ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০ মাসে ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবরুদ্ধ দুদকের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • ২৪ বার

গতবছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। টানা ১৬ বছর গণতন্ত্রের লেবাসে জগদ্দল পাথরের মতো স্বৈরশাসকের তকমা নিয়ে বসে থাকা একদলীয় ও একনায়কের পতন ও পলায়নের পর দুদক কর্মকর্তারাও যেন নড়েচড়ে বসেছেন।

তারা একের পর এক মামলার তদন্তে নেমে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, বিদেশে পাচার, একেকটি শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে ব্যাংকে শতাধিক হিসাবের লেনদেন, মানিলন্ডারিং, জমি, প্লট, মৎস্য ঘেরের নামে দুর্নীতির পাহাড় তৈরি, বিদেশে প্লট, ফ্ল্যাট দেখে রীতিমতো বোকা বনে যাচ্ছেন।

কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ‘দেশের মানচিত্রের খোলস আছে, ভেতরে সব খেয়ে সর্বনাশ করেছে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর’।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গত ১০ মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ১২৮টি কোর্ট আদেশের মাধ্যমে বিভিন্ন জনের নামে দেশে থাকা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করেছে।

এছাড়া বিদেশে থাকা প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ যেন আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারের হস্তগত করা যায় সেজন্য অবরুদ্ধ আদেশ নিয়ে রেখেছে।

দুদকের গত ১০ মাসের তথ্য বলছে, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের দোসর ও সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার এবং স্থাবর অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করে দুদক তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সফলতা দেখিয়েছে।

জুলাই অভ্যুত্থান ও পরবর্তী ২০২৪ এর আগস্টে পতিত সরকারের পটপরিবর্তনের পর থেকে গত ১০ মাসে দায়েরকৃত মামলা, দেশে-বিদেশে থাকা স্থাবর – অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধের জন্য আদালত কর্তৃক আদেশপ্রাপ্ত হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি, বিভিন্ন জনের নামে সহস্রাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার স্থিতি, বিভিন্ন শেয়ার, ইউএস ডলার, ইউরো অবরুদ্ধ করার এই চিত্র পাওয়া গেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত মামলা ও সম্পদ জব্দের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক, ভাগিনা রেজোয়ান সিদ্দিক ববি রয়েছে।

পাচার সম্পদ ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান বাংলাদেশেরপাচার সম্পদ ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান বাংলাদেশের
শেখ হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ছয় সদস্যের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেয়াসহ রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অর্জিত সম্পদ ক্রোক ও তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট  আদালতের নির্দেশে অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

১০ মাসে ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবরুদ্ধ দুদকের

আপডেট টাইম : ০৭:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

গতবছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। টানা ১৬ বছর গণতন্ত্রের লেবাসে জগদ্দল পাথরের মতো স্বৈরশাসকের তকমা নিয়ে বসে থাকা একদলীয় ও একনায়কের পতন ও পলায়নের পর দুদক কর্মকর্তারাও যেন নড়েচড়ে বসেছেন।

তারা একের পর এক মামলার তদন্তে নেমে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, বিদেশে পাচার, একেকটি শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে ব্যাংকে শতাধিক হিসাবের লেনদেন, মানিলন্ডারিং, জমি, প্লট, মৎস্য ঘেরের নামে দুর্নীতির পাহাড় তৈরি, বিদেশে প্লট, ফ্ল্যাট দেখে রীতিমতো বোকা বনে যাচ্ছেন।

কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ‘দেশের মানচিত্রের খোলস আছে, ভেতরে সব খেয়ে সর্বনাশ করেছে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর’।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গত ১০ মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ১২৮টি কোর্ট আদেশের মাধ্যমে বিভিন্ন জনের নামে দেশে থাকা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করেছে।

এছাড়া বিদেশে থাকা প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ যেন আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারের হস্তগত করা যায় সেজন্য অবরুদ্ধ আদেশ নিয়ে রেখেছে।

দুদকের গত ১০ মাসের তথ্য বলছে, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের দোসর ও সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার এবং স্থাবর অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করে দুদক তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সফলতা দেখিয়েছে।

জুলাই অভ্যুত্থান ও পরবর্তী ২০২৪ এর আগস্টে পতিত সরকারের পটপরিবর্তনের পর থেকে গত ১০ মাসে দায়েরকৃত মামলা, দেশে-বিদেশে থাকা স্থাবর – অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধের জন্য আদালত কর্তৃক আদেশপ্রাপ্ত হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি, বিভিন্ন জনের নামে সহস্রাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার স্থিতি, বিভিন্ন শেয়ার, ইউএস ডলার, ইউরো অবরুদ্ধ করার এই চিত্র পাওয়া গেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত মামলা ও সম্পদ জব্দের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক, ভাগিনা রেজোয়ান সিদ্দিক ববি রয়েছে।

পাচার সম্পদ ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান বাংলাদেশেরপাচার সম্পদ ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান বাংলাদেশের
শেখ হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ছয় সদস্যের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেয়াসহ রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অর্জিত সম্পদ ক্রোক ও তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট  আদালতের নির্দেশে অবরুদ্ধ করা হয়েছে।