বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, গ্লুকোমা চোখের এমন একটি নীরব ঘাতক, যা মানুষ বুঝতেই পারে না যে সে এ ধরনের সমস্যায় ভুগছে।
তাই গ্লুকোমা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানসমূহসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বিতভাবে কাজ করা জরুরি।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সি-ব্লকে গ্লুকোমা দিবসের অনুষ্ঠানে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
‘উপসর্গহীন গ্লুকোমা প্রতিহত করুন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহের (১২-১৮ মার্চ) কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ, স্বাস্থ্যসম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মীবৃন্দ এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিবর্গের সমন্বিত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা সামজিক আন্দোলন জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় বিরাট অবদান রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জাফর খালেদ। আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আরিফ মিঞা এবং সেক্রেটারি জেনারেল ডা. জাকিয়া সুলতানা শহীদ।
অনুষ্ঠান শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয় এবং চক্ষু বহিঃবিভাগে দিনব্যাপী ফ্রি গ্লুকোমা স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।
গবেষণার জন্য ৫২ শিক্ষক-চিকিৎসককে মঞ্জুরি প্রদান : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষণা ফান্ড থেকে গবেষণা অনুদানের জন্য মনোনীত ৫২ জন শিক্ষক ও চিকিৎসককে মঞ্জুরিপত্র ও অনুদানের চেক তুলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার ডা. মিল্টন হলে অনুষ্ঠান করে চেক তুলে দেওয়া হয়।