হাওর বার্তা ডেস্কঃ আবারো একবার আন্তর্জাতিক শিরোনাম হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। ক্রীড়া বান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জ জেলার পদ্মা নদীর কাছাকাছি একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্টেডিয়াম নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, এনএসসি সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, প্রকৌশলী হেদায়েতুল হক মির্জা, সুকুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. ইকরামুল হক, অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ জেলার পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের অদূরে ধুতরাবাড়ি পরিদর্শন করেছেন। মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার ধুতরাবাড়ি এলাকাটি প্রমত্ত পদ্মার সন্নিকটে অবস্থিত।
এনএসসি সচিব গতকাল বুধবার বলেন, আমাদের ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার বাইরে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের ইচ্ছে পোষণ করেছেন।নতুন এই স্টেডিয়ামের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীরা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পাবে। যা থেকে ক্রিকেট ও পর্যটন উভয়ই লাভবান হবে।
তিনি আরো বলেন, সত্যি বলতে গেলে এটা প্রাথমিক পদক্ষেপ। বুয়েট এবং এনএসসি প্রকৌশলীরা একটি প্রতিবেদন পেশ করবেন। এরপর আমরা মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট, জমির দামসহ একটি রিপোর্টের জন্য ফার্ম নিয়োগ করব। যদিও আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে পদ্মার কাছাকাছি একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ। তবে নদী ভাঙ্গনের বিষয়টিও আমাদের নজরে রাখতে হবে। একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে আমরা এখনো সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণে প্রায় ২৫ একর জমি প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় জমি সেখানে আছে এবং বুয়েট প্রতিনিধি দল ইতিবাচক রিপোর্ট দিলে জমি অধিগ্রহণ শুরু হবে। বর্তমান সরকারের আমলেই স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ দলের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক মানিকগঞ্জ জেলার সন্তান দুর্জয় মিরপুর স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের বলেন, নদীর কাছাকাছি একটি স্টেডিয়াম নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছে পোষণের অংশ হিসেবেই তারা এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন।এ কারণেই প্রাথমিকভাবে পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকাকে বেছে নেয়া হয়েছে। ফেরি ঘাট ছাড়াও অঞ্চলটি ঘিরে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এখানে স্টেডিয়ামটি নির্মিত হলে পর্যটন শিল্প অবশ্যই বিকশিত হবে। বাসস