ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবে ‘স্যার’ আসবেন? দিনের পর দিন স্কুলের বাইরে অপেক্ষায় শিশুরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:২১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৭
  • ৩৭০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্যাগ কাঁধে নিয়ে রোজ স্কুলে যায় ওরা। অপেক্ষায় বসে থাকে স্কুলের দরজায়। আজ বোধহয় পড়াতে আসবেন ‘স্যার’। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়। কেউ আসে না। কেউ এসে স্কুলের দরজায় ঝুলতে থাকা তালাটাও খোলে না। স্কুলে ঢুকতে বলে না। বেঞ্চে বসে বইটা খুলে পড়তে বলে না। হতাশা ফুটে ওঠে কচি মুখগুলিতে। এই হতাশা নিয়েই বাড়ি ফিরে আসে জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরের নানাসু এলাকার প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা।

আজ থেকে নয় ১৫ আগস্ট থেকেই তালা ঝুলছে এলাকার একমাত্র প্রাথমিক স্কুলে। এভাবেই রোজ স্কুলে যায় পড়ুয়ারা। ঘণ্টা দু’য়েক অপেক্ষাও করে। কিন্তু শিক্ষকরা কেউ আসেন না পড়াতে। অগত্যা পড়াশোনা না করেই ফিরে আসতে বাধ্য হয় খুদেরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্বাধীনতা দিবস থেকেই এই হাল স্কুলের। এতে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের পড়াশোনা। এলাকায় আর কোনও প্রাথমিক স্কুলও নেই যে ছাত্র-ছাত্রীরা সেখানে গিয়ে পড়াশোনা করবে।

বিষয়টি এলাকার চিফ এডুকেশন অফিসারকে জানানো হয়। তিনিও এমন অভিযোগের কথা স্বীকার করে নেন। জানান, দুই জন শিক্ষক নিয়োগ করা রয়েছে ওই স্কুলে। কেন তাঁরা আসছেন না, তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি দোষ প্রমাণিত হয় তাহলে তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কবে ‘স্যার’ আসবেন? দিনের পর দিন স্কুলের বাইরে অপেক্ষায় শিশুরা

আপডেট টাইম : ০৮:২১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্যাগ কাঁধে নিয়ে রোজ স্কুলে যায় ওরা। অপেক্ষায় বসে থাকে স্কুলের দরজায়। আজ বোধহয় পড়াতে আসবেন ‘স্যার’। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়। কেউ আসে না। কেউ এসে স্কুলের দরজায় ঝুলতে থাকা তালাটাও খোলে না। স্কুলে ঢুকতে বলে না। বেঞ্চে বসে বইটা খুলে পড়তে বলে না। হতাশা ফুটে ওঠে কচি মুখগুলিতে। এই হতাশা নিয়েই বাড়ি ফিরে আসে জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরের নানাসু এলাকার প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা।

আজ থেকে নয় ১৫ আগস্ট থেকেই তালা ঝুলছে এলাকার একমাত্র প্রাথমিক স্কুলে। এভাবেই রোজ স্কুলে যায় পড়ুয়ারা। ঘণ্টা দু’য়েক অপেক্ষাও করে। কিন্তু শিক্ষকরা কেউ আসেন না পড়াতে। অগত্যা পড়াশোনা না করেই ফিরে আসতে বাধ্য হয় খুদেরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্বাধীনতা দিবস থেকেই এই হাল স্কুলের। এতে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের পড়াশোনা। এলাকায় আর কোনও প্রাথমিক স্কুলও নেই যে ছাত্র-ছাত্রীরা সেখানে গিয়ে পড়াশোনা করবে।

বিষয়টি এলাকার চিফ এডুকেশন অফিসারকে জানানো হয়। তিনিও এমন অভিযোগের কথা স্বীকার করে নেন। জানান, দুই জন শিক্ষক নিয়োগ করা রয়েছে ওই স্কুলে। কেন তাঁরা আসছেন না, তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি দোষ প্রমাণিত হয় তাহলে তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।