ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৮ ম্যাচে মাত্র ১টি তে জয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬
  • ৩৬১ বার

ম্যাচে মাত্র ১টি তে জয়। টুর্নামেন্টে অবস্থান পয়েন্ট তালিকার সবার নিচে। যে ম্যাচটিতে জয় পেয়েছিল তাতেও নজরকাড়া পারফর্মেন্স ছিল না। কিন্তু বরিশাল বুলসের বিপক্ষে আজ মঙ্গলবারের ম্যাচ দেখলে যে কারও মনে এই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যে, এই কুমিল্লা কোথায় লুকিয়ে ছিল এতদিন? বোলারদের তাণ্ডবের দুই ওপেনারের ব্যাট থেকে দেখা গেল রানের ঝলক। সেই ঝলকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ব্যাটে-বলে এই কুমিল্লাকেই তো খুঁজে ফিরছিল সবাই।

বরিশালের দেওয়া ১৪২ রানের জবাবে কুমিল্লার দুই ওপেনার মিলে অল্পের জন্য শতরানের জুটি করতে পারেননি। হাফ সেঞ্চুরি থেকেও বঞ্চিত হন ইমরুল। জুটিতে ৯৩ রান আসার পর দাউয়িদ মালানের বলে কামরুল ইসলাম রাব্বির একটি দারুণ ক্যাচে পরিণত হন ইমরুল কায়েস। এর আগে তিনি ৩৫ বলে ৬ চার এবং ১ ছক্কায় ৪৬ রানের এক ঝলমলে ইনিংস খেলেন। তবে শেহজাদ হাফ সেঞ্চুরি করতে ভুল করেননি। ৪৮ বলে ৫০ রানের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৬১ রান করে মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ একটি ক্যাচে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরেন।

শেষ পর্যন্ত খালিদ লতিফ এবং মারলন স্যামুয়েলস দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১ ওভার বাকী থাকতেই ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় কুমিল্লা। ১৮ বলে ২ চার এবং ১ ছক্কা ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন স্যামুয়েলস। খালিদ লতিফ ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার হিসেবে ম্যাচসেরা হন নাবিল সামাদ।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে কম রানেই অলআউট হয়ে যাওয়ার শংকা তৈরি হয়েছিল বরিশাল শিবিরে। শাহাদত হোসেনের আঘাতে দলীয় ৮ রানেই বিপদে পড়ে বরিশাল বুলস। তার বলে বোল্ড হয়ে যান ৭ রান রান করা মুনারাবীরা। এরপর ৩৪ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন দাউয়িদ মালান এবং জীবন মেন্ডিস। কিন্তু দলীয় ৪২ রানে মোহাম্মদ সফিউদ্দিনের বলে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন আরেক ওপেনার মালানা। তিনি ১০ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৯৬ রান করেন। এরপর দলের হাল ধরেন জীবন মেন্ডিস এবং মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তাদের জুটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

দলীয় ৬৪ রানে জীবন মেন্ডিসকে বোল্ড করে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেন নাবিল সামাদ। মেন্ডিস ২৪ বলে ২ চার এবং ২ ছক্কায় ২৮ রান করেন। ২১ রানের ব্যবধানে ফিরে যান শাহরিয়ার নাফীস। রশিদ খানের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন ১৩ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১১ রান করা নাফীস। এরপর আবারও আঘাত হানেন নাবিল। নতুন ব্যাটসম্যান নাদিফ চৌধুরীকে ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তিনি। মুশফিকও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৩ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করে নাবিল সামাদের বলে মাশরাফির হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

দলীয় ৯২ রানে সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে বরিশালের। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন রুম্মান রইস (৪)। একটু হাত খুলে মারার চেষ্টা করেন তাইজুল। ১৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৪ রান করে রান আউটের শিকার হন তিনি। শেষ দিকে এনামুল (২০) আর আবু হায়দার রনির (১৬) ব্যাটিংয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। নাবিল সামাদ ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন রশিদ খান।

দিনের অপর খেলায় সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় মুখোমুখি হবে চিটাগং ভাইকিংস আর খুলনা টাইটান্স। খেলাগুলো সরাসরি দেখা যাবে চ্যানেল নাইন এবং সনি সিক্স এ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

৮ ম্যাচে মাত্র ১টি তে জয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের

আপডেট টাইম : ১১:৪১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬

ম্যাচে মাত্র ১টি তে জয়। টুর্নামেন্টে অবস্থান পয়েন্ট তালিকার সবার নিচে। যে ম্যাচটিতে জয় পেয়েছিল তাতেও নজরকাড়া পারফর্মেন্স ছিল না। কিন্তু বরিশাল বুলসের বিপক্ষে আজ মঙ্গলবারের ম্যাচ দেখলে যে কারও মনে এই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যে, এই কুমিল্লা কোথায় লুকিয়ে ছিল এতদিন? বোলারদের তাণ্ডবের দুই ওপেনারের ব্যাট থেকে দেখা গেল রানের ঝলক। সেই ঝলকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ব্যাটে-বলে এই কুমিল্লাকেই তো খুঁজে ফিরছিল সবাই।

বরিশালের দেওয়া ১৪২ রানের জবাবে কুমিল্লার দুই ওপেনার মিলে অল্পের জন্য শতরানের জুটি করতে পারেননি। হাফ সেঞ্চুরি থেকেও বঞ্চিত হন ইমরুল। জুটিতে ৯৩ রান আসার পর দাউয়িদ মালানের বলে কামরুল ইসলাম রাব্বির একটি দারুণ ক্যাচে পরিণত হন ইমরুল কায়েস। এর আগে তিনি ৩৫ বলে ৬ চার এবং ১ ছক্কায় ৪৬ রানের এক ঝলমলে ইনিংস খেলেন। তবে শেহজাদ হাফ সেঞ্চুরি করতে ভুল করেননি। ৪৮ বলে ৫০ রানের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৬১ রান করে মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ একটি ক্যাচে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরেন।

শেষ পর্যন্ত খালিদ লতিফ এবং মারলন স্যামুয়েলস দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১ ওভার বাকী থাকতেই ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় কুমিল্লা। ১৮ বলে ২ চার এবং ১ ছক্কা ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন স্যামুয়েলস। খালিদ লতিফ ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার হিসেবে ম্যাচসেরা হন নাবিল সামাদ।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে কম রানেই অলআউট হয়ে যাওয়ার শংকা তৈরি হয়েছিল বরিশাল শিবিরে। শাহাদত হোসেনের আঘাতে দলীয় ৮ রানেই বিপদে পড়ে বরিশাল বুলস। তার বলে বোল্ড হয়ে যান ৭ রান রান করা মুনারাবীরা। এরপর ৩৪ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন দাউয়িদ মালান এবং জীবন মেন্ডিস। কিন্তু দলীয় ৪২ রানে মোহাম্মদ সফিউদ্দিনের বলে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন আরেক ওপেনার মালানা। তিনি ১০ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৯৬ রান করেন। এরপর দলের হাল ধরেন জীবন মেন্ডিস এবং মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তাদের জুটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

দলীয় ৬৪ রানে জীবন মেন্ডিসকে বোল্ড করে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেন নাবিল সামাদ। মেন্ডিস ২৪ বলে ২ চার এবং ২ ছক্কায় ২৮ রান করেন। ২১ রানের ব্যবধানে ফিরে যান শাহরিয়ার নাফীস। রশিদ খানের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন ১৩ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১১ রান করা নাফীস। এরপর আবারও আঘাত হানেন নাবিল। নতুন ব্যাটসম্যান নাদিফ চৌধুরীকে ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তিনি। মুশফিকও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৩ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করে নাবিল সামাদের বলে মাশরাফির হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

দলীয় ৯২ রানে সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে বরিশালের। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন রুম্মান রইস (৪)। একটু হাত খুলে মারার চেষ্টা করেন তাইজুল। ১৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৪ রান করে রান আউটের শিকার হন তিনি। শেষ দিকে এনামুল (২০) আর আবু হায়দার রনির (১৬) ব্যাটিংয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। নাবিল সামাদ ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন রশিদ খান।

দিনের অপর খেলায় সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় মুখোমুখি হবে চিটাগং ভাইকিংস আর খুলনা টাইটান্স। খেলাগুলো সরাসরি দেখা যাবে চ্যানেল নাইন এবং সনি সিক্স এ।