচরণবিধি আমরা পেলাম। আগে কখনো বলা ছিল না যে আচরণবিধির লঙ্ঘন হলে কী শাস্তি পেতে হবে। এবারের আচরণবিধিতে তা নির্দিষ্ট করে বলা আছে।’ তাহলে এখন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুরাহা ও প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রক্রিয়া আমরা কেন আচরণবিধিমতে চাইব না। আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে ‘এটা দিবালোকের মতো সত্য যে রায়ের প্রতি সরকার শ্রদ্ধাশীল’, সেই উক্তি থেকে আইনমন্ত্রী সরে আসেননি।
রিভিউতে রায় সংশোধন হতে পারে, কিন্তু তাই বলে আচরণবিধি কখনো অকার্যকর বা বাতিল হওয়ার নয়। কারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে এর নাড়ির সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও ভারতে সংসদীয় অপসারণ পদ্ধতি থাকলেও তারা প্রত্যেকে পিয়ার কমিটি চালু রেখেছে। ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে পাওয়া ৩৯ বিধিবিশিষ্ট আচরণবিধি আদালতের তৈরি করা একটি পূর্ণাঙ্গ কার্যকর আইন।
ওই আচরণবিধি একটি প্রাথমিক অনুসন্ধান কমিটি ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর করে দিয়েছে। অভিযুক্ত বা অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে অনিচ্ছুক বিচারক যখন যাঁরাই গণ্য হবেন, তাঁরা আপনাআপনি কমিটিতে বাদ যাবেন। এরপর জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুযায়ী তিনজনের প্রাথমিক তদন্ত কমিটি হবে। তারা অভিযুক্ত বিচারকের কাছে লিখিত উত্তর চাইবেন। অভিযুক্ত বিচারক সম্মতি না দিলে এ-সংক্রান্ত শুনানি ও অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার গোপনীয়তা বজায় থাকবে। এটাও বলা আছে, ‘এই প্রক্রিয়া অনুসরণে প্রতিষ্ঠিত বিচারিক রীতিনীতি অনুসরণ এবং তা দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে।’ কেউ কখনো ‘পদত্যাগ’ করার কথা বলে ‘ছুটি’ নিলে বা ‘বিভ্রান্তিকর’ বিবৃতি দিলে আচরণবিধি শূন্যতায় মিলিয়ে যাওয়ার কথা নয়। বরং প্রাথমিক অনুসন্ধান হতে না দেওয়া হবে একটি গুরুতর অসদাচরণ। ৩৯ বিধির তরজমা করলে দাঁড়ায়, ‘উল্লিখিত বিধিবিধান (১ থেকে ৩৮) ও নৈতিক মূল্যবোধসমূহ কোনো বিচারক যদি অনুসরণে ব্যর্থ হন, তাহলে তা গুরুতর অসদাচরণ বলে গণ্য হবে।’
আমরা উল্লিখিত আচরণবিধি অনুসরণ হয় কি না তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

প্রথম আলো

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর