বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২৬তম ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স।
মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে ১১৯ রান তুলতে সক্ষম হয় বরিশাল বুলস। জবাবে ৮ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে খুলনা টাইটান্স।
জয়ের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। দলীয় ৪ রানের মাথায় হাসানুজ্জামানকে হারায় মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। এরপর আরেক ওপেনার ২৫ বল খরচায় ২১ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ব্যাট করতে আসা রিকি ওয়েসেলসও ফিরে যান ৫ রান করে।
৪৯ রানে তিন উইকেট খুইয়ে এক প্রকার বিপাকেই পড়ে খুলনা। কিন্তু চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে খুলনাকে স্বস্তি দেন শুভাগত হোম। তাঁকে সঙ্গ দিয়ে ধীরে ধীরে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান দলনেতা মাহমুদউল্লাহ। দু’জন মিলে রানের চাকা সচল রাখেন। ব্যক্তিগত ৪০ রান করে বিদায় নেন শুভাগত। তাতে অবশ্য থেমে থাকেনি খুলনার রান তোলার গতি।
নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে নিয়ে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে চড়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকে খুলনা। অবশেষে ৬ উইকেট হাতে রেখেই বিজয়ের কেতন উড়ায় খুলনা। এই জয়ের ফলে রংপুর রাইডার্সকে সরিয়ে শীর্ষস্থান দখল করল খুলনা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই বিদেশি জীবান মেন্ডিস ও ডেভিড মালান দলকে খুব একটা আশানুরূপ জায়গায় নিয়ে যেতে পারেননি। ২৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান ওপেনিং জুটি। আউট হওয়ার আগে দু’জন মিলে স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ২১ রান।
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলনেতা মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে দেখে-শুনে এগোতে থাকে শাহরিয়ার নাফিস। বলের গুণাগুণ বিচার বিশ্লেষণ করে শর্ট রান থেকে শুরু করে বাউন্ডারিও হাঁকান তাঁরা। ২৪ রান থেকে দলের স্কোর ৬৬ রানে উন্নীত করেন মুশফিক-নাফিস।
কিন্তু ব্যক্তিগত ২৩ রান করে নাফিস প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে বরিশাল বুলসের রান সংগ্রহে মন্থর গতি দেখা যায়। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও একপ্রান্ত আগলে রাখার শেষ চেষ্টা ব্যর্থই হয় মুশফিকের।
রান নিতে গিয়ে ভুল বুঝাবুঝির খেসারত হিসেবে বিদায় নিতে হল তাঁকেও। আউট হওয়ার আগে দলকে ২৬ বলে ৩১ রানের ইনিংস উপহার দেন মুশফিক। শেষ অবধি এনামুলের ২০ আর পেরেরার ১৭ রানে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১১৯।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল বুলস: ২০ ওভারে ১১৯/৫ (মেন্ডিস ১৪, মালান ৭, নাফিস ২৩, নাদিফ ১, মুশফিক ৩১, পেরেরা ১৭*, এনামুল ২০*; জুনায়েদ ১/১২, শফিউল ১/৩১, মোশাররফ ১/১৬)।
রংপুর রাইডার্স: ১৮.৪ ওভারে ১২০/৪ (তাইবুর ২১, হাসানুজ্জামান ৪, ওয়েসেলস ৫, শুভাগত ৪০, মাহমুদউল্লাহ ৩৬*, পুরান ৮*; তাইজুল ১/১৪, রোমেন ২/১৩)।
ফল: খুলনা ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: শুভাগত হোম (খুলনা টাইটান্স)।