ঢাকা ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হত্যাচেষ্টা মামলার আসামির পদোন্নতিতে বোর্ড গঠন, পরে প্রত্যাহার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
  • ১২ বার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিতর্কিত শিক্ষক ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি সহকারী অধ্যাপক ড. কুশল বরণ চক্রবর্তীর পদন্নোতিতে বোর্ড বসানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্ষোভের মুখে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলে উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে কর্তৃপক্ষ বোর্ডটি প্রত্যাহার করেছে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুর আড়াইটা থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। পরে সাড়ে তিনটার দিকে তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মুখে শোনা যায়- ‘বাহ! ভিসি চমৎকার, স্বৈরাচারের পাহারাদার’; ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’ স্লোগান।

জানা যায়, গত বছর ২৬ নভেম্বর হেফাজতে ইসলামের কর্মী এনামুল হক চৌধুরী চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের হামলার শিকার হন। এ সময়ে তিনি কিরিচের কোপে মাথায় গুরুতর জখম হন এবং তার ডান হাত ভেঙে যায়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে এনামুল হক চৌধুরী গত ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রধান আসামি করে ১৬৪ জনের নামে মামলার আবেদন করেন। এই মামলার ২০তম আসামি কুশল বরণ চক্রবর্তী।

এছাড়া, গতবছর ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উপর গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন-এর আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন কুশল বরণ চক্রবর্তী। ‘ভারতের প্রেসক্রিপশনে’ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে তার গ্রেপ্তারও দাবি করেছিলেন তারা। কুশল বরণ চক্রবর্তীকে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সমর্থক এবং র-এর এজেন্ট বলে অভিযোগ করা হয়।

পদোন্নতি বোর্ডের বিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কুশল বরণের বোর্ড প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংবাদপত্রে তার বিষয়ে কিছু সংবেদনশীল নিউজ হয়েছে, এজন্য বোর্ডটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আন্দোলনে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসহাক ভূইয়া বলেন, হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি কুশল বরণ চক্রবর্তীর পদোন্নতি আজ বোর্ড বসানো হয়েছে। এজন্য আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। তার বোর্ড প্রত্যাহার করা হয়েছে। কুশল বরণ, রন্টু দাসসহ যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হত্যাচেষ্টা মামলার আসামির পদোন্নতিতে বোর্ড গঠন, পরে প্রত্যাহার

আপডেট টাইম : ০৭:৫১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিতর্কিত শিক্ষক ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি সহকারী অধ্যাপক ড. কুশল বরণ চক্রবর্তীর পদন্নোতিতে বোর্ড বসানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্ষোভের মুখে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলে উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে কর্তৃপক্ষ বোর্ডটি প্রত্যাহার করেছে।

শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুর আড়াইটা থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। পরে সাড়ে তিনটার দিকে তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মুখে শোনা যায়- ‘বাহ! ভিসি চমৎকার, স্বৈরাচারের পাহারাদার’; ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’ স্লোগান।

জানা যায়, গত বছর ২৬ নভেম্বর হেফাজতে ইসলামের কর্মী এনামুল হক চৌধুরী চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের হামলার শিকার হন। এ সময়ে তিনি কিরিচের কোপে মাথায় গুরুতর জখম হন এবং তার ডান হাত ভেঙে যায়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে এনামুল হক চৌধুরী গত ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রধান আসামি করে ১৬৪ জনের নামে মামলার আবেদন করেন। এই মামলার ২০তম আসামি কুশল বরণ চক্রবর্তী।

এছাড়া, গতবছর ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উপর গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন-এর আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন কুশল বরণ চক্রবর্তী। ‘ভারতের প্রেসক্রিপশনে’ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে তার গ্রেপ্তারও দাবি করেছিলেন তারা। কুশল বরণ চক্রবর্তীকে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সমর্থক এবং র-এর এজেন্ট বলে অভিযোগ করা হয়।

পদোন্নতি বোর্ডের বিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কুশল বরণের বোর্ড প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংবাদপত্রে তার বিষয়ে কিছু সংবেদনশীল নিউজ হয়েছে, এজন্য বোর্ডটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আন্দোলনে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসহাক ভূইয়া বলেন, হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি কুশল বরণ চক্রবর্তীর পদোন্নতি আজ বোর্ড বসানো হয়েছে। এজন্য আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। তার বোর্ড প্রত্যাহার করা হয়েছে। কুশল বরণ, রন্টু দাসসহ যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।