ঢাকা ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেরেই চলেছে কুমিল্লা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৬
  • ২৪৯ বার

মাশরাফি বিন মুর্তজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এ কি অবস্থা! এবারের বিপিএলে টানা তৃতীয় ম্যাচ হারল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীমের পর এবার মাহমুদ উল্লাহর কাছেও হারলেন মাশরাফি। অন্য সব দল জিতলেও এখনো কোনো পয়েন্ট পায়নি কুমিল্লা। রোববার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লাকে ১৩ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইটান্স। ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল খুলনা।

মাশরাফি বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। প্রথম ৩ উইকেট নিয়ে দারুণ গতিতে এগুনো খুলনা পথ বদলালেন। নিয়মিত উইকেট হারাতে হারাতে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানে থামলো খুলনা। এর জবাবে মিরপুরে ব্যাট হাতে মাশরাফিরা পুরোপুরি ম্যাচে ছিলেন না কখনোই। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৩১ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস।

কুমিল্লার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ৩ নম্বরে মারলন স্যামুয়েলসের ৩০ ও ওপেনার ইমরুল কায়েসের ২১ বড় স্কোর। শেষে আছে সোহেল তানভিরের অপরাজিত ২১। আর আছে ১০ রানের তিনটি ইনিংস। কিন্তু ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব নিতে পারেননি কেউ। ৮৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় কুমিল্লা। শফিউল ইসলাম বোল্ড করেন স্যামুয়েলসকে। ওখানেই বুঝি ম্যাচটা জিতে যায় খুলনা। শেষের দিকে রশিদ খান (১০) ও সোহেল তানভির (অপরাজিত ২১) কিছুটা উত্তেজনা এনেছিলেন। কিন্তু দুটি রান আউটে শেষ সব। শেষ ২ ওভারে ২৪ রান করা হয়নি কুমিল্লার। শফিউল ও জুনায়েদ খান ২টি করে উইকেট নেন।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনা বিপিএলে নিজেদের এবারের সর্বোচ্চ রানই করে। তবে রান হতে পারতো আরো বেশি। ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৯২ রান ছিল তাদের। ৫ রান ওপেনিং পার্টনারশিপে। হাসানুজ্জামান (৩৭) ও আন্দ্রে ফ্লেচার (২৩) ৪.৪ ওভারে এই রান দিলেন। এরপর শুভাগত হোমের (১৬) সাথে ৪৭ রানের জুটি হাসানুজ্জামানের।

ফ্লেচার এবারের আসরে মাশরাফির প্রথম শিকার। আগের দুই ম্যাচে উইকেট পাননি মাশরাফি। অন্যরা যখন মার খাচ্ছেন তখন আক্রমণে ফিরে ১১তম ওভারের প্রথম বলে শুভাগতকে আউট করলেন। আটকালেন খুলনাকে। ৭ রান পর ফেরালেন হাসানুজ্জামানকেও। লড়াইয়ে ফেরালেন বোলারদের।

সেই পথ ধরে সোহেল তানভির, প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা লেগি রশিদ খান, নাজমুল হোসেন শান্ত অফ স্পিনে ভালো বল করলেন। মাহমুদ উল্লাহ (১১) ও অলক কাপালি (৩) নাজমুলের শিকার পর পর দুই ওভারে। ১১৭ রানে ৫ উইকেট থেকে উইকেট হারাতে হারাতেই শেষ পর্যন্ত গেছে খুলনা। শেষ চারের ৩ উইকেট তানভিরের। খুব বড় সংগ্রহ তারা পায়নি। মাশরাফি ও তানভিরের ৩ উইকেট। নাজমুলের ২টি। ১টি রশিদের। বোলাররা প্রতিপক্ষের বড় স্কোর ঠেকালেও ব্যাটসম্যানরা আরেকটি হার এড়াতে পারেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হেরেই চলেছে কুমিল্লা

আপডেট টাইম : ১২:১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৬

মাশরাফি বিন মুর্তজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এ কি অবস্থা! এবারের বিপিএলে টানা তৃতীয় ম্যাচ হারল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীমের পর এবার মাহমুদ উল্লাহর কাছেও হারলেন মাশরাফি। অন্য সব দল জিতলেও এখনো কোনো পয়েন্ট পায়নি কুমিল্লা। রোববার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লাকে ১৩ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইটান্স। ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল খুলনা।

মাশরাফি বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। প্রথম ৩ উইকেট নিয়ে দারুণ গতিতে এগুনো খুলনা পথ বদলালেন। নিয়মিত উইকেট হারাতে হারাতে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানে থামলো খুলনা। এর জবাবে মিরপুরে ব্যাট হাতে মাশরাফিরা পুরোপুরি ম্যাচে ছিলেন না কখনোই। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৩১ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস।

কুমিল্লার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ৩ নম্বরে মারলন স্যামুয়েলসের ৩০ ও ওপেনার ইমরুল কায়েসের ২১ বড় স্কোর। শেষে আছে সোহেল তানভিরের অপরাজিত ২১। আর আছে ১০ রানের তিনটি ইনিংস। কিন্তু ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব নিতে পারেননি কেউ। ৮৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় কুমিল্লা। শফিউল ইসলাম বোল্ড করেন স্যামুয়েলসকে। ওখানেই বুঝি ম্যাচটা জিতে যায় খুলনা। শেষের দিকে রশিদ খান (১০) ও সোহেল তানভির (অপরাজিত ২১) কিছুটা উত্তেজনা এনেছিলেন। কিন্তু দুটি রান আউটে শেষ সব। শেষ ২ ওভারে ২৪ রান করা হয়নি কুমিল্লার। শফিউল ও জুনায়েদ খান ২টি করে উইকেট নেন।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনা বিপিএলে নিজেদের এবারের সর্বোচ্চ রানই করে। তবে রান হতে পারতো আরো বেশি। ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৯২ রান ছিল তাদের। ৫ রান ওপেনিং পার্টনারশিপে। হাসানুজ্জামান (৩৭) ও আন্দ্রে ফ্লেচার (২৩) ৪.৪ ওভারে এই রান দিলেন। এরপর শুভাগত হোমের (১৬) সাথে ৪৭ রানের জুটি হাসানুজ্জামানের।

ফ্লেচার এবারের আসরে মাশরাফির প্রথম শিকার। আগের দুই ম্যাচে উইকেট পাননি মাশরাফি। অন্যরা যখন মার খাচ্ছেন তখন আক্রমণে ফিরে ১১তম ওভারের প্রথম বলে শুভাগতকে আউট করলেন। আটকালেন খুলনাকে। ৭ রান পর ফেরালেন হাসানুজ্জামানকেও। লড়াইয়ে ফেরালেন বোলারদের।

সেই পথ ধরে সোহেল তানভির, প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা লেগি রশিদ খান, নাজমুল হোসেন শান্ত অফ স্পিনে ভালো বল করলেন। মাহমুদ উল্লাহ (১১) ও অলক কাপালি (৩) নাজমুলের শিকার পর পর দুই ওভারে। ১১৭ রানে ৫ উইকেট থেকে উইকেট হারাতে হারাতেই শেষ পর্যন্ত গেছে খুলনা। শেষ চারের ৩ উইকেট তানভিরের। খুব বড় সংগ্রহ তারা পায়নি। মাশরাফি ও তানভিরের ৩ উইকেট। নাজমুলের ২টি। ১টি রশিদের। বোলাররা প্রতিপক্ষের বড় স্কোর ঠেকালেও ব্যাটসম্যানরা আরেকটি হার এড়াতে পারেননি।