ঢাকা ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মামলায় জিতে চেয়ারম্যান হলেন বাদল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৩:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০১৭
  • ৩৫২ বার

অবশেষে ফলাফল পরিবর্তনের মামলায় মো. ফজলুল করিম বাদলকে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন ট্র্যাইব্যুনাল।

সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জের নির্বাচনী ট্র্যাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী জজ মো. আমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

নতুন করে ভোট পুনঃগণনা এবং দু’তরফা দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৮ মে আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফজলুল করিম বাদল এবং আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী আবদুল মন্নাফ ৯টি কেন্দ্রে ৫২৮০ করে ভোট পান।

অপর ৫০ নং আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী পান ৬৯৬ এবং আনারস প্রতীকের প্রার্থী পান ৬২৫ ভোট। কেন্দ্রে এজেন্টদের সামনে এ ফলাফল ঘোষণাও করা হয়।

পরবর্তীতে প্রিজাইডিং অফিসার মনির উদ্দিন ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আসাদুজ্জামান ভূইয়া ফলাফল সিটে বিজয়ী ও বিজিত প্রার্থীর ভোট ওলটপালট করে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে চূড়ান্ত ফলাফল জমা দেন। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে পরাজিত প্রার্থীকে ৭১ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

এ ফলাফল ঘোষণার পর আদমপুর বাজার এলাকায় দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক লোক আহত হয়।

নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তের ঘটনায় মো. ফজলুল করিম বাদল ২০১৬ সালের ২৫ আগস্ট কিশোরগঞ্জের নির্বাচনী ট্র্যাইব্যুনালে মামলা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মামলায় জিতে চেয়ারম্যান হলেন বাদল

আপডেট টাইম : ১১:১৩:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০১৭

অবশেষে ফলাফল পরিবর্তনের মামলায় মো. ফজলুল করিম বাদলকে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন ট্র্যাইব্যুনাল।

সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জের নির্বাচনী ট্র্যাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী জজ মো. আমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

নতুন করে ভোট পুনঃগণনা এবং দু’তরফা দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৮ মে আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফজলুল করিম বাদল এবং আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী আবদুল মন্নাফ ৯টি কেন্দ্রে ৫২৮০ করে ভোট পান।

অপর ৫০ নং আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী পান ৬৯৬ এবং আনারস প্রতীকের প্রার্থী পান ৬২৫ ভোট। কেন্দ্রে এজেন্টদের সামনে এ ফলাফল ঘোষণাও করা হয়।

পরবর্তীতে প্রিজাইডিং অফিসার মনির উদ্দিন ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আসাদুজ্জামান ভূইয়া ফলাফল সিটে বিজয়ী ও বিজিত প্রার্থীর ভোট ওলটপালট করে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে চূড়ান্ত ফলাফল জমা দেন। রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে পরাজিত প্রার্থীকে ৭১ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

এ ফলাফল ঘোষণার পর আদমপুর বাজার এলাকায় দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক লোক আহত হয়।

নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তের ঘটনায় মো. ফজলুল করিম বাদল ২০১৬ সালের ২৫ আগস্ট কিশোরগঞ্জের নির্বাচনী ট্র্যাইব্যুনালে মামলা করেন।