ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৭.৫ কোটি ডলার ফেরত নিয়েছে বিশ্বব্যাংক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫ বার

দেশের প্রযুক্তি সক্ষমতা অর্জন ও অর্থ সাশ্রয়ে বিশ্বব্যাংকের টাকায় নেওয়া ‘এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই)’ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ার দশায় রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদের বেশিরভাগ সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এর আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ১৪ শতাংশ, আর বাস্তব অগ্রগতি ৩৩ শতাংশ। এর বেশিরভাগই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ইভেন্ট আর ট্রেনিং। অথচ এখনও আলোর মুখ দেখেনি প্রকল্পের মূল কম্পোনেন্ট প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনসংশ্লিষ্ট কাজ। প্রকল্পটির অগ্রগতিতে এমন দীর্ঘসূত্রতায় অসন্তুষ্ট বিশ্বব্যাংক। এ কারণে প্রকল্পটি থেকে ১৭ কোটি ৫ লাখ ডলার ফেরত নিয়েছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে ইডিজিই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এটার অগ্রগতি খুব একটা বেশি হয়নি। প্রকল্পের বাজেট ছিল অনেক। এখন এখানে ১৭৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার স্যারেন্ডার করা হয়েছে। তাহলে টাকা যেহেতু নেই, সব কাজ থাকবে না, কমে গেছে। বর্তমান সরকার এসে কিছু রিভিউ করেছে, কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। বিশ^ব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়েছে তারা বাজেটে সাপোর্ট দেবেন। তাই এখান হতে টাকা কেটে নিয়ে গেছে। এখন টোটাল বাজেট ১২০ মিলিয়ন ডলার মাত্র।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ‘এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই)’ নামের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল, ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতা বাড়ানো। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। বলা হয়েছিল, ২০২৫ সাল পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে নিতে কাজ করা ১ লাখ গ্রাজুয়েটের কর্মসংস্থান উপযোগী প্রশিক্ষণ দেওয়া, সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের একটি জাতীয় জব পোর্টাল করা, সরকারের ক্লাউড সেবা, ইমেইল এবং ইউনিফাইড কমিউনিকেশন সেবা দেওয়া। এর বাইরে স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি করা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারকে কৌশলপত্র দেওয়া ও বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া, বাণিজ্য সংগঠনগুলোতে ইকোনমিক হাব করা, সেন্টার ফর ফোর-আইআর ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রিসার্চ-ইনোভেশন সেন্টার করার কথা ছিল।

তবে প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন বলছে, প্রশিক্ষণ আর সেমিনারেই আটকে আছে প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া। সব মিলে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৬ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ট্রেনিং ও ইভেন্টের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমওইউ সই করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট পোর্টাল উদ্বোধন করা, গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্রের নকশা করা, বাংলাদেশ ও জাপান-বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বন্ধুত্ব উদযাপনসহ কিছু কর্মশালা ও সেমিনার তারা করেছেন।

প্রকল্প কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, প্রকল্পের আওতায় ২৩০ জন সংসদ সদস্যকে ডিজিটাল লিডারশিপ ও সাইবার সিকিউরিটিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন ও আইসিটি নীতিমালার খসড়া করে আইসিটি বিভাগে দেয়। এছাড়া সরকারের ইমেইল সেবা শক্তিশালী করা, প্ল্যাটফর্ম এজ এ সার্ভিস সলিউশনসহ কয়েকটি দরপত্র সম্পন্ন করা এবং কিছু কাজ মাঝ পথে এসে ধীরগতি আর কিছু পরামর্শক নিয়োগই এই প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা।

এদিকে এই প্রকল্পের অগ্রগতির হাল দেখে অসন্তুষ্টি জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে বলেছে। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রকল্পের বাজেটও। এই প্রকল্পের আইডিএ-বিশ্বব্যাংক ও সরকারের অংশ মিলে বাজেট ছিল ২৯৫ মিলিয়ন ডলার। সেখান হতে এখন ১৭৫ মিলিয়ন ডলারই বিশ্বব্যাংক ফেরত নিয়েছে।

এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতি খুঁজতে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে এই ইডিজিই প্রকল্পে গ্রহণ করা দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ইভেন্ট সংকুচিত করা, বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় কম্পোনেন্ট- যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তি ল্যাব নির্মাণ, নানা নামে বিভিন্ন একাডেমির মতো বিষয়গুলো বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

অন্যদিকে ইউনিফাইড কমিউনিকেশন্স কম্পোনেন্ট ও ন্যাশনাল জব পোর্টালের কাজ সম্পন্ন হলেও তা সেবার জন্য উন্মুক্ত করতে পারেনি প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

যদিও প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ন্যাশনাল জব পোর্টাল তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি যুগান্তকারী প্ল্যাটফর্ম হতে পারে, যা সরকারি চাকরির আবেদন প্রক্রিয়াকে সহজ, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসবে। এই উদ্যোগ চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করবে, যা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।

বেকারত্ব নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে এমন প্রকল্পের সেবা কেন দ্রুত উন্মুক্ত করা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যপ্রযুক্তি খাত বিশেষজ্ঞ, ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক ও সিইও টিআইএম নূরুল কবীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে চাকরির সংস্থান কম, বেকারত্বের সংখ্যা বেশি, যেখানে নতুন প্রজন্ম নতুন আশার আলো জাগিয়েছে; সেখানে একটি জব পোর্টাল করা হয়েছে বিদেশি সাহায্যে। সেটি যদি অ্যাক্টিভ করা যায় তাহলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। এটি যেহেতু রেডি আছে তাহলে লঞ্চ করা কেন হচ্ছে না

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

১৭.৫ কোটি ডলার ফেরত নিয়েছে বিশ্বব্যাংক

আপডেট টাইম : ০৬:২৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

দেশের প্রযুক্তি সক্ষমতা অর্জন ও অর্থ সাশ্রয়ে বিশ্বব্যাংকের টাকায় নেওয়া ‘এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই)’ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ার দশায় রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদের বেশিরভাগ সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এর আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ১৪ শতাংশ, আর বাস্তব অগ্রগতি ৩৩ শতাংশ। এর বেশিরভাগই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ইভেন্ট আর ট্রেনিং। অথচ এখনও আলোর মুখ দেখেনি প্রকল্পের মূল কম্পোনেন্ট প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনসংশ্লিষ্ট কাজ। প্রকল্পটির অগ্রগতিতে এমন দীর্ঘসূত্রতায় অসন্তুষ্ট বিশ্বব্যাংক। এ কারণে প্রকল্পটি থেকে ১৭ কোটি ৫ লাখ ডলার ফেরত নিয়েছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে ইডিজিই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এটার অগ্রগতি খুব একটা বেশি হয়নি। প্রকল্পের বাজেট ছিল অনেক। এখন এখানে ১৭৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার স্যারেন্ডার করা হয়েছে। তাহলে টাকা যেহেতু নেই, সব কাজ থাকবে না, কমে গেছে। বর্তমান সরকার এসে কিছু রিভিউ করেছে, কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। বিশ^ব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়েছে তারা বাজেটে সাপোর্ট দেবেন। তাই এখান হতে টাকা কেটে নিয়ে গেছে। এখন টোটাল বাজেট ১২০ মিলিয়ন ডলার মাত্র।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ‘এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই)’ নামের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল, ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতা বাড়ানো। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। বলা হয়েছিল, ২০২৫ সাল পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে নিতে কাজ করা ১ লাখ গ্রাজুয়েটের কর্মসংস্থান উপযোগী প্রশিক্ষণ দেওয়া, সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের একটি জাতীয় জব পোর্টাল করা, সরকারের ক্লাউড সেবা, ইমেইল এবং ইউনিফাইড কমিউনিকেশন সেবা দেওয়া। এর বাইরে স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি করা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারকে কৌশলপত্র দেওয়া ও বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া, বাণিজ্য সংগঠনগুলোতে ইকোনমিক হাব করা, সেন্টার ফর ফোর-আইআর ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রিসার্চ-ইনোভেশন সেন্টার করার কথা ছিল।

তবে প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন বলছে, প্রশিক্ষণ আর সেমিনারেই আটকে আছে প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া। সব মিলে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৬ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ট্রেনিং ও ইভেন্টের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমওইউ সই করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট পোর্টাল উদ্বোধন করা, গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্রের নকশা করা, বাংলাদেশ ও জাপান-বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বন্ধুত্ব উদযাপনসহ কিছু কর্মশালা ও সেমিনার তারা করেছেন।

প্রকল্প কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, প্রকল্পের আওতায় ২৩০ জন সংসদ সদস্যকে ডিজিটাল লিডারশিপ ও সাইবার সিকিউরিটিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন ও আইসিটি নীতিমালার খসড়া করে আইসিটি বিভাগে দেয়। এছাড়া সরকারের ইমেইল সেবা শক্তিশালী করা, প্ল্যাটফর্ম এজ এ সার্ভিস সলিউশনসহ কয়েকটি দরপত্র সম্পন্ন করা এবং কিছু কাজ মাঝ পথে এসে ধীরগতি আর কিছু পরামর্শক নিয়োগই এই প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা।

এদিকে এই প্রকল্পের অগ্রগতির হাল দেখে অসন্তুষ্টি জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে বলেছে। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রকল্পের বাজেটও। এই প্রকল্পের আইডিএ-বিশ্বব্যাংক ও সরকারের অংশ মিলে বাজেট ছিল ২৯৫ মিলিয়ন ডলার। সেখান হতে এখন ১৭৫ মিলিয়ন ডলারই বিশ্বব্যাংক ফেরত নিয়েছে।

এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতি খুঁজতে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে এই ইডিজিই প্রকল্পে গ্রহণ করা দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ইভেন্ট সংকুচিত করা, বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় কম্পোনেন্ট- যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তি ল্যাব নির্মাণ, নানা নামে বিভিন্ন একাডেমির মতো বিষয়গুলো বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

অন্যদিকে ইউনিফাইড কমিউনিকেশন্স কম্পোনেন্ট ও ন্যাশনাল জব পোর্টালের কাজ সম্পন্ন হলেও তা সেবার জন্য উন্মুক্ত করতে পারেনি প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

যদিও প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ন্যাশনাল জব পোর্টাল তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি যুগান্তকারী প্ল্যাটফর্ম হতে পারে, যা সরকারি চাকরির আবেদন প্রক্রিয়াকে সহজ, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসবে। এই উদ্যোগ চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করবে, যা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।

বেকারত্ব নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে এমন প্রকল্পের সেবা কেন দ্রুত উন্মুক্ত করা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যপ্রযুক্তি খাত বিশেষজ্ঞ, ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক ও সিইও টিআইএম নূরুল কবীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে চাকরির সংস্থান কম, বেকারত্বের সংখ্যা বেশি, যেখানে নতুন প্রজন্ম নতুন আশার আলো জাগিয়েছে; সেখানে একটি জব পোর্টাল করা হয়েছে বিদেশি সাহায্যে। সেটি যদি অ্যাক্টিভ করা যায় তাহলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। এটি যেহেতু রেডি আছে তাহলে লঞ্চ করা কেন হচ্ছে না