দেশে গ্যাস সঙ্কট ৬৬০ মিলিয়ন ঘনফুট : নসরুল হামিদ

দেশে গ্যাসের চাহিদা ৩ হাজার ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর বিপরীতে দুই হাজার ৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশে বর্তমানে ৬৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সঙ্কট রয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) টেবিলে উত্থাপিতসংসদ সদস্য বেগম সানজিদা খানমের(মহিলা আসন-২৪)এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় সংসদের কার্যক্রম শুরু হয়।

নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশে গ্যাস চাহিদার পরিমাণ দৈনিক প্রায় ৩৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং দৈনিক গড়ে প্রায় ২৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা হচ্ছে।’

এ সময় বর্তমান সরকারের আমলে গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপের ফলে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ দৈনিক প্রায় ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পেয়েছে দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের ফলে গ্যাসের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশে গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি রয়েছে।’

গ্যাসের ঘাটতি পূরণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘২০২১ সাল নাগাদ ৫৪টি অনুসন্ধান কূপ ও ৩২টি উন্নয়ন কূপ খনন করা হবে। এ ছাড়া ২২টি পুরাতন কূপের ওয়ার্কওভার করা হবে। এসকল কার্যক্রম সম্পাদন শেষে দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ১১০০ থেকে ১২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করা যায়।’

বর্তমানে বাপেক্সের পাশাপাশি বিদেশি কোম্পানিও কুপ খননকাজে নিয়োজিত আছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম ৫টি এবং চাইনিজ কোম্পানি সিনোপ্যাক ৩টি কূপ খনন কাজ সম্পন্ন করেছে। চাইনিজ কোম্পানি সিনোপ্যাকের আরও কূপ খনন করা বাকি আছে।’

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর (সিলেট-৩) আরেক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘গ্যাসের ঘাটতি পূরণে সরকার ২০১৬-২০২১ সাল পর্যন্ত সম্পাদিতব্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০২১ সাল নাগাদ ৫৪টি অনুসন্ধ্যান কূপ ও ৩২টি উন্নয়ন কূপ খনন করা হবে। এ ছাড়া ২২টি পুরাতন কূপের ওয়ার্কওভার করা হবে। এ সকল কার্যক্রম সম্পাদন শেষে দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা-১১শ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে এক হাজার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘অগভীর সমুদ্রাঞ্চলে ব্লক এসএস-১১ এ সন্তোষ-ক্রিস এনার্জি প্রায় ৩ হাজার ২০০ লাইন কিলোমিটার ২ডি সাইসমিক সার্ভে পরিচালনা করে সংগৃহীত ডাটা ইন্টারপ্রিটেশন সম্পন্ন করেছে। যা থেকে বেশ কয়েকটি সম্ভাবনাময় প্রোসপেক্ট চিহিত হয়েছে। ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে এব্লকে ৩পি সাইসমিক সার্ভে পরিচালনা করা হবে এবং পরবর্তীতে একটি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হবে।’

গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলায় সরকার এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রথম দফায় ২০১৮ সালের প্রথম দিকে দৈনিক ৫শ মিলিয়ন ঘনফুট করে রিগ্যাসিফাইড এলএনজি সিস্টেমে যোগ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর