ঢাকা ০৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সৌদির কনসার্টে গাইবেন পড়শী আসছে নতুন গান আ.লীগের রাজনীতি করা নিয়ে যা বললেন মান্না দোসরদের গ্রেফতার করা না গেলে মুক্তি পাবে না পুরান ঢাকার সাধারণ মানুষ সেলিমের চেয়েও ভয়ঙ্কর দুই পুত্র সোলায়মান ও ইরফান বাতাসে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি, ঢাকার অবস্থা কি শাকিবের ‘দরদ’ নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফল হলেই ভারতের স্বার্থ রক্ষিত’ ভারতীয় ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকার আইপিএল নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় ১২ বাংলাদেশি ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতার: প্রধান উপদেষ্টা আজিমপুরে ডাকাতির সময় অপহৃত সেই শিশু উদ্ধার

রোহিঙ্গাদের বিপন্নতায় নতুন মোড়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০১৭
  • ২৮৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, গত বছর অক্টোবর থেকে এ বছর মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত চলা সেনা অভিযানের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিপন্নতা নতুন মোড় নিয়েছে। সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং জি লি জানিয়েছেন, অভিযান পরবর্তী সময়ে নাগরিকতার আবেদনকারী রোহিঙ্গাদের ওপর অজ্ঞাত হামলা এবং তাদের মধ্যকার বিভাজন বেড়েছে। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলো পোস্টে প্রকাশিত ইয়াং জি লি’র সাক্ষাৎকারভিত্তিক এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে। গতবছর অক্টোবরে ৯ সীমান্ত পুলিশ হত্যাকান্ডের প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী পুলিশ একযোগে রোহিঙ্গা দমনে অভিযান শুরু করে। মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত চলা সেই সেনা অভিযানে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়। জানুয়ারিতে রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনের পর জাতিসংঘ সে সময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জাতিগতভাবে নির্মূল করার অভিযোগ আনে। ইয়াং জি লি বলেছেন, গত জানুয়ারি মাসে আমাদের সর্বশেষ পরিদর্শনের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আমরা এখনও অব্যাহতভাবে সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্ট পাচ্ছি। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের আলাদা কোনও জাতিগোষ্ঠীই মনে করে না। বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত ওই জনগোষ্ঠীকে তারা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করে দায়িত্ব অস্বীকার করতে চায়। তবে রোহিঙ্গারা নিজেদের মিয়ানমারের নাগরিক বলেই জানে। নাগরিকত্বকে তারা অধিকার হিসেবেই দেখে। তবে নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে গিয়েও তারা অজ্ঞাত হামলার শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ইয়াং জি লি। একে মিয়ানমার সরকারের পক্ষের কাজ হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ। এরইমধ্যে গ্রাম প্রশাসকসহ অন্যান্য মুসলিমরা আক্রান্ত হয়েছেন অজ্ঞাত ওই হামলাকারীদের দ্বারা। এই পরিস্থিতি রাখাইনের বেসামরিক রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতিকে আরও করুণ করে তুলেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদির কনসার্টে গাইবেন পড়শী আসছে নতুন গান

রোহিঙ্গাদের বিপন্নতায় নতুন মোড়

আপডেট টাইম : ০৭:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, গত বছর অক্টোবর থেকে এ বছর মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত চলা সেনা অভিযানের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিপন্নতা নতুন মোড় নিয়েছে। সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং জি লি জানিয়েছেন, অভিযান পরবর্তী সময়ে নাগরিকতার আবেদনকারী রোহিঙ্গাদের ওপর অজ্ঞাত হামলা এবং তাদের মধ্যকার বিভাজন বেড়েছে। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলো পোস্টে প্রকাশিত ইয়াং জি লি’র সাক্ষাৎকারভিত্তিক এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে। গতবছর অক্টোবরে ৯ সীমান্ত পুলিশ হত্যাকান্ডের প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী পুলিশ একযোগে রোহিঙ্গা দমনে অভিযান শুরু করে। মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত চলা সেই সেনা অভিযানে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়। জানুয়ারিতে রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনের পর জাতিসংঘ সে সময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জাতিগতভাবে নির্মূল করার অভিযোগ আনে। ইয়াং জি লি বলেছেন, গত জানুয়ারি মাসে আমাদের সর্বশেষ পরিদর্শনের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আমরা এখনও অব্যাহতভাবে সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্ট পাচ্ছি। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের আলাদা কোনও জাতিগোষ্ঠীই মনে করে না। বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত ওই জনগোষ্ঠীকে তারা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করে দায়িত্ব অস্বীকার করতে চায়। তবে রোহিঙ্গারা নিজেদের মিয়ানমারের নাগরিক বলেই জানে। নাগরিকত্বকে তারা অধিকার হিসেবেই দেখে। তবে নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে গিয়েও তারা অজ্ঞাত হামলার শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ইয়াং জি লি। একে মিয়ানমার সরকারের পক্ষের কাজ হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ। এরইমধ্যে গ্রাম প্রশাসকসহ অন্যান্য মুসলিমরা আক্রান্ত হয়েছেন অজ্ঞাত ওই হামলাকারীদের দ্বারা। এই পরিস্থিতি রাখাইনের বেসামরিক রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতিকে আরও করুণ করে তুলেছে।