অনিয়ম, দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকার আন্তরিক: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। রোববার সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহ’র (ফেনী-৩) জাতীয় সংসদের টেবিলে উত্থাপিত এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, মাঠ প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনতে বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্স, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, গ্রিভেন্স রিড্রেস সিস্টেম, অডিট কার্যক্রম, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ দাখিল, আয়কর রিটার্ন দাখিল, বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রশাসনকে গতিশীল ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ৪৬০৬৯৮ পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কর্মপরিধি, কাজের গুরুত্ব, জনসেবা, ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গতিশীল করার প্রয়োজনে দেশের সকল জেলায় ১টি করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক করে (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মোট ৬৪টি এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি) নামে আরও ৪৩টি পদ নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইসিটি শাখার জন্য ২৮৮টি পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী।

বর্তমান সরকারের আমলে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসে সর্বমোট ১৯ হাজার ৭৫ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ছাড়াও ৩৫তম, ৩৬তম এবং ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে যথাক্রমে ২ হাজার ১৭২, ২ হাজার ১৮০, এবং এক হাজার ১৮২ জন কর্মকর্তা নিয়োগের কার্যক্রম চলমান আছে। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।

সৈয়দ আশরাফ আরও বলেন, অদক্ষতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ (প্রবেশ পর্যায়ে), উচ্চতম প্রশাসন ও উন্নয়ন কোর্স (মধ্যম পর্যায়ে) সিনিয়র স্টাফ কোর্স (ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে), আইন ও প্রশাসন কোর্স (প্রবেশ পর্যায়ে), দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং পলিসি গ্রহণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

জনবান্ধব সরকারি সেবা-ব্যবস্থাপনা এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের আইনসম্মত নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি কর্মচারী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইনের খসড়া ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন লাভ করেছে। এছাড়া সরকারি কর্মচারীদের সৃজনশীল কার্যক্রমকে উৎসায়িত ও সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে অধিকতর গতিশীল করার লক্ষ্যে জনপ্রশাসন পদক প্রবর্তন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর