ঢাকার সড়কের বনসাই ভিনদেশি বনসাই

এয়ারপোর্ট সড়কের দু’পাশ সাজছে বনসাই দিয়ে। আমরা দু’চারফুট উঁচু যেমন বনসাই দেখি, এগুলো তার চেয়ে ভিন্ন প্রকৃতির। ১২ থেকে ১৫ ফুট উঁচু এই বনসাইগুলোর মোটা গুঁড়ির আগায় সবুজ পাতায় ছাওয়া। এক সঙ্গে অনেক বনসাই দেখলে চোখ জুড়ায়। বনসাইগুলো আনা হয়েছে থাইল্যান্ড থেকে। দুই হাজার বনসাইয়ের সবগুলোই শত বছর বয়সী। এয়ারপোর্ট থেকে শহরে প্রবেশ করলে সেখান থেকে র্যাডিসন হোটেল পর্যন্ত বনসাই লাগানোর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। কোথাও ঠায় দাঁড়িয়ে আছে গাছগুলো। কোথাও স্থাপন করা হচ্ছে মাত্র। বাকিগুলো দ্রুতই পথে এসে দাঁড়াবে। পৃথিবীর সব দেশেই এয়ারপোর্ট থেকে শহরে প্রবেশের পথ মনোরমভাবে সাজানো থাকে। এবার আমাদের সড়কটি অনাবিল সৌন্দর্যে সাজছে। শুধু বনসাই নয়, এয়ারপোর্ট থেকে বনানী পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে থাকছে আধুনিক যাত্রী ছাউনি, অসংখ্য গার্ডেন বেঞ্চ, আধুনিক ডাস্টবিন। সেসব ডাস্টবিনে থাকবে তাপমাত্রা নির্ণয়, দিন ও সময় জানানোর যন্ত্র। নানারকম সুবিধা সংবলিত ও মনোরমভাবে সাজানো এই এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যেন পার না পায়, তার জন্য বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। যা-ই হোক এই সড়কের সুন্দর সাজ টিকে থাকবে আশা করা যায়। অপরদিকে পরিবেশবাদীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। তারা আগে থেকেই বিরোধিতা করছে বনসাই নিয়ে। তার মধ্যে ভিনদেশি বনসাই আমদানি। দেশি গাছ কেটে বনসাই ভালোভাবে নিচ্ছে না তারা। ভেতরে ক্ষোভ থাকলেও প্রকাশ করছে না তারা। অপরদিকে বনসাইপ্রেমী ও সাধারণ মানুষ এই সাজের প্রশংসাই করছেন। সওজ ও জনপথ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে ‘বনানী ওভারপাস-এয়ারপোর্ট মোড় বিউটিফিকেশন’-এর কাজ করছে ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর