ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ যে পাখি উড়ন্ত অবস্থায় ডিম পাড়ে, মাটিতে পড়ার আগে বাচ্চা ফুটে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্র-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন যারা প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের খাবার কর্মসূচি চালু করা হবে : উপদেষ্টা উপদেষ্টা ফারুকী-বশিরকে নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মাহফুজ আলম নেতাকর্মীদের রেখে স্বার্থপরের মত পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা: রিজভী সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, তা অন্তর্বর্তী সরকারই নির্ধারণ করবে: সেনাসদর জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে এলডিসি’র বৈঠকে যা বললেন ড. ইউনূস ঊনপঞ্চাশে আমিশার জীবনে প্রেম আ.লীগ কি আগামী নির্বাচনে আসবে? বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান যা বললেন

এবারও সিন্ডিকেটের কব্জায় পশুরহাট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৫
  • ৩৩৬ বার

বরাবরের মতো এবারও সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে রাজধানীর অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মী সমর্থকরা নানা কৌশলে আয়ত্তে নিয়েছে পশুরহাটের টেন্ডার। এতে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দ্বিতীয় দফা টেন্ডার আহ্বান করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন খানিকটা আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে বটে, কিন্তু তাতেও সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
ডিসিসি সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সিন্ডিকেটের বাইরে কারও পক্ষে সিডিউল কেনা ও জমা দেয়া সম্ভব হয়নি। তার ওপর একই ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন নামে-বেনামে নামমাত্র মূল্য দিয়ে দরপত্র জমা দেয়। যে কারণে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত দামে ইজারা পেতে সহজ হয়। এতে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারায় উভয় করপোরেশন। এ সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় ছিলেন সিটি করপোরেশনের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এ বছর ডিএসসিসির আওতাধীন ১০টি কোরবানি পশুরহাটের বিপরীতে ৯৪টি শিডিউল বিক্রি হয়েছে। অথচ জমা পড়েছে মাত্র ৩১টি। গত বছর ১১টি হাটের বিপরীতে শিডিউল বিক্রি হয়েছিল ১১৩টি। জমা পড়েছিল ৩৯টি। ওদিকে গত বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করে শেষ করা হয়েছে প্রথম দফার টেন্ডার প্রক্রিয়া। খবর পেয়ে দু-একজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে নগরভবনে গেলেও তাদের অডিটরিয়ামে বসতে দেয়া হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, এ সিন্ডিকেট এতই শক্তিশালী যে, ধুপখোলার ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠ ইজারার জন্য সিডিউল বিক্রি হয়েছে ৩০টি। অথচ জমা পড়েছে মাত্র ৩টি। লালবাগ হাজী দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠ বাবুবাজার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালি জায়গা (বিকল্প আরমানিটোলা) দরপত্র বিক্রি হয়েছে ৭টি। কিন্তু জমা পড়েছে দুটি। এ হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা দেলোয়ার হোসেন। যার দরপত্রের মূল্য ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এ বছর জনসাধারণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে পুরান ঢাকার আরমানিটোলা পশুরহাট ইজারা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসসিসি। জমা পড়া শিডিউলগুলোর মধ্যে রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ ইজারার জন্য আবেদন করেছেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন বাবুল সরদার। যার দরপত্রের মূল্য ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৮ টাকা। যা গত বছর ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ২৭৪ টাকা। খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাজারের জন্য দরপত্র ক্রয় করেছেন ৭ জন। জমা দিয়েছেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা আমিনুল ইসলাম। যার দরপত্রের মূল্য ২৪ লাখ টাকা। যা গত বছর ছিল ৫৬ লাখ টাকা। সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠ জন্য দরপত্র ক্রয় করেছেন ১৪ জন। কিন্তু জমা দিয়েছেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা বাবু ভুঁইয়া। যার দরপত্রের মূল্য ৫৮ লাখ ৫ হাজার টাকা। যা গত বছর ছিল ৫৬ লাখ এক হাজার টাকা।
উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার সংলগ্ন মৈত্রীসংঘের মাঠের জন্য দরপত্র ক্রয় করেছেন ৫ জন। দরপত্র জমা দিয়েছেন ৪ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন জাকির হোসেন। যার দরপত্রের মূল্য ৫ লাখ ৮০ হাজার। যা গত বছর ছিল ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ধুপখোলার ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠ ইজারার জন্য শিডিউল ক্রয় করেছেন ৩০ জন। কিন্তু জমা দিয়েছে মাত্র ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন আনোয়ার হোসেন। যার দরপত্রের মূল্য ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। যা গত বছর ছিল ১০ লাখ ৮ হাজার টাকা। কমলাপুর ব্রাদার্স ইউনিয়ন সংলগ্ন বালুর মাঠ ইজারার জন্য দরপত্র ক্রয় করেছেন ৬ জন। কিন্তু জমা দিয়েছেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন সহিদুল ইসলাম সেলিম। যার দরপত্রের মূল্য ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। যা গত বছর ছিল ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা।
পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গার জন্য দরপত্র কিনেছেন ৬ জন। জমা দিয়েছেন ৪ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন হাজী মোহাম্মদ রুবেল। তিনি এ হাটের ইজারা দর দিয়েছেন ১১ লাখ ১০ হাজার টাকা। যা গত বছর ছিল ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা। কামরাঙ্গীরচর ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ির মোড় হতে দক্ষিণ দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ সংলগ্ন জায়গা ইজারার জন্য দরপত্র নিয়েছেন ৫ জন। কিন্তু দরপত্র জমা দিয়েছেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা আবুল হোসেন সরদার। যার দরপত্রের মূল্য ৩ লাখ টাকা। যা গত বছর ছিল ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
লালবাগস্থ মরহুম হাজী দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠ ও তৎসংলগ্ন বেড়িবাঁধের খালি জায়গা ও আশপাশের এলাকা ইজারার জন্য দরপত্র কিনেছেন ৭ জন। কিন্তু জমা দিয়েছেন ২ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা দেলোয়ার হোসেন। তিনি হাটের দর দিয়েছেন ১ কোটি ৯৫ লাখ। যা গত বছর ছিল ১ কোটি ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ঝিগাতলা হাজারীবাগ মাঠের জন্য দরপত্র ক্রয় করেছেন ১১ জন। কিন্তু জমা দিয়েছেন মাত্র ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা রাজিব। তিনি দর দিয়েছেন ৪৫ লাখ টাকা।
ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালিদ আহমেদ বলেন, একাধিক হাটে পর্যাপ্ত দর পাওয়া দ্বিতীয় দফা টেন্ডারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এ সংক্রান্ত কমিটি মিটিং করে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে। ওদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন গত সোমবার প্রথম দফা টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে। এদিন সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে একই ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণেই দেখা যায় একাধিক হাট। দরদাতাদের সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। উত্তর সিটির ৬টি হাটের জন্য মোট ২০ জন দরদাতা টেন্ডার সংগ্রহ করেন। তবে এ বছর যানজট ও জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার পুরাতন পাঁচটি হাট বন্ধ করে দেয়া হয়। সে পাঁচটি হাট হলো, আগারগাঁও বস্তির খালি জায়গা, উত্তরায় আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, উত্তরার ১১ ও ১৩নং সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ সংলগ্ন খালি জায়গা, বারিধারা জে ব্লকের খালি জায়গা এবং বনানী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুরহাট। এ বছর এই পাঁচটি হাটের টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। ৬টি হাটের টেন্ডার আবেদনকারী: খিলক্ষেত বনরূপা হাট ইজারার জন্য আবেদনকারী হলেন মোট চারজন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন আসলাম উদ্দিন। তিনি এ হাটের দর দিয়েছেন এক কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
মিরপুর সেকশন ওয়ার্ড-৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা ইজারার জন্য আবেদনকারী হলেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন খোকন মৃধা। তিনি এ হাটের দর দিয়েছেন ৪১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮৬ টাকা। উত্তরা ১৫ ও ১৬নং সেক্টরের হাট ইজারার জন্য আবেদনকারী হলেন ২ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন জাহিদ হোসেন। তিনি এ হাটের দর দিয়েছেন এক কোটি ৯ লাখ ৭৮৫ টাকা। কুড়িল অস্থায়ী কোরবানির হাটের ইজারার জন্য আবেদনকারী হলেন ৫ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন কেরামত আলী দেওয়ান। তিনি এ হাটের দর দিয়েছেন এক কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মিরপুর-১১-এর কোরবানি হাট ইজারার জন্য আবেদনকারী হলেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন মোহাম্মদ সামিউল। তিনি এ হাটের দর দিয়েছেন ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৬ টাকা। রায়েরবাজার হাট ইজারার জন্য আবেদনকারী হলেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন তারেকুজ্জামান রাজিব। তিনি এ হাটের ইজারা দর দিয়েছেন ২৫ লাখ টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ

