নাসিক নির্বাচন: নতুন ভোটার কোন দিকে…

রাত পোহালেই নির্বাচন । সব যায়গায় টানটান উত্তেজনা । নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী দিনভর নিজ বাসায় অবস্থান করেছিলেন।

নাসিক নির্বাচনে প্রচারণা শেষে এখন ভোটের হিসাব কষছেন নগরবাসী। তাদের মতে, ভোটের সমীকরণ পাল্টে দেবে নতুন ভোটারদের ভোট। নাসিকের ৭৫ হাজার নতুন ভোটার রয়েছে। এসব ভোটারের ভোট যার পক্ষে পড়বে সেই প্রার্থীই নির্বাচিত হতে পারেন।

এদিকে গণমাধ্যমকর্মীরা সকাল থেকে বাসায় ভিড় করলেও কথা বলতে রাজি হননি আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বিকেলে নিজ বাসার নিচে এসে নেতাকর্মীসহ সমর্থকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন।

তবে বিকেলে বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান তার বাসা থেকে বের হয়ে শহরের কালিরবাজার এলাকায় নির্বাচনী মিডিয়া সেলে এসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেছেন।

জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে প্রচারণা বন্ধ থাকায় বুধবার সকাল থেকে বাসায়ই ছিলেন ডা. আইভী। যদিও প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে দেখা গেছে রাস্তায়।

আইভীর বাসায় সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা ভিড় করতে থাকেন। ওই সময় তিনি নির্বাচনী কলাকৌশল নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। বেলা ১১টার দিকে ডা. আইভী একবার ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে নিচে নেমে আসেন।

বাড়ির সামনে খোলা জায়গায় দলীয় নেতাকর্মীরা দেখা করতে এলেও তিনি সবাইকে সময় দেননি। জড়ো হয়েছিলেন গণমাধ্যমের কর্মীরাও। তবে ডা. আইভী এদিন কারও সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। শুধু বলেছেন, ‘আমি আজ কোনো কথা বলবো না। কাল (বৃহস্পতিবার) ভোটের দিন কথা বলবো।’

এছাড়া পুলিশ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বাড়ি এবং তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকতে দেখা গেছে।

বাসার নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, নিরাপত্তার জন্য আগে থেকে এখানে পুলিশের একটি দল স্থায়ীভাবে কাজ করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্রে করে এখন শিফটে দায়িত্ব পালন করছি। তিনি প্রার্থী হওয়ার পর থেকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন।

অপরদিকে বিগত নির্বাচনগুলোতে মানুষ ভোট দিতে পারেনি এবং গায়েবি ভোটের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রত্যাশা করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের সব কর্মীকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি, তারা যেন ভোটারদের ভোট দেয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন। আমাদের নির্বাচনের সব এজেন্টনকে দলের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যেন কোনোভাবেই ভয়ভীতির বশবর্তী হয়ে কেন্দ্র ছেড়ে না যায়। কেন্দ্রে থেকে ফলাফল নিয়েই আমাদের এজেন্টরা কেন্দ্র ত্যাগ করবে এবং কেন্দ্র ছেড়ে কোথাও যাবে না বলে আমাদের কাছে তারা প্রতিজ্ঞা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর