ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি ক্ষমতার পাগল নয়, ক্ষমতা বিএনপির প্রাপ্য : এডভোকেট ফজলুর রহমান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ১০ বার
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, যারা বলছেন বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলি, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে যায়নি। ক্ষমতাটা বিএনপির প্রাপ্য। আওয়ামী লীগ গেছে, তারা মাঠে নেই। এখন বিএনপি হলো দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল। এখন নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ সিট পাবে। ফসলের জন্য ক্ষেত প্রস্তুত করেছে বিএনপি, বীজ লাগাইছি আমরা, নিড়ানি দিছি আমরা, রোগ-বালাই দমন করেছি অমরা। এখন ধান কি অন্যের ঘরে যাবে? তা হতে পারে না। রক্তে বোনা এই ধান পাওয়ার ন্যায্য অধিকার কেবল বিএনপিরই আছে। জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক। ইউনুস সাহেবরা হলেন পাহারাদার। কাজেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন। দেশের মালিকদের ঠিক করতে দিন দেশের পাহারাদার কে হবে, কোন দলে হবে।
শনিবার কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম পাইলট স্কুল মাঠে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এডভোকেট ফজলুর রহমান দেশে চলমান বিশৃঙ্খলার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে, জেলে দিয়েছে অন্যায়ভাবে। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগের মতো চলতে চাই না। আমরা চাই দেশের আইন সঠিকভাবে চলুক। আমি বলি আওয়ামী লীগের নির্দোষ লোকদের নির্যাতন করা যাবে না। তাদের ওপর অন্যায় আচরণ করা যাবে না। কিন্তু ৫ই আগস্টের পর আমরা অনেক অন্যায় হতে দেখছি। মাজার ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সংস্কৃতি ও গানবাজনায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের মনের খোরাক। এগুলোকে রক্ষা করতে হবে। দেশের মানুষ গান শোনে। তারা লালন, হাসনরাজা, রাধারমনের গান শোনে। তাই আমি বলি দেশে ধর্ম থাকবে। বাঙালির সংস্কৃতিও থাকবে। ছেলে মেয়েরা ধর্মীয় শিক্ষা যেমন পাবে, তেমনি স্কুল কলেজেও যাবে। তারা ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে। বিজ্ঞানকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। পৃথিবীতে বিজ্ঞানকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। বিজ্ঞান মানতে হবে। বিজ্ঞান থাকবে ধর্মও থাকবে। এই দুইটা সমানে সামনে চলবে। তা না হলে পৃথিবীতে আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ হতে পারবো না।
দুপুরে সমাবেশ শুরু হলেও সকাল ১০টা থেকে দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মাঠে আসতে থাকে। ১২টার দিকে পুরো মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদ।
একাত্তর ও মক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেন, আগে আমাদের দেশের নাম ছিল পাকিস্তান। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হইছে। মায়ের পেট থেকে যেমন বাচ্চা হয়, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের পেট থেকে বাংলাদেশ হইছে। এখন বাংলাদেশ বা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করলে মাকে অস্বীকার করা হয়। মাকে যে ছেলে অস্বীকার করে সে ভালো ছেলে ন। মুক্তিযুদ্ধকে যারা অস্বীকার করে তারা ভালো মানুষ না। আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধকে না মানেন, আমি আপনাকে রাজাকার বলব। মুক্তিযুদ্ধকে না মানলে আমি বলব আপনার পূর্বপুরুষ আল-বদর ও দালাল ছিল। এর জন্য আপনারা আমাকে যত গালাগালিই করেন না কেন, আমি মুক্তিযুদ্ধকে ছাড়তে পারব না। কারণ লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে এদেশকে স্বাধীন করেছি আমরা।
রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ্য করে ফজলুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে মাইনা আপনি পাল্লা (দাঁড়িপাল্লা) মার্কায় ভোট চান, ডালিম মার্কায় ভোট চান, ইসলামের কথা বলে ভোট চান, হেফাজতে ইসলামের কথা বলে ভোট চান, আহলে হাদিসের নামে ভোট চান, আমার আপত্তি নেই। মানুষ যদি আপনাদের ভোট দেয়, ইসলামের কথা শুনে যদি ভোট দেয়- আপনি দেশ চালান। আপনাকে আমি স্যালুট করব। ফজলুর রহমান আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে হাসিনার কোনো সম্পর্ক নাই। হাসিনা আর মুক্তিযুদ্ধ এক নয়। এখন হাসিনা ফেইল করেছে। তাই বলে তার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধতো ফেইল করেনি। একটা জাতির মুক্তিযুদ্ধ কখনো ফেইল করে না। যারা এসব বলছে তারা মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করতে চায়, ছোট করতে চায়।
ফজলুর রহমান তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম প্রসঙ্গে বলেন, আল্লাহর পরে এই এলাকার মানুষ হচ্ছে আমার মালিক। আমি নেতা না, আমি আপনাদের গোলাম। আমি এখাকার প্রতিনিধি হতে পারলে, এখানে যেমন ওয়াজ হবে, তেমনি ফুটবল খেলা হবে, সংস্কৃতিচর্চা হবে। ইসলামি শিক্ষা যেমন থাকবে তেমনি থাকবে জ্ঞান-বিজ্ঞান নির্ভর আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। থাকবে মানুষের জীবন-জীবিকার অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা।
বক্তব্যের শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, সাধারণত তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হয়। আপনারা আট মাস পার করে ফেলেছেন। নানা অজুহাতে, সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করছেন। কখনো বলেন ডিসেম্বরে কখনও বলেন জুনে। আমরা হাসিনা সরকারকে বিদায় করেছি নতুন আরেকটি সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর জন্য। কাজেই দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। অনির্বাচিতদের হাতে বেশিদিন দেশ থাকতে পারে না। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মালিকদের পছন্দের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রধান চাওয়া।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হেসেন মুকুল, বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু, অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. দানাসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিএনপি ক্ষমতার পাগল নয়, ক্ষমতা বিএনপির প্রাপ্য : এডভোকেট ফজলুর রহমান

আপডেট টাইম : ১১:৩৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, যারা বলছেন বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলি, বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে যায়নি। ক্ষমতাটা বিএনপির প্রাপ্য। আওয়ামী লীগ গেছে, তারা মাঠে নেই। এখন বিএনপি হলো দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল। এখন নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ সিট পাবে। ফসলের জন্য ক্ষেত প্রস্তুত করেছে বিএনপি, বীজ লাগাইছি আমরা, নিড়ানি দিছি আমরা, রোগ-বালাই দমন করেছি অমরা। এখন ধান কি অন্যের ঘরে যাবে? তা হতে পারে না। রক্তে বোনা এই ধান পাওয়ার ন্যায্য অধিকার কেবল বিএনপিরই আছে। জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক। ইউনুস সাহেবরা হলেন পাহারাদার। কাজেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন। দেশের মালিকদের ঠিক করতে দিন দেশের পাহারাদার কে হবে, কোন দলে হবে।
শনিবার কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম পাইলট স্কুল মাঠে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এডভোকেট ফজলুর রহমান দেশে চলমান বিশৃঙ্খলার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে, জেলে দিয়েছে অন্যায়ভাবে। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগের মতো চলতে চাই না। আমরা চাই দেশের আইন সঠিকভাবে চলুক। আমি বলি আওয়ামী লীগের নির্দোষ লোকদের নির্যাতন করা যাবে না। তাদের ওপর অন্যায় আচরণ করা যাবে না। কিন্তু ৫ই আগস্টের পর আমরা অনেক অন্যায় হতে দেখছি। মাজার ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সংস্কৃতি ও গানবাজনায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের মনের খোরাক। এগুলোকে রক্ষা করতে হবে। দেশের মানুষ গান শোনে। তারা লালন, হাসনরাজা, রাধারমনের গান শোনে। তাই আমি বলি দেশে ধর্ম থাকবে। বাঙালির সংস্কৃতিও থাকবে। ছেলে মেয়েরা ধর্মীয় শিক্ষা যেমন পাবে, তেমনি স্কুল কলেজেও যাবে। তারা ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে। বিজ্ঞানকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। পৃথিবীতে বিজ্ঞানকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। বিজ্ঞান মানতে হবে। বিজ্ঞান থাকবে ধর্মও থাকবে। এই দুইটা সমানে সামনে চলবে। তা না হলে পৃথিবীতে আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ হতে পারবো না।