এবারও সিন্ডিকেটের কব্জায় পশুরহাট

আপডেট টাইম : ১০:৫০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৫

বরাবরের মতো এবারও সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে রাজধানীর অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মী সমর্থকরা নানা কৌশলে আয়ত্তে নিয়েছে পশুরহাটের টেন্ডার। এতে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দ্বিতীয় দফা টেন্ডার আহ্বান করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন খানিকটা আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে বটে, কিন্তু তাতেও সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
ডিসিসি সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সিন্ডিকেটের বাইরে কারও পক্ষে সিডিউল কেনা ও জমা দেয়া সম্ভব হয়নি। তার ওপর একই ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন নামে-বেনামে নামমাত্র মূল্য দিয়ে দরপত্র জমা দেয়। যে কারণে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত দামে ইজারা পেতে সহজ হয়। এতে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারায় উভয় করপোরেশন। এ সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় ছিলেন সিটি করপোরেশনের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এ বছর ডিএসসিসির আওতাধীন ১০টি কোরবানি পশুরহাটের বিপরীতে ৯৪টি শিডিউল বিক্রি হয়েছে। অথচ জমা পড়েছে মাত্র ৩১টি। গত বছর ১১টি হাটের বিপরীতে শিডিউল বিক্রি হয়েছিল ১১৩টি। জমা পড়েছিল ৩৯টি। ওদিকে গত বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করে শেষ করা হয়েছে প্রথম দফার টেন্ডার প্রক্রিয়া। খবর পেয়ে দু-একজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে নগরভবনে গেলেও তাদের অডিটরিয়ামে বসতে দেয়া হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, এ সিন্ডিকেট এতই শক্তিশালী যে, ধুপখোলার ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠ ইজারার জন্য সিডিউল বিক্রি হয়েছে ৩০টি। অথচ জমা পড়েছে মাত্র ৩টি। লালবাগ হাজী দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠ বাবুবাজার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালি জায়গা (বিকল্প আরমানিটোলা) দরপত্র বিক্রি হয়েছে ৭টি। কিন্তু জমা পড়েছে দুটি। এ হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা দেলোয়ার হোসেন। যার দরপত্রের মূল্য ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এ বছর জনসাধারণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে পুরান ঢাকার আরমানিটোলা পশুরহাট ইজারা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসসিসি। জমা পড়া শিডিউলগুলোর মধ্যে রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ ইজারার জন্য আবেদন করেছেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন বাবুল সরদার। যার দরপত্রের মূল্য ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৮ টাকা। যা গত বছর ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ২৭৪ টাকা। খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাজারের জন্য দরপত্র ক্রয় করেছেন ৭ জন। জমা দিয়েছেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা আমিনুল ইসলাম। যার দরপত্রের মূল্য ২৪ লাখ টাকা। যা গত বছর ছিল ৫৬ লাখ টাকা। সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠ জন্য দরপত্র ক্রয় করেছেন ১৪ জন। কিন্তু জমা দিয়েছেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা বাবু ভুঁইয়া। যার দরপত্রের মূল্য ৫৮ লাখ ৫ হাজার টাকা। যা গত বছর ছিল ৫৬ লাখ এক হাজার টাকা।
উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার সংলগ্ন মৈত্রীসংঘের মাঠের জন্য দরপত্র ক্রয় করেছেন ৫ জন। দরপত্র জমা দিয়েছেন ৪ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন জাকির হোসেন। যার দরপত্রের মূল্য ৫ লাখ ৮০ হাজার। যা গত বছর ছিল ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ধুপখোলার ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠ ইজারার জন্য শিডিউল ক্রয় করেছেন ৩০ জন। কিন্তু জমা দিয়েছে মাত্র ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন আনোয়ার হোসেন। যার দরপত্রের মূল্য ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। যা গত বছর ছিল ১০ লাখ ৮ হাজার টাকা। কমলাপুর ব্রাদার্স ইউনিয়ন সংলগ্ন বালুর মাঠ ইজারার জন্য দরপত্র ক্রয় করেছেন ৬ জন। কিন্তু জমা দিয়েছেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন সহিদুল ইসলাম সেলিম। যার দরপত্রের মূল্য ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। যা গত বছর ছিল ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা।
পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গার জন্য দরপত্র কিনেছেন ৬ জন। জমা দিয়েছেন ৪ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন হাজী মোহাম্মদ রুবেল। তিনি এ হাটের ইজারা দর দিয়েছেন ১১ লাখ ১০ হাজার টাকা। যা গত বছর ছিল ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা। কামরাঙ্গীরচর ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ির মোড় হতে দক্ষিণ দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ সংলগ্ন জায়গা ইজারার জন্য দরপত্র নিয়েছেন ৫ জন। কিন্তু দরপত্র জমা দিয়েছেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা আবুল হোসেন সরদার। যার দরপত্রের মূল্য ৩ লাখ টাকা। যা গত বছর ছিল ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
লালবাগস্থ মরহুম হাজী দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠ ও তৎসংলগ্ন বেড়িবাঁধের খালি জায়গা ও আশপাশের এলাকা ইজারার জন্য দরপত্র কিনেছেন ৭ জন। কিন্তু জমা দিয়েছেন ২ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা দেলোয়ার হোসেন। তিনি হাটের দর দিয়েছেন ১ কোটি ৯৫ লাখ। যা গত বছর ছিল ১ কোটি ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ঝিগাতলা হাজারীবাগ মাঠের জন্য দরপত্র ক্রয় করেছেন ১১ জন। কিন্তু জমা দিয়েছেন মাত্র ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা রাজিব। তিনি দর দিয়েছেন ৪৫ লাখ টাকা।
ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালিদ আহমেদ বলেন, একাধিক হাটে পর্যাপ্ত দর পাওয়া দ্বিতীয় দফা টেন্ডারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এ সংক্রান্ত কমিটি মিটিং করে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে। ওদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন গত সোমবার প্রথম দফা টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে। এদিন সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে একই ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণেই দেখা যায় একাধিক হাট। দরদাতাদের সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। উত্তর সিটির ৬টি হাটের জন্য মোট ২০ জন দরদাতা টেন্ডার সংগ্রহ করেন। তবে এ বছর যানজট ও জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার পুরাতন পাঁচটি হাট বন্ধ করে দেয়া হয়। সে পাঁচটি হাট হলো, আগারগাঁও বস্তির খালি জায়গা, উত্তরায় আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, উত্তরার ১১ ও ১৩নং সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ সংলগ্ন খালি জায়গা, বারিধারা জে ব্লকের খালি জায়গা এবং বনানী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুরহাট। এ বছর এই পাঁচটি হাটের টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। ৬টি হাটের টেন্ডার আবেদনকারী: খিলক্ষেত বনরূপা হাট ইজারার জন্য আবেদনকারী হলেন মোট চারজন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন আসলাম উদ্দিন। তিনি এ হাটের দর দিয়েছেন এক কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
মিরপুর সেকশন ওয়ার্ড-৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা ইজারার জন্য আবেদনকারী হলেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন খোকন মৃধা। তিনি এ হাটের দর দিয়েছেন ৪১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮৬ টাকা। উত্তরা ১৫ ও ১৬নং সেক্টরের হাট ইজারার জন্য আবেদনকারী হলেন ২ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন জাহিদ হোসেন। তিনি এ হাটের দর দিয়েছেন এক কোটি ৯ লাখ ৭৮৫ টাকা। কুড়িল অস্থায়ী কোরবানির হাটের ইজারার জন্য আবেদনকারী হলেন ৫ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন কেরামত আলী দেওয়ান। তিনি এ হাটের দর দিয়েছেন এক কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মিরপুর-১১-এর কোরবানি হাট ইজারার জন্য আবেদনকারী হলেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন মোহাম্মদ সামিউল। তিনি এ হাটের দর দিয়েছেন ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৬ টাকা। রায়েরবাজার হাট ইজারার জন্য আবেদনকারী হলেন ৩ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন তারেকুজ্জামান রাজিব। তিনি এ হাটের ইজারা দর দিয়েছেন ২৫ লাখ টাকা।