গণসংযোগে ব্যস্ত সাখাওয়াত, প্রতীকের অপেক্ষায় আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগেই দিনরাত গণসংযোগ ও প্রচারণায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি দলীয় মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন। দিন-রাত বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। অন্যদিকে প্রতীকের অপেক্ষায় আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
আইভীর ঘনিষ্ঠরা জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর অনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নামবেন আইভী। তবে এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের বাড়িতে সময় দিচ্ছেন তিনি।
বুধবার সকালে হাজীগঞ্জ, মাসদাইর ও কিল্লারপুল এলাকায় গণসংযোগ করেন বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় তিনি ভোটারদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন।

দুপুরে কিলারপুল এলাকায় সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘আমি উন্নয়নের স্বার্থে মাঠে নেমেছি। আমি মানুষের স্বার্থে মাঠে নেমেছি। গণতন্ত্রের স্বার্থে মাঠে নেমেছি। দুঃশাসন ও মানুষের ভোটের অধিকার হরণের প্রতীক নৌকার বিপক্ষে এবার মানুষ গণরায় দেবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।’

নিজের দলের নেতাকর্মী থেকে আইভী বিচ্ছিন্ন দাবি করে সাখাওয়াত বলেন, ‘তিনি (আইভী) মানুষের ভোট পাবেন কীভাবে, তিনি তো নিজের নেতাকর্মীদের ভোটই পাবেন না। তার দলের তণমূলও এবার তাকে চায়নি। দলের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে নেই, মানুষ তার সঙ্গে নেই।’ গতবার বিএনপি ও ২০ দলের ভোট পেয়ে আইভী নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বলে দাবি করেন সাখাওয়াত। ২০ দলের নেতাকর্মীরাসহ সবাই এবার ধানের শীষের সঙ্গে রয়েছে।

শ্রমিকদের কল্যঅণে কাজ করবেন জানিয়ে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ প্রাচ্যের ডান্ডি হিসেবে পরিচিত; এখানে দেশের বিভিন্ন স্থানে থেকে শ্রমিকরা কাজ করতে আসেন। কিন্তু তাদের জন্য থাকার ব্যবস্থা নেই, চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। শ্রমিকদের জন্য থাকা ও তাদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে।’ কাজের ক্ষেত্রে দল কিংবা ব্যক্তিকে নয়, উন্নয়নকে প্রাধান্য দেবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র পদপ্রার্থী সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বুধবার কোথাও গণসংযোগের জন্য বের হননি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন। বাড়িতেই দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেন এবং সিটি নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় করেন আইভী।
আপিলে ছয় কাউন্সিলরের প্রার্থিতা বহাল

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বাতিল হওয়া ছয় কাউন্সিলর প্রার্থীর আপিল আবেদনে তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে তারা আপিল আবেদন করেন।

তবে মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদের মনোনয়নপত্র আপিল বিভাগেও খারিজ হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আপিল আবেদনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী সুমি বেগম, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সুমন কাজী, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেন, ১৩ নম্বর ওয়াডের্র মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, একই ওয়ার্র্ডের শাহ্ ফয়েজউল্লা ফয়েজ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের শাহেন শাহ।

নির্ধারিত সংখ্যক ভোটারের স্বাক্ষর না থাকায়, সিটি কর ও ব্যাংকের কাছে ঋণ খেলাপির কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল যাচাই-বাছাইয়ে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর