ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ- হোসেনপুর-কিশোরগঞ্জ সদর, বাজিতপুর ও নিকলী আসন বিএনপির মনোনয়ন স্থগিতে তীব্র অসন্তোষ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সংসদ গঠন করতে হবে : সালাহউদ্দিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের বিএনপি কৃষকদের হাতকে শক্তিশালী করবে সর্বমহলেই তারেক রহমানের প্রশংসা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা মুসলমানদের জন্য সুরক্ষিত স্থাপনা চীনা সরকারের আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি রাজধানী ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন মুরাদ-তাইজুলের ঘূর্ণিতে ইনিংস ও ৪৭ রানে জিতল বাংলাদেশ

জোটগত ভোটে নির্বাচনী প্রতীক বিএনপি-জামায়াত বিপরীত অবস্থানে, কী ভাবছে ইসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৯:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • ২১ বার

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে প্রার্থীকে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হলে এতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি চায়, আগের মতোই অন্য দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ পাক জোটের প্রার্থী। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধানের পক্ষে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে ইসি এখন কী করবে—সবাই তাকিয়ে সেদিকেই।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, ‘আমরা তো আমাদের কাজ করে দিয়েছি।’

ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, জোটের ভোটে প্রতীকের বিষয়টি এখন আর ইসির হাতে নেই; এটি ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হয়ে গেছে। তাই বিষয়টি এখন সরকারের হাতে চলে গেছে।

গত রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠক করে আরপিওর ২০ ধারায় আনা সংশোধনী পরিবর্তন করে আগের মতো দলগুলোর ইচ্ছেমতো প্রতীকে ভোট করার দাবি জানান। একই দিন জোটের ভোটে দলগুলোর ইচ্ছেমতো প্রতীক ব্যবহারের পক্ষে একই দাবি জানিয়ে ইসিতে চিঠি দেয় ববি হাজ্জাজের দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। তবে গত মঙ্গলবার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে জোটের ভোটে নিজ নিজ দলের পক্ষে ভোট করার পক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ইসিতে ১৮ দফা সুপারিশের মধ্যে তারা উল্লেখ করে, উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সর্বশেষ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। এ বিধান বহাল রাখতে হবে।

এ ছাড়া গতকাল বুধবার ইসির সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) নুরুল হক নুর বলেন, জোটের ভোটে দলগুলোর নিজ নিজ প্রতীকের ভোটে তাদের সম্মতি রয়েছে। তিনি বলেন, জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান। তবে কালোটাকা ও পেশিশক্তি মুক্ত, ভয়ভীতিমুক্ত নির্বাচন আয়োজন, ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভির ব্যবহার, কেন্দ্রে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশের ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।

সংশোধিত আরপিওর আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো—আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে; কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে; নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে, তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে; ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে, তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে; প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে; এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন; প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে, আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, এটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে; কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল, সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসির পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে; প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো, সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে; কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে; যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে; এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রভৃতি।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগেও ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তাঁরা যদি মনে করতেন, ভোট গ্রহণ চালানোর মতো পরিস্থিতি নেই, তাহলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করতে পারতেন। তবে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন সেই ক্ষমতা কিছুটা কমিয়েছিল। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করার সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের এক দিনের জন্য যতই শক্তিশালী করা হোক না কেন, তা তেমন কাজে আসবে না। এক দিন ক্ষমতা দেখিয়ে পরে তাঁরা বরং স্থানীয়ভাবে ঝামেলায় পড়তে পারেন। কারণ, অতীতে অনেকে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাই নির্বাচনেরও পরেও মাসখানেক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের আইনি সহায়তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। তাহলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কিশোরগঞ্জ- হোসেনপুর-কিশোরগঞ্জ সদর, বাজিতপুর ও নিকলী আসন বিএনপির মনোনয়ন স্থগিতে তীব্র অসন্তোষ

জোটগত ভোটে নির্বাচনী প্রতীক বিএনপি-জামায়াত বিপরীত অবস্থানে, কী ভাবছে ইসি

আপডেট টাইম : ০৯:৫৯:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে প্রার্থীকে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হলে এতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি চায়, আগের মতোই অন্য দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ পাক জোটের প্রার্থী। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধানের পক্ষে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে ইসি এখন কী করবে—সবাই তাকিয়ে সেদিকেই।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, ‘আমরা তো আমাদের কাজ করে দিয়েছি।’

ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, জোটের ভোটে প্রতীকের বিষয়টি এখন আর ইসির হাতে নেই; এটি ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হয়ে গেছে। তাই বিষয়টি এখন সরকারের হাতে চলে গেছে।

গত রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠক করে আরপিওর ২০ ধারায় আনা সংশোধনী পরিবর্তন করে আগের মতো দলগুলোর ইচ্ছেমতো প্রতীকে ভোট করার দাবি জানান। একই দিন জোটের ভোটে দলগুলোর ইচ্ছেমতো প্রতীক ব্যবহারের পক্ষে একই দাবি জানিয়ে ইসিতে চিঠি দেয় ববি হাজ্জাজের দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। তবে গত মঙ্গলবার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে জোটের ভোটে নিজ নিজ দলের পক্ষে ভোট করার পক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ইসিতে ১৮ দফা সুপারিশের মধ্যে তারা উল্লেখ করে, উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সর্বশেষ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। এ বিধান বহাল রাখতে হবে।

এ ছাড়া গতকাল বুধবার ইসির সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) নুরুল হক নুর বলেন, জোটের ভোটে দলগুলোর নিজ নিজ প্রতীকের ভোটে তাদের সম্মতি রয়েছে। তিনি বলেন, জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান। তবে কালোটাকা ও পেশিশক্তি মুক্ত, ভয়ভীতিমুক্ত নির্বাচন আয়োজন, ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভির ব্যবহার, কেন্দ্রে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশের ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।

সংশোধিত আরপিওর আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো—আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে; কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে; নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে, তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে; ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে, তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে; প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে; এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন; প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে, আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, এটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে; কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল, সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসির পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে; প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো, সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে; কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে; যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে; এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রভৃতি।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগেও ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তাঁরা যদি মনে করতেন, ভোট গ্রহণ চালানোর মতো পরিস্থিতি নেই, তাহলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করতে পারতেন। তবে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন সেই ক্ষমতা কিছুটা কমিয়েছিল। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করার সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের এক দিনের জন্য যতই শক্তিশালী করা হোক না কেন, তা তেমন কাজে আসবে না। এক দিন ক্ষমতা দেখিয়ে পরে তাঁরা বরং স্থানীয়ভাবে ঝামেলায় পড়তে পারেন। কারণ, অতীতে অনেকে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাই নির্বাচনেরও পরেও মাসখানেক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের আইনি সহায়তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। তাহলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন।