ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ আগামী বছর মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে: মৎস্যমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০১৭
  • ২৩৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক বলেছেন, “আগামী অর্থবছরে ব্যাপক পরিসরে ৪২ লাখ মেট্রিক টনের ওপরে মাছ উৎপাদন করে দেশ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।”

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৭ শুরু উপলক্ষে মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৮ দশমিক ৭৮ লাখ টন মাছ উৎপাদন করেছে। আমরা আশা করছি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ দশমিক ৫০ লাখ টনে উন্নীত হবে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।

সপ্তাহটি পালন উপলক্ষে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে ও সারাদেশব্যাপী মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ জুলাই কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন,বাংলাদেশ অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন এবং গণভবনের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন।

এছাড়াও, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আগামী ২৪ জুলাই বঙ্গভবনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন।

মৎস্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির কারণে দেশে মাছের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে মাছের উৎপাদন ছিল মাত্র ২৭ দশমিক ০১ লাখ টন, সেখানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৮ দশমিক ৭৮ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।”

খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ধারণার উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “দৈনিক জনপ্রতি ৬০ গ্রাম হিসেবে ধরে দেশে বার্ষিক মোট ৪২ লাখ টন মাছ উৎপাদন হলেই দেশে মাছের চাহিদা পূরণ হবে।”

ইলিশ মাছের উৎপাদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশে মৎস্য উৎপাদনের ১০ ভাগের এক ভাগই হচ্ছে ইলিশ। জাটকা ও মা-ইলিশ রক্ষায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন আইনি ও অন্যান্য পদক্ষেপ ইলিশ উৎপাদনে বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।

মন্ত্রী বলেন, “এই আইনের অধীনে সরকার উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশজুড়ে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন জাটকা ধরা , স্থানান্তর, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। যা ব্যাপক ইলিশ উৎপাদনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

এছাড়াও, তিনি বলেন, “২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকার দেশজুড়ে ৫৫৮ দশমিক ৩৫ টন মাছের পোনা অবমুক্ত করে। মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসময় ১২৫১টি বিল-হ্যাচারী তৈরি করা হয়।”

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগের ফলে একটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকার প্রায় ১৬ লাখ ২০ হাজার জেলের রেজিস্ট্রেশন ও ডাটাবেজ তৈরী এবং ইতোমধ্যে ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলেকে পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাংলাদেশ আগামী বছর মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে: মৎস্যমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৪:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক বলেছেন, “আগামী অর্থবছরে ব্যাপক পরিসরে ৪২ লাখ মেট্রিক টনের ওপরে মাছ উৎপাদন করে দেশ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।”

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৭ শুরু উপলক্ষে মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৮ দশমিক ৭৮ লাখ টন মাছ উৎপাদন করেছে। আমরা আশা করছি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ দশমিক ৫০ লাখ টনে উন্নীত হবে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।

সপ্তাহটি পালন উপলক্ষে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে ও সারাদেশব্যাপী মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ জুলাই কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন,বাংলাদেশ অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন এবং গণভবনের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন।

এছাড়াও, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আগামী ২৪ জুলাই বঙ্গভবনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন।

মৎস্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির কারণে দেশে মাছের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে মাছের উৎপাদন ছিল মাত্র ২৭ দশমিক ০১ লাখ টন, সেখানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৮ দশমিক ৭৮ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।”

খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ধারণার উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “দৈনিক জনপ্রতি ৬০ গ্রাম হিসেবে ধরে দেশে বার্ষিক মোট ৪২ লাখ টন মাছ উৎপাদন হলেই দেশে মাছের চাহিদা পূরণ হবে।”

ইলিশ মাছের উৎপাদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশে মৎস্য উৎপাদনের ১০ ভাগের এক ভাগই হচ্ছে ইলিশ। জাটকা ও মা-ইলিশ রক্ষায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন আইনি ও অন্যান্য পদক্ষেপ ইলিশ উৎপাদনে বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।

মন্ত্রী বলেন, “এই আইনের অধীনে সরকার উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশজুড়ে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন জাটকা ধরা , স্থানান্তর, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। যা ব্যাপক ইলিশ উৎপাদনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

এছাড়াও, তিনি বলেন, “২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকার দেশজুড়ে ৫৫৮ দশমিক ৩৫ টন মাছের পোনা অবমুক্ত করে। মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসময় ১২৫১টি বিল-হ্যাচারী তৈরি করা হয়।”

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগের ফলে একটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকার প্রায় ১৬ লাখ ২০ হাজার জেলের রেজিস্ট্রেশন ও ডাটাবেজ তৈরী এবং ইতোমধ্যে ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলেকে পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে।