যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে যাওয়া বিদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার ভাবছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন প্রতি বছর দেশটিতে তিন লক্ষ বিদেশী শিক্ষার্থী পড়তে যায়, এদের মধ্যে বাংলাদেশ থেকেও বহু শিক্ষার্থী যান প্রতিবছর। এই সংখ্যা এখন এক লক্ষ সত্তর হাজারে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে সরকার। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অক্টোবরে কনজারভেটিভ পার্টির কনফারেন্সে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রুড নিম্নমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ভিসা পদ্ধতি কঠোর করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমানোর কথা বলেছিলেন।
এদিকে, দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের এক সংগঠনের হিসেব অনুযায়ী, বিদেশী বা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির মাধ্যমে দেশটি বছরে প্রায় এগারো শো কোটি পাউন্ড আয় করে। কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক কলিন রিওর্ডানকে উদ্ধৃত করে দ্য গার্ডিয়ান বলছে, যুক্তরাজ্যে অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কমানোর কথা ভাবছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু আসল যে সমস্যা, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিদেশী শিক্ষার্থী বা কর্মীরা দায়ী নয়। এছাড়া ব্রিটেন যদি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করে দেয়, সেই সুযোগ অন্য দেশগুলো নেবে বলেও আশংকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর।
শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার কিথ বার্নেট বলছেন, বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে চাইলে ব্রিটেনকে উদার হতেই হবে। আর সেক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা তখন ভিন্ন কোন দেশে পড়তে চলে যাবে।
যার ফল অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা বেশি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।