ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিনি কম খেলে কি হতে পারে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০১৭
  • ৪১৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চা হোক কী চিকেনের ঝোল, কোনও কিচুতেই চিনি মেশানো উচিত নয়। কিন্তু স্বাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে আমরা প্যাকেটের পর প্যাকেট চিনি ফাঁকা করে চলেছি।

ফলে জিবে আনন্দে থাকলেও কিডনি, হার্টসহ শরীরের বাকি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো যে প্রতিনিয়ত মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ফলে ঘরির কাঁটা যত এগচ্ছে, তত শরীরের বারোটা বেজে যাচ্ছে। তাই তো চিনি খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা।

মিষ্ট বাদ দিলে তো জীবনের স্বাদটাই ফিকে হয়ে যাবে। তাই চিনিকে বাদ দিয়ে কি আদৌ বাঁচা সম্ভব? একেবারে ঠিক বলেছেন, যে চিনি ছাড়া কোনও পদেই স্বাদ থাকবে না। কিন্তু একথা বলতে পারি যে চিনিকে ছাড়লে স্বাদকে হারাবেন ঠিকই, কিন্তু ফিরে পাবেন জীবনকে। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে- চিনির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। জেনে নিন কিভাবে-

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি মাত্রায় চিনি খাওয়া শুরু করলে রক্তেও চিনির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ‘গ্লাইকেশন’ নামে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে শুরু করে শরীরের অন্দরে, যার প্রভাবে ত্বকে বলিরেখা ফুটে উঠতে শুরু করে। সেই সঙ্গে স্কিনের ঔজ্জ্বল্যও হ্রাস পায়। সেই কারণেই তো ত্বকের বয়স কমাতে আর্টিফিসিয়াল সুগার খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।

মেদ কমে 
পেটের চারিদিকে, বিশেষত লিভার, প্যানক্রিয়াস এবং ইন্টেস্টাইনকে ঘিরে চর্বির স্থর পুরু হতে থাকলে কিন্তু বিপদ! কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মেদ যত বাড়তে থাকে, তত টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটে। তাই তো মধ্যপ্রদেশে যাতে কোনওভাবে মেদ না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এমনটা তখনই সম্ভব হবে, যখন চিনি খাওয়া কমাবেন। কারণ চিনির সঙ্গে পেটের মেদ বৃদ্ধির সরাসরি যোগ রয়েছে।

হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে

২০১৪ সালে এই বিষয়ক হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল যারা বেশি মাত্রায় চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খান, তাদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। তাই হার্টকে বাঁটাতে যতটা সম্ভব কম চিনি খাওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, চিকিৎসেকদের মতে দিনে ৬-৭ চামচ চিনি খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু তার বেশি হলেই কিন্তু বিপদ!

ডায়াবেটিস দূরে রাখে

সত্যিই কি চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে? এতদিন পর্যন্ত মনে করা হত, চিনি খেলেই যে ডায়াবেটিস হবে, এমনটা নয়। কিন্তু এই ধরণা বদলেছে। কারণ ২০১৪ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে- খাবারে চিনির মাত্রা যত বেশ হবে, তত ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। আসলে মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খেলে শরীরে ভিসেরাল ফ্যাটের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মতো রোগকে শরীরের অন্দরে বাসা করে দেওয়ার পথকে প্রশস্ত করে।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

চিনি কেবল দাঁতের ক্ষয় করে না, মস্তিষ্কেরও মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেশি মাত্রায় চিনি খেলে মস্তিষ্কের কগনিটিভ ফাংশন কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও হ্রাস পায়। সেই কারণেই চিনি খাওয়ার বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। না হলে কিন্তু বিপদ হতে পারে। সূত্র: বোল্ডস্কাই

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চিনি কম খেলে কি হতে পারে

আপডেট টাইম : ০৭:১৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চা হোক কী চিকেনের ঝোল, কোনও কিচুতেই চিনি মেশানো উচিত নয়। কিন্তু স্বাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে আমরা প্যাকেটের পর প্যাকেট চিনি ফাঁকা করে চলেছি।

ফলে জিবে আনন্দে থাকলেও কিডনি, হার্টসহ শরীরের বাকি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো যে প্রতিনিয়ত মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ফলে ঘরির কাঁটা যত এগচ্ছে, তত শরীরের বারোটা বেজে যাচ্ছে। তাই তো চিনি খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিতে বলছেন চিকিৎসকেরা।

মিষ্ট বাদ দিলে তো জীবনের স্বাদটাই ফিকে হয়ে যাবে। তাই চিনিকে বাদ দিয়ে কি আদৌ বাঁচা সম্ভব? একেবারে ঠিক বলেছেন, যে চিনি ছাড়া কোনও পদেই স্বাদ থাকবে না। কিন্তু একথা বলতে পারি যে চিনিকে ছাড়লে স্বাদকে হারাবেন ঠিকই, কিন্তু ফিরে পাবেন জীবনকে। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে- চিনির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। জেনে নিন কিভাবে-

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি মাত্রায় চিনি খাওয়া শুরু করলে রক্তেও চিনির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ‘গ্লাইকেশন’ নামে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে শুরু করে শরীরের অন্দরে, যার প্রভাবে ত্বকে বলিরেখা ফুটে উঠতে শুরু করে। সেই সঙ্গে স্কিনের ঔজ্জ্বল্যও হ্রাস পায়। সেই কারণেই তো ত্বকের বয়স কমাতে আর্টিফিসিয়াল সুগার খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।

মেদ কমে 
পেটের চারিদিকে, বিশেষত লিভার, প্যানক্রিয়াস এবং ইন্টেস্টাইনকে ঘিরে চর্বির স্থর পুরু হতে থাকলে কিন্তু বিপদ! কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মেদ যত বাড়তে থাকে, তত টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটে। তাই তো মধ্যপ্রদেশে যাতে কোনওভাবে মেদ না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এমনটা তখনই সম্ভব হবে, যখন চিনি খাওয়া কমাবেন। কারণ চিনির সঙ্গে পেটের মেদ বৃদ্ধির সরাসরি যোগ রয়েছে।

হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে

২০১৪ সালে এই বিষয়ক হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছিল যারা বেশি মাত্রায় চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খান, তাদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। তাই হার্টকে বাঁটাতে যতটা সম্ভব কম চিনি খাওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, চিকিৎসেকদের মতে দিনে ৬-৭ চামচ চিনি খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু তার বেশি হলেই কিন্তু বিপদ!

ডায়াবেটিস দূরে রাখে

সত্যিই কি চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে? এতদিন পর্যন্ত মনে করা হত, চিনি খেলেই যে ডায়াবেটিস হবে, এমনটা নয়। কিন্তু এই ধরণা বদলেছে। কারণ ২০১৪ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে- খাবারে চিনির মাত্রা যত বেশ হবে, তত ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। আসলে মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খেলে শরীরে ভিসেরাল ফ্যাটের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মতো রোগকে শরীরের অন্দরে বাসা করে দেওয়ার পথকে প্রশস্ত করে।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

চিনি কেবল দাঁতের ক্ষয় করে না, মস্তিষ্কেরও মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেশি মাত্রায় চিনি খেলে মস্তিষ্কের কগনিটিভ ফাংশন কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও হ্রাস পায়। সেই কারণেই চিনি খাওয়ার বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। না হলে কিন্তু বিপদ হতে পারে। সূত্র: বোল্ডস্কাই