ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেড়েই চলেছে কাঁচা মরিচের দাম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০১৭
  • ৪০৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  কাঁচা মরেচর ঝাল যেন কমছেই না। দফায় দফায় বেড়েই চলেছে এর দাম। গত সপ্তাহেও যে মরিচ ছিল ৯০-১০০ টাকা কেজি তা এ সপ্তাহে এসে দাঁড়িয়েছে ১১০-১২০ টাকায়। বৃষ্টিতে মরিচ পচে যাওয়াকেই দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েই চলেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৬৫ টাকা থাকলেও এ সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭০ টাকায়। অন্যদিকে মাছের বাজারও বেশ চড়া। শুক্রবার রাজধানীর পুর্ব রাজাবাজার, শুক্রাবাদ, গুলশান-১ এর ডিসিসি মার্কেট ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

চড়া দামে চালের বাজার এখন স্থিতিশীল। প্রকার ও মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ টাকায়, প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকায়, আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে। আটা ময়দার বাজার রয়েছে আগের মতই। প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৬- ২৮ টাকা আর প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকায়। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৪-৩৬ টাকা দরে আর প্যাকেটজাত ময়দা ব্র্যান্ডভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায়।

দফায় দফায় বেড়ে ক্রেতা-সাধারণের নাগালের বাইরে যাওয়া বিদেশি রসুনের দাম কমে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে এসেছে। প্রতি কেজি বিদেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়। দেশি রসুনের দাম বেশ আগে থেকেই রয়েছে স্থিতিশীল। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা। পেঁয়াজের বাজারও রয়েছে স্থিতিশীল। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকা আর আমদানিকৃত রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৬-২৮ টাকা প্রতি কেজি দরে। প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১১০ টাকা।

গত সপ্তাহে বেগুন ও শসার দাম বাড়লেও এ সপ্তাহে তা কমেছে। অন্যান্য সবজীর দাম রয়েছে নাগালের মধ্যে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি বেগুন ছিল ৬০-৬৫ টাকা আর এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। অন্যদিকে গত সপ্তাহের ৪৫-৫০ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। অন্যান্য সবজীর মধ্যে পটল ৩০-৩৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৪০-৪৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫-৫০ টাকা, বরবটি ৪৫-৫০ টাকা, আলু ১৮-২২ টাকা, কচুর লতি ৩৫-৪০ টাকা, কচুর মুখি ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংসের দাম রয়েছে আগের মতই। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২৫-৭৫০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়। মাছের বাজার বেশ চড়া। মাঝারি আকারের রুই ও কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকায়। কম দামের মাছ হিসেবে পরিচিত তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৮০ টাকায়। অন্যান্য মাছের মধ্যে টেংরা ৪৫০-৫০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০-৭০০ টাকা, বড় আকারের বেলে মাছ ৭৫০-৮০০ টাকা, পুঁটি ৩০০-৩৫০ টাকা, পাবদা ৬০০-৭৫০ টাকা, ইলিশ ৮০০-১৬০০টাকা, শিং ৭০০-৮০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের এ দাম বাড়ার কারণ হিসেবে শুক্রাবাদ বাজারের মত্স ব্যবসায়ী রেজউল করিম বলেন, রাজধানীতে মাছের আমদানি একেবারেই কম। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে শহরের লোকজন গ্রামে চলে যাওয়ায় গ্রামে মাছের চাহিদা বেড়েছে তাই ঢাকায় কম মাছ আসছে। অন্যদিকে ফেরিঘাটগুলোতে গণপরিবহণ পারাপারে প্রাধান্য দেওয়াতেও রাজধানীতে কম মাছ আসছে বলে মনে করেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বেড়েই চলেছে কাঁচা মরিচের দাম

আপডেট টাইম : ১১:৪৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  কাঁচা মরেচর ঝাল যেন কমছেই না। দফায় দফায় বেড়েই চলেছে এর দাম। গত সপ্তাহেও যে মরিচ ছিল ৯০-১০০ টাকা কেজি তা এ সপ্তাহে এসে দাঁড়িয়েছে ১১০-১২০ টাকায়। বৃষ্টিতে মরিচ পচে যাওয়াকেই দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েই চলেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৬৫ টাকা থাকলেও এ সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭০ টাকায়। অন্যদিকে মাছের বাজারও বেশ চড়া। শুক্রবার রাজধানীর পুর্ব রাজাবাজার, শুক্রাবাদ, গুলশান-১ এর ডিসিসি মার্কেট ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

চড়া দামে চালের বাজার এখন স্থিতিশীল। প্রকার ও মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ টাকায়, প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকায়, আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে। আটা ময়দার বাজার রয়েছে আগের মতই। প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৬- ২৮ টাকা আর প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকায়। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৪-৩৬ টাকা দরে আর প্যাকেটজাত ময়দা ব্র্যান্ডভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায়।

দফায় দফায় বেড়ে ক্রেতা-সাধারণের নাগালের বাইরে যাওয়া বিদেশি রসুনের দাম কমে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে এসেছে। প্রতি কেজি বিদেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়। দেশি রসুনের দাম বেশ আগে থেকেই রয়েছে স্থিতিশীল। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা। পেঁয়াজের বাজারও রয়েছে স্থিতিশীল। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩২ টাকা আর আমদানিকৃত রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৬-২৮ টাকা প্রতি কেজি দরে। প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১১০ টাকা।

গত সপ্তাহে বেগুন ও শসার দাম বাড়লেও এ সপ্তাহে তা কমেছে। অন্যান্য সবজীর দাম রয়েছে নাগালের মধ্যে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি বেগুন ছিল ৬০-৬৫ টাকা আর এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। অন্যদিকে গত সপ্তাহের ৪৫-৫০ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। অন্যান্য সবজীর মধ্যে পটল ৩০-৩৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৪০-৪৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫-৫০ টাকা, বরবটি ৪৫-৫০ টাকা, আলু ১৮-২২ টাকা, কচুর লতি ৩৫-৪০ টাকা, কচুর মুখি ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংসের দাম রয়েছে আগের মতই। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২৫-৭৫০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়। মাছের বাজার বেশ চড়া। মাঝারি আকারের রুই ও কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকায়। কম দামের মাছ হিসেবে পরিচিত তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৮০ টাকায়। অন্যান্য মাছের মধ্যে টেংরা ৪৫০-৫০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০-৭০০ টাকা, বড় আকারের বেলে মাছ ৭৫০-৮০০ টাকা, পুঁটি ৩০০-৩৫০ টাকা, পাবদা ৬০০-৭৫০ টাকা, ইলিশ ৮০০-১৬০০টাকা, শিং ৭০০-৮০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের এ দাম বাড়ার কারণ হিসেবে শুক্রাবাদ বাজারের মত্স ব্যবসায়ী রেজউল করিম বলেন, রাজধানীতে মাছের আমদানি একেবারেই কম। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে শহরের লোকজন গ্রামে চলে যাওয়ায় গ্রামে মাছের চাহিদা বেড়েছে তাই ঢাকায় কম মাছ আসছে। অন্যদিকে ফেরিঘাটগুলোতে গণপরিবহণ পারাপারে প্রাধান্য দেওয়াতেও রাজধানীতে কম মাছ আসছে বলে মনে করেন তিনি।