ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে বিয়ের আগে পরস্পরকে যে প্রশ্নগুলো করা জরুরি

আগাম নির্বাচনে না * মধ্যবর্তী অথবা নতুন কোনো জাতীয় নির্বাচনে সরকারি দল আগ্রহী নয় * নির্বাচন পদ্ধতিও থাকবে অপরিবর্তিত * বিএনপির দাবি নিয়ে মাথাব্যথা নেই আওয়ামী লীগের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০১৫
  • ৬১০ বার

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে অনেকটা সরে এলেও দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির মধ্যবর্তী কিংবা আগাম নির্বাচনের দাবিতেও সাড়া নেই সরকারের। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে কোনো জাতীয় নির্বাচনের মানসিক প্রস্তুতি নেই সরকারের। এমনকি পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্বাচন পদ্ধতিও অপরিবর্তিত রাখতে চান সরকারের নীতিনির্ধারকরা। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারাও নির্বাচনব্যবস্থা বহাল রেখেই ২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচন করার পক্ষে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন। ২০১৯ সালকে টার্গেট করেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিএনপির দাবি নিয়ে মাথাব্যথা নেই ক্ষমতাসীন দলটির। বরং ক্ষমতার মেয়াদ পূরণে সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে নেওয়া হচ্ছে নানান পরিকল্পনা। উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও নেওয়া হচ্ছে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান প্রধান এজেন্ডা বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। জনগণের স্বার্থে নেওয়া হচ্ছে নানামুখী পরিকল্পনা। সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, সরকার সঠিক পথে এগোলে বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি জনগণই প্রত্যাখ্যান করবে। পাশাপাশি সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতির মাঠে থাকলে বিএনপির কোনো আন্দোলনই সফল হবে না। আওয়ামী লীগ মনে করছে, বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মামলার জট ও জনবিরোধী নেতিবাচক কর্মকাণ্ড দলটিকে সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল করবে। একাধিক মামলায় অভিযুক্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও লন্ডনে অবস্থানরত দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে খোদ বিএনপিতেই এখন নানান শঙ্কা। সাংগঠনিকভাবে দুর্বল বিএনপি ক্রমাগত আন্দোলনের গতি হারাচ্ছে; এ মুহূর্তে বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি মেনে নেওয়াকে রাজনৈতিক পরাজয় মনে করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। বরং বিএনপিকে আন্দোলন, সংগ্রামে ব্যস্ত রেখে দল সাজানোর কাজ সেরে নিতে চান আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা মনে করেন, সংবিধান অনুসারে ২০১৯ সালের আগে নির্বাচনের সুযোগ নেই। তবে গত শনিবার এক মতবিনিময় সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসায় আওয়ামী লীগে নতুন চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি মেনে নেওয়া নয় বরং আগামী নির্বাচনে শক্তভাবে বিএনপিকে মোকাবিলার একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে বিএনপির আগামী জাতীয় নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি পর্ব বলেই মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটি মনে করে খালেদা জিয়ার এ বক্তব্য বিএনপিতে শুভবুদ্ধির উদয়ের পরিচায়ক। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক কিংবা অন্য কোনো সরকারব্যবস্থা নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অভিমত- বিএনপি নির্বাচনের ট্রেন মিস করেছে। নির্বাচনের ট্রেনের মাঝপথ থেকে নেমে গেছে বিএনপি। কাজেই পরবর্তী স্টেশনে নতুন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র পথ নির্বাচন। এর বাইরে কোনোই সুযোগ নেই। কিন্তু মাত্র কিছু দিন হলো একটি নির্বাচন হয়েছে। পরবর্তী নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে অপেক্ষা করতেই হবে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা এবং বিশ্ব রাজনীতিতে তিন বছর কয়েক মাস খুব বেশি দিন না। আমরাও (আওয়ামী লীগ) দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে ছিলাম। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিএনপিকে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, তারা জ্বালাও-পোড়াও, হত্যার রাজনীতি বাদ দিয়ে এখন যে কোনো পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি করছে, এটা ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ্ বলেন, বিএনপি এতদিন আন্দোলন করে সরকার পতন করতে চেয়েছিল। কিন্তু যখন আন্দোলনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে, বুঝতে পেরেছে আওয়ামী লীগ সরকার জনবান্ধব সরকার, উন্নয়নের সরকার; তখন নমনীয় হতে শুরু করেছে। নির্বাচন যথাসময়েই হবে। সংবিধানের বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফও বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে বলেন, এ দেশের জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত করেছে। মেয়াদ পূরণের লক্ষ্য নিয়েই সরকার ও দল কাজ করে যাচ্ছে। কোনো হঠকারী আন্দোলন আর অযৌক্তিক দাবির কাছে আওয়ামী লীগ তার নীতিগত অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াতে পারে না। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বিএনপি আসলে কী চায় তা দেখতে হলে আরও অপেক্ষা করতে হবে। বিএনপিকে আগে অবশ্যই তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তারা যদি গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতে চায় তবে অবশ্যই তাদের জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো ধ্বংসাত্দক কর্মসূচি বাদ দিতে হবে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্বীকার করে নিয়ে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়নবিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকেও বিরত থাকতে হবে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল

আগাম নির্বাচনে না * মধ্যবর্তী অথবা নতুন কোনো জাতীয় নির্বাচনে সরকারি দল আগ্রহী নয় * নির্বাচন পদ্ধতিও থাকবে অপরিবর্তিত * বিএনপির দাবি নিয়ে মাথাব্যথা নেই আওয়ামী লীগের

আপডেট টাইম : ০৭:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০১৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে অনেকটা সরে এলেও দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির মধ্যবর্তী কিংবা আগাম নির্বাচনের দাবিতেও সাড়া নেই সরকারের। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে কোনো জাতীয় নির্বাচনের মানসিক প্রস্তুতি নেই সরকারের। এমনকি পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্বাচন পদ্ধতিও অপরিবর্তিত রাখতে চান সরকারের নীতিনির্ধারকরা। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারাও নির্বাচনব্যবস্থা বহাল রেখেই ২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচন করার পক্ষে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন। ২০১৯ সালকে টার্গেট করেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিএনপির দাবি নিয়ে মাথাব্যথা নেই ক্ষমতাসীন দলটির। বরং ক্ষমতার মেয়াদ পূরণে সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে নেওয়া হচ্ছে নানান পরিকল্পনা। উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও নেওয়া হচ্ছে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান প্রধান এজেন্ডা বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। জনগণের স্বার্থে নেওয়া হচ্ছে নানামুখী পরিকল্পনা। সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, সরকার সঠিক পথে এগোলে বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি জনগণই প্রত্যাখ্যান করবে। পাশাপাশি সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতির মাঠে থাকলে বিএনপির কোনো আন্দোলনই সফল হবে না। আওয়ামী লীগ মনে করছে, বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মামলার জট ও জনবিরোধী নেতিবাচক কর্মকাণ্ড দলটিকে সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল করবে। একাধিক মামলায় অভিযুক্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও লন্ডনে অবস্থানরত দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে খোদ বিএনপিতেই এখন নানান শঙ্কা। সাংগঠনিকভাবে দুর্বল বিএনপি ক্রমাগত আন্দোলনের গতি হারাচ্ছে; এ মুহূর্তে বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি মেনে নেওয়াকে রাজনৈতিক পরাজয় মনে করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। বরং বিএনপিকে আন্দোলন, সংগ্রামে ব্যস্ত রেখে দল সাজানোর কাজ সেরে নিতে চান আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা মনে করেন, সংবিধান অনুসারে ২০১৯ সালের আগে নির্বাচনের সুযোগ নেই। তবে গত শনিবার এক মতবিনিময় সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসায় আওয়ামী লীগে নতুন চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি মেনে নেওয়া নয় বরং আগামী নির্বাচনে শক্তভাবে বিএনপিকে মোকাবিলার একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে বিএনপির আগামী জাতীয় নির্বাচনে আসার প্রস্তুতি পর্ব বলেই মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটি মনে করে খালেদা জিয়ার এ বক্তব্য বিএনপিতে শুভবুদ্ধির উদয়ের পরিচায়ক। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক কিংবা অন্য কোনো সরকারব্যবস্থা নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অভিমত- বিএনপি নির্বাচনের ট্রেন মিস করেছে। নির্বাচনের ট্রেনের মাঝপথ থেকে নেমে গেছে বিএনপি। কাজেই পরবর্তী স্টেশনে নতুন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র পথ নির্বাচন। এর বাইরে কোনোই সুযোগ নেই। কিন্তু মাত্র কিছু দিন হলো একটি নির্বাচন হয়েছে। পরবর্তী নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে অপেক্ষা করতেই হবে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা এবং বিশ্ব রাজনীতিতে তিন বছর কয়েক মাস খুব বেশি দিন না। আমরাও (আওয়ামী লীগ) দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে ছিলাম। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিএনপিকে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, তারা জ্বালাও-পোড়াও, হত্যার রাজনীতি বাদ দিয়ে এখন যে কোনো পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি করছে, এটা ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ্ বলেন, বিএনপি এতদিন আন্দোলন করে সরকার পতন করতে চেয়েছিল। কিন্তু যখন আন্দোলনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে, বুঝতে পেরেছে আওয়ামী লীগ সরকার জনবান্ধব সরকার, উন্নয়নের সরকার; তখন নমনীয় হতে শুরু করেছে। নির্বাচন যথাসময়েই হবে। সংবিধানের বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফও বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে বলেন, এ দেশের জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত করেছে। মেয়াদ পূরণের লক্ষ্য নিয়েই সরকার ও দল কাজ করে যাচ্ছে। কোনো হঠকারী আন্দোলন আর অযৌক্তিক দাবির কাছে আওয়ামী লীগ তার নীতিগত অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াতে পারে না। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বিএনপি আসলে কী চায় তা দেখতে হলে আরও অপেক্ষা করতে হবে। বিএনপিকে আগে অবশ্যই তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তারা যদি গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতে চায় তবে অবশ্যই তাদের জ্বালাও-পোড়াওয়ের মতো ধ্বংসাত্দক কর্মসূচি বাদ দিতে হবে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্বীকার করে নিয়ে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়নবিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকেও বিরত থাকতে হবে।