এক নারীর সঙ্গে সদ্য ওএসডি হওয়া শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের অন্তরঙ্গ ভিডিও প্রকাশের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে সরকার। গতকাল রবিবার ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদকে আহ্বায়ক করে কমিটিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ অধিশাখার যুগ্ম সচিব মো. নূরুল হককে কমিটির সদস্য এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগের যুগ্ম সচিবের নিচে নয় এমন একজন প্রতিনিধিকে কমিটিতে সদস্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আশরাফ উদ্দিনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণের সত্যতা যাচাইয়ে কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে মতামতসহ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গত শুক্রবার এক নারীর সঙ্গে শরীয়তপুরের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়। প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ও পেজে ডিসি আশরাফের আপত্তিকর ছবি ও টেলিগ্রামে ভিডিওটি পোস্ট করেন। মুহূর্তেই ওই ছবি এবং একই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
ফেসবুক ক্যাপশনে জাওয়াদ নির্ঝর লেখেন, ‘শরিয়তপুরের ডিসি মো. আশরাফ উদ্দিন। একজন জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারী ব্যক্তি। উনি এই ছবিগুলো নিজেই খুশি মনে তুলেছেন। ভিডিও করেছেন। ছবির ওনাকে বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। এখন বিয়ে না করে হুমকি দিচ্ছেন। ওনার কোলে তোলার গল্পের খানিকটা কমেন্টের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া আছে।’
টেলিগ্রামে পোস্ট করা ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের শার্টের বোতাম খোলা। খোলা বুকে লাল-হলুদ রঙের পোশাক পরা এক নারীকে কোলে নিয়ে চুম্বন করছেন।
ভিডিটিওর মাঝেখানে দেখা যায়, মোবাইলের ভিডিও কলে থাকা অবস্থায় ওই নারীকে তার বিশেষ অঙ্গ প্রদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন।
এ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গত শনিবার ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনকে ওএসডি করে সরকার।