যে কাজের জন্যে দ্বিতীয় দফায় ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক’ (বিপিএম) পেয়েছেন মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ

সাফল্যের জন্যে এবারও বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানজনক ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক’ (বিপিএম) পেয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মত তিনি ওই পদক পেলেন। এর আগে তিনি ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দুইবার পুলিশের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক ‘প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক ’ (পিপিএম) লাভ করেন।

পুলিশ হেডকোয়ার্টাস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা এবং দুর্গাপুজায় জেলাকে অপরাধ এবং যানজট মুক্ত রাখতে সক্ষম হন পুলিশ সুপার। ফলে মুসল্লী এবং ঈদ ও দুর্গাপূজায় ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন।

গত ১৯ জুলাই গাজীপুরের বোর্ডবাজার ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ছিনতাই হওয়া ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করে মালিককে ফিরিয়ে দেন পুলিশ সুপার। গুলশান হামলার পর গত ২৭ আগষ্ট গাজীপুরের রাজবাড়ি মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও জঙ্গীবাদ বিরোধী সমাবেশের আয়োজন করেন পুলিশ সুপার। জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক লাখ মানুষ ওই সমাবেশে যোগ দেন। এতে জনগণের মধ্যে জঙ্গীবাদ বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনসচেতনতার সৃষ্টি হয়।

ঈদুল আযহার আগে ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গী বিসিকে টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় অগ্নিকান্ডের পর বিষ্ফোরনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩৯জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী আহত হন। পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার কাজে নেতৃত্বে দেয়াসহ আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত এবং নিহতদের লাশ সনাক্ত করে পরিবারের নিকট হস্তান্তরে তাঁর ভূমিকা ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়।

৮ অক্টোবর গাজীপুর শহরের হাড়িনালের পাতারটেক নামক স্থানে জঙ্গী আস্তানায় বিশেষ যৌথ অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশ সুপারের বলিষ্ঠ ও দু:সাহসিক নেতৃত্বে সফল অভিযানে জেএমবি ঢাকা বিভাগীয় প্রধান নব ফরিদুল ইসলাম ওরফে আকাশসহ ৯ জঙ্গী নিহত হয়। এতে জনগণের কাছে পুলিশ প্রশংসিত হয়।

এছাড়াও তাঁর বলিষ্ঠ ও দু:সাহসিক নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার, মাদকসেবী ও মাদকদ্রব্য বিক্রতাদের গ্রেফতার এবং মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে গাজীপুর জেলা পুলিশ ব্যাপক সফলতা লাভ করে। এতে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী, চোরাকারবারী, ভূমি দস্যুদের দখলবাজীর মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কমে আসে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর