ঢাকা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কানাডার সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্য আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৩ বার

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা নতুন করে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করবে না। এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের বক্তব্য ব্যবহার করে করা কানাডার একটি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের কারণে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু হবে না।

শনিবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

শুক্রবার ট্রাম্প জানান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ওই বিজ্ঞাপনের জন্য তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেও দুই দেশ এখন আর আলোচনা পুনরায় শুরু করবে না। তিনি বলেন, “আমি তাকে অনেক পছন্দ করি, কিন্তু তারা যা করেছে, তা ভুল ছিল। ওই বিজ্ঞাপনটা ভুয়া ছিল বলে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।”

এ বিষয়ে কার্নির দপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্প ওই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে কানাডার সঙ্গে চলমান আলোচনাটি বাতিল করেন। একইসঙ্গে কানাডার পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন তিনি।

কানাডার অন্টারিও প্রদেশ সরকারের প্রচারিত ওই বিজ্ঞাপনে রিপাবলিকান দলের প্রভাবশালী নেতা রোনাল্ড রিগানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ বাণিজ্যযুদ্ধ সৃষ্টি করে এবং কর্মসংস্থান নষ্ট করে।

বিজ্ঞাপনটি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়। ট্রাম্প বিজ্ঞাপনটিকে “ভুয়া” বলে আখ্যা দেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডের টিম রিগানের পুরোনো ভাষণের কয়েকটি অংশ কেটে এক মিনিটের বিজ্ঞাপন তৈরি করেছিল। যদিও বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত সব বাক্য রিগানের মূল বক্তব্য থেকেই নেওয়া।

বিতর্কের পর ডগ ফোর্ড বিজ্ঞাপন প্রচার স্থগিত করেন। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই বিজ্ঞাপন প্রচার স্থগিত করেন তিনি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী কার্নি জানিয়েছেন, কানাডা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।

প্রসঙ্গত, ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রই কানাডার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। কানাডার মোট রপ্তানির প্রায় ৭৫ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে যায়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত নতুন শুল্ক নীতির কারণে এই বাণিজ্যে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কানাডার সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্য আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

আপডেট টাইম : ১০:৩৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা নতুন করে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করবে না। এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের বক্তব্য ব্যবহার করে করা কানাডার একটি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের কারণে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু হবে না।

শনিবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

শুক্রবার ট্রাম্প জানান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ওই বিজ্ঞাপনের জন্য তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেও দুই দেশ এখন আর আলোচনা পুনরায় শুরু করবে না। তিনি বলেন, “আমি তাকে অনেক পছন্দ করি, কিন্তু তারা যা করেছে, তা ভুল ছিল। ওই বিজ্ঞাপনটা ভুয়া ছিল বলে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।”

এ বিষয়ে কার্নির দপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্প ওই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে কানাডার সঙ্গে চলমান আলোচনাটি বাতিল করেন। একইসঙ্গে কানাডার পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন তিনি।

কানাডার অন্টারিও প্রদেশ সরকারের প্রচারিত ওই বিজ্ঞাপনে রিপাবলিকান দলের প্রভাবশালী নেতা রোনাল্ড রিগানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ বাণিজ্যযুদ্ধ সৃষ্টি করে এবং কর্মসংস্থান নষ্ট করে।

বিজ্ঞাপনটি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়। ট্রাম্প বিজ্ঞাপনটিকে “ভুয়া” বলে আখ্যা দেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডের টিম রিগানের পুরোনো ভাষণের কয়েকটি অংশ কেটে এক মিনিটের বিজ্ঞাপন তৈরি করেছিল। যদিও বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত সব বাক্য রিগানের মূল বক্তব্য থেকেই নেওয়া।

বিতর্কের পর ডগ ফোর্ড বিজ্ঞাপন প্রচার স্থগিত করেন। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই বিজ্ঞাপন প্রচার স্থগিত করেন তিনি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী কার্নি জানিয়েছেন, কানাডা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।

প্রসঙ্গত, ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রই কানাডার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। কানাডার মোট রপ্তানির প্রায় ৭৫ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে যায়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত নতুন শুল্ক নীতির কারণে এই বাণিজ্যে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।