হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের (মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর) নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি কিছু জায়গায় স্থিতিশীল এবং কিছু জায়গায় উন্নতি হচ্ছে। গঙ্গা অববাহিকার পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মধ্যাঞ্চলের ঢাকার চতুর্দিকের বালু, তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, টুংগি খালের পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । অপরদিকে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভারতীয় অংশের পানি আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টায় গড়ে ১২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেতে পারে । বাংলাদেশ অংশের ব্রহ্মপুত্র-যমুনার বিভিন্ন পয়েন্টে আগামী ৭২ ঘণ্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে। অপরদিকে গঙ্গা- নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকলেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে । পদ্মা নদীর পানি সমতল উজানের (গোয়ালন্দ) পয়েন্টে হ্রাস আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকবে। এছাড়া মেঘনা অববাহিকার নদীর পানিও আগামী ৪৮ ঘণ্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে। গঙ্গা- ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা এই তিন অববাহিকার মধ্যে গঙ্গার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের উজানের ভারতীয় অংশে এবং মেঘনা অববাহিকার ভারতীয় ও বাংলাদেশ অংশে পানি হ্রাস অব্যাহত আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সকাল ৬ টা গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর ভারতীয় অংশের গোহাটিতে (বাংলাদেশ সীমান্ত হতে ১৮০ কি.মি. উজানে) ৯ সে.মি, পান্ডুতে (বাংলাদেশ সীমান্ত হতে ১৬০ কি.মি. উজানে) ৫ সে.মি, গোয়ালপাড়া (বাংলাদেশ সীমান্ত হতে ৯০ কি.মি. উজানে) ১২ সে.মি, এবং ধুবরী (বাংলাদেশ সীমান্ত হতে ২৫ কি.মি. উজানে) ১৬ সে.মি পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল নুনখাওয়া, চিলমারী, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি এবং সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে হ্রাস অব্যাহত আছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকবে।
এদিকে তিস্তা-ধরলা-দুধকুমার অববাহিকার নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে, এই অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকবে। গঙ্গা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তা বর্তমানে বিপদসীমার প্রায় ৪৩ থেকে ১০৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পদ্মা নদীর পানি উজানের (গোয়ালন্দ) পয়েন্টে হ্রাস পেতে শুরু করেছে এবং ভাটির (মুন্সিগঞ্জের-ভাগ্যকুল) পয়েন্টে স্থিতিশীল রয়েছে। মেঘনা অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি আগামী ২৪ হতে ৪৮ ঘণ্টায় উন্নতি অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। বাসস।