ঢাকা ০২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাটির তৈরি সবচেয়ে বড় মসজিদ! (ভিডিও)

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৫৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলে “ডিজেনি” শহরে এই মসজিদটির অবস্থান। নাম “গ্র্যান্ড মস্ক অব ডিজেনি”। পৃথিবীতে মাটির তৈরী এটিই সবচেয়ে বড় মসজিদ।

মসজিদটি প্রথম কবে নির্মাণ করা হয়েছিল সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে ১২০০ শতাব্দী থেকে ১৩০০ শতাব্দীর মধ্যবর্তী মসজিদটি নির্মাণের পক্ষে অধিকাংশ মতের সমর্থন পাওয়া যায়।

মধ্যযুগে আফ্রিকার এই অঞ্চলে গুরুত্ব পূর্ণ ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের প্রধান কেন্দ্র ছিল এই মসজিদটি। হাজার হাজার শিক্ষার্থী তখন কুরআন শিক্ষার জন্য এই মসজিদে আসা যাওয়া করত।

প্রতি বছর স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্যোগে মসজিদটির সংস্কার কাজ চলে। ২০০৬ সালের ২০ জানুয়ারী মসজিদের ছাদের একটি অংশ এবং ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর এর দক্ষিণ দিকের টাওয়ার এর একটি অংশ ধ্বসে পড়লে “দি আগা খান ট্রাষ্ট কালচার” নিজস্ব খরচে এটির সংস্কার করে।

১৯৮৮ সালে ইউনেস্কো এই মসজিদটি সহ এর চারপাশের ঐতিহাসিক স্থান সমূহকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তালিকা ভূক্ত করে। অসাধারণ গঠনশৈলীর কারণে মসজিদটি শুধু সাধারণ দর্শনার্থীদেরই নয়, স্থাপত্যশিল্পীদেরও নজর কাড়ে।

মসজিদটির ওপরিভাগের মাটির ছাদ রক্ষার কোনো বিশেষ ব্যবস্থা নেই। এতে এমনভাবে মাটির প্রলেপ দেওয়া আছে যে, প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতেও ওই ছাদের কোনো ক্ষতি হয় না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মাটির তৈরি সবচেয়ে বড় মসজিদ! (ভিডিও)

আপডেট টাইম : ০৬:১১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলে “ডিজেনি” শহরে এই মসজিদটির অবস্থান। নাম “গ্র্যান্ড মস্ক অব ডিজেনি”। পৃথিবীতে মাটির তৈরী এটিই সবচেয়ে বড় মসজিদ।

মসজিদটি প্রথম কবে নির্মাণ করা হয়েছিল সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে ১২০০ শতাব্দী থেকে ১৩০০ শতাব্দীর মধ্যবর্তী মসজিদটি নির্মাণের পক্ষে অধিকাংশ মতের সমর্থন পাওয়া যায়।

মধ্যযুগে আফ্রিকার এই অঞ্চলে গুরুত্ব পূর্ণ ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের প্রধান কেন্দ্র ছিল এই মসজিদটি। হাজার হাজার শিক্ষার্থী তখন কুরআন শিক্ষার জন্য এই মসজিদে আসা যাওয়া করত।

প্রতি বছর স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্যোগে মসজিদটির সংস্কার কাজ চলে। ২০০৬ সালের ২০ জানুয়ারী মসজিদের ছাদের একটি অংশ এবং ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর এর দক্ষিণ দিকের টাওয়ার এর একটি অংশ ধ্বসে পড়লে “দি আগা খান ট্রাষ্ট কালচার” নিজস্ব খরচে এটির সংস্কার করে।

১৯৮৮ সালে ইউনেস্কো এই মসজিদটি সহ এর চারপাশের ঐতিহাসিক স্থান সমূহকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তালিকা ভূক্ত করে। অসাধারণ গঠনশৈলীর কারণে মসজিদটি শুধু সাধারণ দর্শনার্থীদেরই নয়, স্থাপত্যশিল্পীদেরও নজর কাড়ে।

মসজিদটির ওপরিভাগের মাটির ছাদ রক্ষার কোনো বিশেষ ব্যবস্থা নেই। এতে এমনভাবে মাটির প্রলেপ দেওয়া আছে যে, প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতেও ওই ছাদের কোনো ক্ষতি হয় না।