রংপুর রাইডার্সকে ৪২ রানে হারিয়ে ১০ খেলায় ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরো মজবুত করলো ঢাকা ডায়নামাইটস। আগে ব্যাট করে ইভিন লুইসের ৭৫ এবং মেহেদী মারুফের ৪০ রানে ভর করে সাত উইকেটে ১৮৮ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে আট উইকেটে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর রাইডার্স। এই পরাজয়ে সেরা চারের লড়াই থেকে আরো একধাপ পেছালো রংপুর। দশ খেলায় তাদের পয়েন্ট ১০।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ঢাকা। ডায়নামাইটসের হয়ে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে নিজের ক্রিকেট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন ইভিন লুইস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ওপেনার মেহেদী মারুফকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনীতে ৯.৫ ওভারে ১০৩ রানের জুটি গড়েন। সৌম্য সরকারের বলে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে ৩১ বলে তিন চার ও সমান ছয়ে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন মারুফ।
তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধে করতে পারেননি সেকুগে প্রসন্ন (১)। সৌম্যর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৪ বলে তিন চার ও ৮ ছক্কায় ৭৫ রানের দানবীয় ইনিংস খেলেন লুইস। এরপর জিয়াউর রহমান এবং রুবেল হোসেন একেরপর এক উইকেট তুলে নিলে শেষ দিকে সেভাবে রান তুলতে পারেনি ঢাকা। ২০ বলে ২৯ রান করে রুবেলের শিকার হন সাকিব আল হাসান। ৯ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। রংপুরের হয়ে ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন রুবেল। দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন জিয়াউর রহমান ও সৌম্য সরকার।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। ৪৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে রংপুরের দলটি। নিশ্চিত পরাজয়ের ম্যাচেও শেষ দিকে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন জিয়াউর রহমান ও সোহাগ গাজী। সপ্তম উইকেটে ৮৭ রানের জুটি গড়েন তারা। ব্যত্তিগত ৩৬ রানে ফিরে যান গাজী। ইনিংসের শেষ বলে আবু জায়েদ রাহীর গতিতে বিধস্ত হওয়ার আগে ৪৩ বলে ছয় চার ও তিন ছক্কায ৬০ রান করেন জিয়া। ঢাকার হয়ে আবু জায়েদ ২০ রানে তিন উইকেট নেন। দুই উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।