ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রিটেনের বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনোচ ‘টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করা উচিত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫ বার

যুক্তরাজ্যে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির চিফ কেমি ব্যাডেনোচ খুব দ্রুত সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের প্রতি এ নিয়ে জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন।আজ রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে ব্যাপক চাপে রয়েছেন টিউলিপ। যুক্তরাজ্যের এই মন্ত্রী দুর্নীতির দায়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়তেও বাধ্য হতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ বলেছেন, ‘কেয়ার স্টারমার টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন এবং তিনি নিজেকেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।’

বিবিসি বলছে, টিউলিপের দুর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যের পরই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ এই মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস সানডে টাইমসকে বলেছিলেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের দেওয়া লন্ডনের সম্পত্তিতে বসবাস করার বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

ব্যাডেনোচ বলেন, ‘সরকার যে আর্থিক সমস্যাগুলো তৈরি করেছে তা মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত হলেও টিউলিপ সিদ্দিক সেই কাজে মনোনিবেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছেন।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘এখন বাংলাদেশ সরকারও শেখ হাসিনার (সাবেক) সরকারের সাথে তার (টিউলিপের) যোগসূত্র নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।’

মূলত টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। কিন্তু তার জন্মভূমি বাংলাদেশেই এখন তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যেখানে তিনি এবং পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ব্রিটেনের বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনোচ ‘টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করা উচিত

আপডেট টাইম : ০৬:৩০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাজ্যে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির চিফ কেমি ব্যাডেনোচ খুব দ্রুত সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের প্রতি এ নিয়ে জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন।আজ রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে ব্যাপক চাপে রয়েছেন টিউলিপ। যুক্তরাজ্যের এই মন্ত্রী দুর্নীতির দায়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়তেও বাধ্য হতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ বলেছেন, ‘কেয়ার স্টারমার টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন এবং তিনি নিজেকেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।’

বিবিসি বলছে, টিউলিপের দুর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যের পরই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ এই মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস সানডে টাইমসকে বলেছিলেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের দেওয়া লন্ডনের সম্পত্তিতে বসবাস করার বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

ব্যাডেনোচ বলেন, ‘সরকার যে আর্থিক সমস্যাগুলো তৈরি করেছে তা মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত হলেও টিউলিপ সিদ্দিক সেই কাজে মনোনিবেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছেন।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘এখন বাংলাদেশ সরকারও শেখ হাসিনার (সাবেক) সরকারের সাথে তার (টিউলিপের) যোগসূত্র নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।’

মূলত টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। কিন্তু তার জন্মভূমি বাংলাদেশেই এখন তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যেখানে তিনি এবং পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।