হাওর বার্তা ডেস্কঃ কাঁচা টাকার লোভে সরকার রোহিঙ্গাদর প্রতি সহমর্মিতা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রথমে উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাজানোর চেষ্টা করেছিল সরকার। কিন্তু সব দেশ থকে এখন ত্রাণ পাঠাচ্ছে, সে কারণে কাঁচা টাকার লোভে রোহিঙ্গাদের প্রতি এই সহমর্মিতা।
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় রিজভী এসব কথা বলেন। ‘সহায়ক সরকার: নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ নামের বিএনপিপন্থি একটি সংগঠন।
রিজভী বলেন, ‘ইংল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ ত্রাণ পাঠাচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন। কাঁচা টাকা কুড়ানোর লোভে এই সহানুভূতি। অথচ ভেতরে ভেতরে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী বানানোর চেষ্টা চলছে। তাদের তলে তলে রোহিঙ্গা বিদ্বেষ। রোহিঙ্গাদের উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী বানানোর জন্য এখনো নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।’
যারা ত্রাণ আটকে দেয় তাদের কোনো মানবতা নেই দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে প্রধানমন্ত্রী ২২ ট্রাক ত্রাণ আটকে দিতে পারেন তার কোনো মানবতা থাকতে পারে না। এই মানবতা লোক-দেখানো।’
রিজভী বলেন, ‘দেশে চাল নিয়ে চালবাজি চলছে। কিন্তু তা সামাল দিতে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। চারদিকে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। দেশের কোটি মানুষ আজ ভুখা নাঙা, সেদিকে সরকারের কোনো খেয়াল নেই।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এই সিইসি নিরপেক্ষ হতে পারবেন না, তিনি কেয়ারটেকারের ভূমিকা পালন করবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশই পালন করবেন। যিনি নির্বাচন অফিসারদের বদলি একাই করেন, সেই সিইসির অধীনে কী হবে তা বোঝাই যাচ্ছে।’
গণতন্ত্রের খাটিয়া প্রস্তুত করা হয়েছে দাবি করে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার কাছে গণতন্ত্র আশা করা যায় না। আজ গণতন্ত্র মৃতপ্রায়, যেকোনো মুহূর্তে গণতন্ত্রের মৃত্যু হবে, তাই গণতন্ত্রের জন্য খাটিয়া প্রস্তুত করা হয়েছে। জগদল পাথর কেটে গণতন্ত্রের সুর্যোদয় করতে হবে, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই এই জগদল পাথর সরিয়ে গণতন্ত্র ফিরে আনতে হবে।