ঢাকা ০৩:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৬ বছর পর ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক আজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৭ বার

ছয় বছর পর মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান নগরীতে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠকটি।

মূলত চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ, প্রযুক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ ইস্যুতে সমঝোতা খোঁজার লক্ষ্যেই দুই পরাশক্তির এই বহুল আলোচিত শীর্ষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এটিই হতে চলেছে দুই নেতার প্রথম সাক্ষাৎ।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

দুই দেশের কর্মকর্তারা এর আগে জানিয়েছিলেন, পারস্পরিক উদ্বেগ নিরসনে একটি ‘সম্মিলিত ধারণা’ বা কনসেনসাসে পৌঁছানো গেছে। আলোচনার আগে উভয় পক্ষই নিশ্চিত করেছে যে, একটি প্রাথমিক কাঠামোগত চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। এছাড়া বৈঠকের আগে আশাবাদী মন্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি বিশ্বের জন্য এটি দারুণ ফল বয়ে আনবে।’

টাম্প- জিনপিংয়ের এই বৈঠকে বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ– বিশেষ করে ‘রেয়ার আর্থ মিনারেলস’ নিয়ে আলোচনা হবে। এসব খনিজ স্মার্টফোন, বৈদ্যুতিক গাড়ি, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন তৈরিতে অপরিহার্য।

আর চীন বিশ্ববাজারে এসব খনিজের প্রধান সরবরাহকারী। ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় কয়েকটি চীনা কোম্পানিকে যুক্ত করার জবাবে সম্প্রতি বেইজিং এসব উপাদানের রফতানিতে নতুন করে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চীনের এসব খনিজে প্রবেশাধিকার পাওয়া এখন অন্যতম অগ্রাধিকার। এছাড়া ট্রাম্প এই বৈঠকেই টিকটকের মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোনো প্রতিষ্ঠানের হাতে হস্তান্তর করার বিষয়ে চূড়ান্ত চুক্তি চান বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের কথা মাথায় রেখে চীনকে পুনরায় সয়াবিন আমদানি শুরু করারও আহ্বান জানাবেন।

অপরদিকে ট্রাম্পের সঙ্গে এই ভেঠকে উন্নত কম্পিউটার চিপে প্রবেশাধিকার সহজ করা, ফেন্টানিল-সম্পর্কিত শুল্ক প্রত্যাহার এবং বন্দর ফি সংশোধনের দাবি তুলবে বেইজিং।

এর আগে ২০১৯ সালে জাপানের ওসাকায় জি২০ সম্মেলনে ট্রাম্প ও শি জিনপিং মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতবিনিময় করেছিলেন।

শি জিনপিং সেই বৈঠকে বলেছিলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪০ বছরে দুই দেশই সহযোগিতার মাধ্যমে লাভবান হয়েছে, আর বিরোধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি সেসময় জোর দিয়ে বলেন, ‘সংঘাতের চেয়ে সংলাপ ও সহযোগিতাই ভালো পথ’।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ এখন একে-অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত বলেও সেসময় উল্লেখ করেছিলেন তিনি। জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে মতবিরোধ সংযতভাবে মোকাবিলা করা উচিত। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যের ওপর নতুন কোনো শুল্ক আরোপ করবে না বলেও সেসময় আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

৬ বছর পর ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক আজ

আপডেট টাইম : ০৯:৩৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

ছয় বছর পর মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান নগরীতে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠকটি।

মূলত চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ, প্রযুক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ ইস্যুতে সমঝোতা খোঁজার লক্ষ্যেই দুই পরাশক্তির এই বহুল আলোচিত শীর্ষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এটিই হতে চলেছে দুই নেতার প্রথম সাক্ষাৎ।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

দুই দেশের কর্মকর্তারা এর আগে জানিয়েছিলেন, পারস্পরিক উদ্বেগ নিরসনে একটি ‘সম্মিলিত ধারণা’ বা কনসেনসাসে পৌঁছানো গেছে। আলোচনার আগে উভয় পক্ষই নিশ্চিত করেছে যে, একটি প্রাথমিক কাঠামোগত চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। এছাড়া বৈঠকের আগে আশাবাদী মন্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি বিশ্বের জন্য এটি দারুণ ফল বয়ে আনবে।’

টাম্প- জিনপিংয়ের এই বৈঠকে বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ– বিশেষ করে ‘রেয়ার আর্থ মিনারেলস’ নিয়ে আলোচনা হবে। এসব খনিজ স্মার্টফোন, বৈদ্যুতিক গাড়ি, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন তৈরিতে অপরিহার্য।

আর চীন বিশ্ববাজারে এসব খনিজের প্রধান সরবরাহকারী। ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় কয়েকটি চীনা কোম্পানিকে যুক্ত করার জবাবে সম্প্রতি বেইজিং এসব উপাদানের রফতানিতে নতুন করে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চীনের এসব খনিজে প্রবেশাধিকার পাওয়া এখন অন্যতম অগ্রাধিকার। এছাড়া ট্রাম্প এই বৈঠকেই টিকটকের মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোনো প্রতিষ্ঠানের হাতে হস্তান্তর করার বিষয়ে চূড়ান্ত চুক্তি চান বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের কথা মাথায় রেখে চীনকে পুনরায় সয়াবিন আমদানি শুরু করারও আহ্বান জানাবেন।

অপরদিকে ট্রাম্পের সঙ্গে এই ভেঠকে উন্নত কম্পিউটার চিপে প্রবেশাধিকার সহজ করা, ফেন্টানিল-সম্পর্কিত শুল্ক প্রত্যাহার এবং বন্দর ফি সংশোধনের দাবি তুলবে বেইজিং।

এর আগে ২০১৯ সালে জাপানের ওসাকায় জি২০ সম্মেলনে ট্রাম্প ও শি জিনপিং মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতবিনিময় করেছিলেন।

শি জিনপিং সেই বৈঠকে বলেছিলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪০ বছরে দুই দেশই সহযোগিতার মাধ্যমে লাভবান হয়েছে, আর বিরোধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি সেসময় জোর দিয়ে বলেন, ‘সংঘাতের চেয়ে সংলাপ ও সহযোগিতাই ভালো পথ’।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ এখন একে-অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত বলেও সেসময় উল্লেখ করেছিলেন তিনি। জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে মতবিরোধ সংযতভাবে মোকাবিলা করা উচিত। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যের ওপর নতুন কোনো শুল্ক আরোপ করবে না বলেও সেসময় আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।