আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কেবল আওয়ামী লীগের নেতা নন, তিনি জাতির নেতা। আমরা চাই শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে নয়, গোটা জাতিই শোক দিবস পালন করুক। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী সর্বজনীনভাবে পালন করায় গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সংগঠনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী ভবনের শফিউর রহমান মিলনায়তনে বুধবার বিকেলে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিচারপতি এ এফ এম মেসবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান, এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক প্রমুখ।
জাতীয় শোক দিবসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন প্রসঙ্গে আশরাফ বলেন, আমি এবার তাকে (খালেদা জিয়াকে) অনুরোধ করেছিলাম, ধরেন আপনার জন্মদিন ১৫ তারিখ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান দেখিয়ে একদিন এগিয়ে বা পিছিয়ে কেক কাটেন, ড্যান্স করেন। আমাদের আপত্তি থাকবে না। কিন্তু ১৫ তারিখে করবেন না। তিনি আধা শুনলেন, সকালে কেক কাটলেন না। বিকেলে কাটলেন। যা হোক এবার হয়তো আধা শুনলেন, আগামীতে হয়তো পুরোটাই শুনবেন।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, আমরা এবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়েছি ৪০ দিনব্যাপী জাতির পিতার শাহাদাতবার্ষিকী পালনে।
বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার দেশের মানুষ ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। আগামীতে আরও বেশি সর্বজনীনভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করা হবে।
‘জঙ্গি’ সংশ্লিষ্টতায় তিন আইনজীবীর আটক প্রসঙ্গে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আইনজীবীদের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। এটা কি আমাদের জন্য অশনিসংকেত নয়? নতুন করে এটা দেখা যাচ্ছে, এটা উদ্বেগজনক। আগে প্রকৌশলী, চিকিৎসকদের এর সঙ্গে যুক্ত থাকার খবর পাওয়া গেলেও আইনজীবীদের ঘটনা এই প্রথম। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।