গত কিছুদিন ধরেই স্যোশাল মিডিয়ায় বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে চলতি বছরের সেলিব্রেটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০২৫ এ অংশগ্রহণ করা কতিপয় অভিনেত্রীর নানা রকম কথাবার্তা এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গি। এ নিয়ে তাদেরকে হতে হয়েছে লিগ্যাল নোটিশের মুখোমুখি। জাকির হোসেন নামে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী সম্প্রতি ৬ মডেল-অভিনেত্রী এবং ৩ নির্মাতাকে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে অভিনেত্রী-মডেল মারিয়া মিম বলেন, ‘প্র্যাকটিসে আমি কি পরে যাবো, সেটা তো আমার চয়েস। যখন মাঠে যাচ্ছি, তখন কিন্তু জার্সি পরেই যাচ্ছি। কিন্তু পার্সোনালি কোথায় কি পরে যাবো সেটা আমাদের পছন্দ। এখানে অশ্লীলতা ছড়ানোর কি আছে?’
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ অশ্লীলতা বলে যে ভিডিওগুলো ছড়িয়েছে সেগুলো ম্যাচ শুরুর আগে ওয়ার্ম আপ মুহূর্ত। যেগুলো কেউ মোবাইলে ধারণ করে ছড়িয়েছে।’
এসময় তিনি দাবি করেন, ‘আইনজীবী জাকির হোসেন ভাইরাল হতেই তাদেরকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। কারণ খেলা শেষে সে এই বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসছে। আমার মনে হয়, তার আসলে কাজ নেই। সে কারণেই এমনটা করেছে।’
এছাড়া মারিয়া মিম আক্ষেপ করে এবং প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন যে, ‘বোরখা পরে খেলার তো কোন সুযোগ নাই। এখন ওরা চাচ্ছে কি আমরা বোরখা পরে খেলবো? তাহলে আন্তর্জাতিক খেলোয়াররা সবাই যে ধরনের পোশাক পরে তা অন্য লেভেলের,আমরা তো তা পড়িনি বরং যথেষ্ট ভালো পোশাক পরেছি। সেখানে তো ভাইরাল হওয়ার কিছু দেখছি না।’
বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনরা নানা রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একজন ভক্ত লিখেছেন, সেলিব্রেটিরা যদি সেলিব্রেটিদের মতো জীবন-যাপন না করতে পারে, তাহলে সেলিব্রেটি হওয়ার কি দরকার,বরং বোরখা পরে ঘরে বসে থাকুক’। আরেকজন লিখেছেন, ‘ বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানানোর চিন্তা ভুলে যান,এখানে কোন কট্টরপন্থীর স্থান নেই।’ সানোয়ার নামে একজন লিখেছেন, আমি মারিয়া মিমের সাথে একমত, সম্ভবত ওই আইনজীবীর কোন কাজ নেই, তাই ভাইরাল হতে ফুঁটেজখোরের মতো ভন্ডামি শুরু করছে।’ এদিকে বাদশা নামে একজন লিখেছেন, ‘ এসব নোংরামি বন্ধ করতে হবে। শালীনভাবে চলতে পারলে চলেন না হলে দেশ থেকে দূর হোন’।