দুপুরে সমাবেশ শুরু হলেও সকাল ১০টা থেকে দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মাঠে আসতে থাকে। ১২টার দিকে পুরো মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদ।
একাত্তর ও মক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেন, আগে আমাদের দেশের নাম ছিল পাকিস্তান। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হইছে। মায়ের পেট থেকে যেমন বাচ্চা হয়, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের পেট থেকে বাংলাদেশ হইছে। এখন বাংলাদেশ বা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করলে মাকে অস্বীকার করা হয়। মাকে যে ছেলে অস্বীকার করে সে ভালো ছেলে ন। মুক্তিযুদ্ধকে যারা অস্বীকার করে তারা ভালো মানুষ না। আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধকে না মানেন, আমি আপনাকে রাজাকার বলব। মুক্তিযুদ্ধকে না মানলে আমি বলব আপনার পূর্বপুরুষ আল-বদর ও দালাল ছিল। এর জন্য আপনারা আমাকে যত গালাগালিই করেন না কেন, আমি মুক্তিযুদ্ধকে ছাড়তে পারব না। কারণ লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে এদেশকে স্বাধীন করেছি আমরা।
রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ্য করে ফজলুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে মাইনা আপনি পাল্লা (দাঁড়িপাল্লা) মার্কায় ভোট চান, ডালিম মার্কায় ভোট চান, ইসলামের কথা বলে ভোট চান, হেফাজতে ইসলামের কথা বলে ভোট চান, আহলে হাদিসের নামে ভোট চান, আমার আপত্তি নেই। মানুষ যদি আপনাদের ভোট দেয়, ইসলামের কথা শুনে যদি ভোট দেয়- আপনি দেশ চালান। আপনাকে আমি স্যালুট করব। ফজলুর রহমান আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে হাসিনার কোনো সম্পর্ক নাই। হাসিনা আর মুক্তিযুদ্ধ এক নয়। এখন হাসিনা ফেইল করেছে। তাই বলে তার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধতো ফেইল করেনি। একটা জাতির মুক্তিযুদ্ধ কখনো ফেইল করে না। যারা এসব বলছে তারা মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করতে চায়, ছোট করতে চায়।
ফজলুর রহমান তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম প্রসঙ্গে বলেন, আল্লাহর পরে এই এলাকার মানুষ হচ্ছে আমার মালিক। আমি নেতা না, আমি আপনাদের গোলাম। আমি এখাকার প্রতিনিধি হতে পারলে, এখানে যেমন ওয়াজ হবে, তেমনি ফুটবল খেলা হবে, সংস্কৃতিচর্চা হবে। ইসলামি শিক্ষা যেমন থাকবে তেমনি থাকবে জ্ঞান-বিজ্ঞান নির্ভর আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। থাকবে মানুষের জীবন-জীবিকার অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা।
বক্তব্যের শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, সাধারণত তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হয়। আপনারা আট মাস পার করে ফেলেছেন। নানা অজুহাতে, সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করছেন। কখনো বলেন ডিসেম্বরে কখনও বলেন জুনে। আমরা হাসিনা সরকারকে বিদায় করেছি নতুন আরেকটি সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর জন্য। কাজেই দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। অনির্বাচিতদের হাতে বেশিদিন দেশ থাকতে পারে না। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মালিকদের পছন্দের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রধান চাওয়া।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হেসেন মুকুল, বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু, অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. দানাসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।