শোক দিবসের কর্মসূচির নামে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সাথে যৌথ সভায় এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আগস্ট আমাদের গৌরবের ও শোকের মাস। জাতির পিতাকে স্মরণ করতে এই মাসে শোক দিবসের অনুষ্ঠানের নামে কেউ যদি কোনো ধরনের চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত হয়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের বিষয়টি তদারকি করতে নিদের্শ দেন দলের সাধারণ সম্পাদক। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক দায়িত্বশীল নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, সভা সফল করতে দলীয় নেতাকর্মী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিদের্শ দিয়ে আশরাফ বলেন, জাতির জনকের শাহাদৎ বার্ষিকী সার্বজনীন করে তুলতে আমরা ৪০দিন ব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এই অনুষ্ঠান সফল করতে দলের সহযোগী সংগঠনগুলোকেও বিশেষ ভুমিকা রাখতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, শোকের মাসের কর্মসূচির নামে যেন কেউ চাঁদাবাজি করতে না পারে। সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কারো বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ উঠলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৈয়দ আশরাফের কথা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সহযোগী সংগঠন নয়, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নামধারি গড়ে ওঠা ভুইফোড় সংগঠনগুলো অনুষ্ঠান করার নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে থাকে। এদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
তখন সৈয়দ আশরাফ বলেন, এইসব ভুইফোড় সংগঠনে যেন দলের কোনো কেন্দ্রীয় নেতা অংশ গ্রহণ না করে। এমনিতেই আমাদের সহযোগী সংগঠনের অনেক কর্মসূচি হাতে নেয়া আছে। সেগুলোই সফলভাবে পালন করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, অসীম কুমার উকিল, ফরিদুন্নাহার লাইলী, মৃণাল কান্তি দাস, এনামুল হক শামীম, আমিনুল ইসলাম আমিন, সুজিত রায় নন্দী, যুবলীগের হারুনুর রশীদ, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, যুব মহিলা লীগের নাজমা আক্তার, অপু উকিল, ছাত্রলীগের সাইফুর রহমান সোহাগ, এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ।