ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণের পর ন্যাড়া: তুফানের স্ত্রী-কাউন্সিলর রিমান্ডে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০১৭
  • ৪০৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও মাসহ তার মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তুফান সরকারের স্ত্রী আশাসহ ৫ সহযোগীকে রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে গ্রেফতারদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে হাজির করে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদ্য বহিষ্কৃত শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকারের স্ত্রী আশা বেগম (২০), তার বড় বোন কাউন্সিলর রুমকি (২৫), তার মা রুমা বেগম (৪৫), শহিদুল ইসলামের ছেলে ও তুফানের গাড়ি চালক জিতু (২৩), আব্দুল বাছেদের ছেলে ও তুফানের সহযোগী মুন্না (২৫)। এরমধ্যে কাউন্সিলর রুমকিকে চারদিন ও অন্য আসামিদের দুইদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়ার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, রোববার সন্ধ্যায় পাবনা থেকে কাউন্সিলর রুমকি ও তার মা রুমাকে গ্রেফতার করে বগুড়া ডিবি পুলিশ। এরপর রাতে ঢাকার সাভার থেকে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা বেগম, তুফানের গাড়িচালক জিতু, তুফানের সহযোগী মুন্নাকে গ্রেফতার করে সেখানকার পুলিশ।

এর আগে রোববার প্রধান নায়ক শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকার ও তার অপর দুই সহযোগীকে পুলিশ তিনদিনের রিমান্ড নেয়। এদিন বিকেলেই তুফান সরকারকে শ্রমিকলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে কলেজে ভর্তি-ইচ্ছুক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি ও তার সহযোগীরা এবং দলীয় এক নারী কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন। চার ঘণ্টা ধরে তারা ছাত্রী ও তার মায়ের ওপর নির্যাতন চালান। এরপর দু’জনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন।

এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা সরকার, আশা সরকারের বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ধর্ষণের পর ন্যাড়া: তুফানের স্ত্রী-কাউন্সিলর রিমান্ডে

আপডেট টাইম : ১১:২২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও মাসহ তার মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তুফান সরকারের স্ত্রী আশাসহ ৫ সহযোগীকে রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে গ্রেফতারদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে হাজির করে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদ্য বহিষ্কৃত শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকারের স্ত্রী আশা বেগম (২০), তার বড় বোন কাউন্সিলর রুমকি (২৫), তার মা রুমা বেগম (৪৫), শহিদুল ইসলামের ছেলে ও তুফানের গাড়ি চালক জিতু (২৩), আব্দুল বাছেদের ছেলে ও তুফানের সহযোগী মুন্না (২৫)। এরমধ্যে কাউন্সিলর রুমকিকে চারদিন ও অন্য আসামিদের দুইদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়ার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, রোববার সন্ধ্যায় পাবনা থেকে কাউন্সিলর রুমকি ও তার মা রুমাকে গ্রেফতার করে বগুড়া ডিবি পুলিশ। এরপর রাতে ঢাকার সাভার থেকে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা বেগম, তুফানের গাড়িচালক জিতু, তুফানের সহযোগী মুন্নাকে গ্রেফতার করে সেখানকার পুলিশ।

এর আগে রোববার প্রধান নায়ক শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকার ও তার অপর দুই সহযোগীকে পুলিশ তিনদিনের রিমান্ড নেয়। এদিন বিকেলেই তুফান সরকারকে শ্রমিকলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে কলেজে ভর্তি-ইচ্ছুক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি ও তার সহযোগীরা এবং দলীয় এক নারী কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন। চার ঘণ্টা ধরে তারা ছাত্রী ও তার মায়ের ওপর নির্যাতন চালান। এরপর দু’জনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন।

এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা সরকার, আশা সরকারের বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা করেন।