শুভ ‘বড় দিন’ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ সবার জন্যই আনন্দ ও উৎসবমুখরতা বয়ে আনবে বলে আশা করছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় এক বাণীতে বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি এই এই কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মানবজাতির মুক্তির লক্ষ্যে এ পৃথিবীতে মহামতি যিশুখ্রিষ্টের আবির্ভাব ছিল এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। যিশু খ্রিষ্ট ছিলেন মুক্তির দূত, আলোর দিশারী।’ তিনি বলেন, ‘পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে বহু ত্যাগ-তিতীক্ষা সহ্য করে যিশুখ্রিষ্ট সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারসহ খ্রিষ্টধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেন। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানান।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘যিশুখ্রিষ্টের মতে মানুষের পরিত্রাণের উপায় হলো জগতের মাঝে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থান। পূর্ণ অন্তর, মন ও শক্তি দিয়ে তিনি ঈশ্বর ও সকল মানুষকে ভালোবাসতে বলেছেন।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাগতিক সুখের পরিবর্তে যিশুখ্রিষ্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ সমস্যাসংকুল বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। এ সম্প্রীতি আমাদের আবহমান কাল ধরে। এখানে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।’
যারা হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে এই ঐতিহ্যকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বানও জানান আবদুল হামিদ।