ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কে এই আয়েশা ফারুক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:০৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • ২৯ বার

৭ মে। ঘড়ির কাঁটা তখন মধ্যরাত ছুঁইছুঁই। ধোঁয়ায় ছেয়ে আছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের আকাশ। এরই মাঝে পাঞ্জাবের আকাশে রাডার ট্র্যাকিংয়ে ধরা পড়ে ভারতীয় একটি রাফাল যুদ্ধবিমান। সাথে সাথে সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে।

Wonder Women- Episode#6 //AYESHA FAROOQ (FIRST WOMEN FIGHTER  PILOT)||Biography|| - YouTube

পর মুহূর্তেই রাফায়ালটিকে লক্ষ্য করে চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান ১০-সি থান্ডার থেকে এইম-১২০-সি আমরাম ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে মারেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রথম নারী ফাইটার পাইলট আয়েশা ফারুক। একদম নিখুঁতভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি গিয়ে আঘাত হানে ২৮৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ভারতীয় যুদ্ধবিমানে। সেদিন কেবল ভারত নয়, রাফাল যুদ্ধবিমানের নির্মাতা ফ্রান্সের গর্বও ধুলায় লুটিয়ে দেন আয়েশা। ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো রাফাল বিধ্বস্ত হলো। আর এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষায় রচিত হলো এক নতুন অধ্যায়।

রাফালের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আয়েশা। এরপর থেকেই পাক বিমানবাহিনীর প্রথম এই নারী পাইলটকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী তৈরি হয়েছে কৌতূহল। সবারই প্রশ্ন কে এই আয়েশা? আয়েশার জন্ম পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবা হারান তিনি। এরপর অকূল পাথারে পড়ে পুরো পরিবার। শুরু হয় তাদের বেঁচে থাকার নতুন সংগ্রাম। ছোটবেলা থেকে এই লড়াইই আয়েশাকে একজন সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীনচেতা নারী হিসেবে গড়ে তোলে। রক্ষণশীল সমাজ ও আত্মীয়স্বজনের আপত্তি সত্যেও ফাইটার পাইলট হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। স্বপ্ন নিশানা করেন আকাশে, যুদ্ধবিমানের ককপিটে!

Pakistan's first female fighter pilot - Womentalk - Women talk online -  DW.COM

পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে প্রথমবারের মতো নারীদের অন্তর্ভুক্তি শুরু হয় ২০০৩ সালে। তবে আয়েশাই প্রথম নারী, যিনি যুদ্ধবিমান চালানোর দক্ষতা অর্জন করেন। পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে গত দশ বছরে মোট ১৯ জন নারী পাইলট হয়েছেন। এদের মাঝে মাত্র ৫ জন চালাতে পারেন ফাইটার জেট। এদের মাঝেই একমাত্র আয়েশাই যুদ্ধের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত। যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত পাকিস্তানের প্রথম নারী পাইলট হিসেবে পাঞ্জাবের মুশাফ বিমানঘাঁটিতে এক সাংবাদিককে আয়েশা বলেন, অন্যান্যদের থেকে তিনি ব্যাতিক্রম কিছু ভাবেন না। তবে ভূরাজনীতি ও সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে তিনি সদা প্রস্তুত।

আয়েশা ফারুকের কথায় স্পষ্ট, দেশকে রক্ষা করতে সবসময় সচেষ্ট তিনি। দেশের সেবায় এই নিবেদনই তাকে জায়গা করে দিয়েছে ইতিহাসের পাতায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কে এই আয়েশা ফারুক

আপডেট টাইম : ০৩:০৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

৭ মে। ঘড়ির কাঁটা তখন মধ্যরাত ছুঁইছুঁই। ধোঁয়ায় ছেয়ে আছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের আকাশ। এরই মাঝে পাঞ্জাবের আকাশে রাডার ট্র্যাকিংয়ে ধরা পড়ে ভারতীয় একটি রাফাল যুদ্ধবিমান। সাথে সাথে সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে।

Wonder Women- Episode#6 //AYESHA FAROOQ (FIRST WOMEN FIGHTER  PILOT)||Biography|| - YouTube

পর মুহূর্তেই রাফায়ালটিকে লক্ষ্য করে চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান ১০-সি থান্ডার থেকে এইম-১২০-সি আমরাম ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে মারেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রথম নারী ফাইটার পাইলট আয়েশা ফারুক। একদম নিখুঁতভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি গিয়ে আঘাত হানে ২৮৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ভারতীয় যুদ্ধবিমানে। সেদিন কেবল ভারত নয়, রাফাল যুদ্ধবিমানের নির্মাতা ফ্রান্সের গর্বও ধুলায় লুটিয়ে দেন আয়েশা। ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো রাফাল বিধ্বস্ত হলো। আর এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষায় রচিত হলো এক নতুন অধ্যায়।

রাফালের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আয়েশা। এরপর থেকেই পাক বিমানবাহিনীর প্রথম এই নারী পাইলটকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী তৈরি হয়েছে কৌতূহল। সবারই প্রশ্ন কে এই আয়েশা? আয়েশার জন্ম পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবা হারান তিনি। এরপর অকূল পাথারে পড়ে পুরো পরিবার। শুরু হয় তাদের বেঁচে থাকার নতুন সংগ্রাম। ছোটবেলা থেকে এই লড়াইই আয়েশাকে একজন সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীনচেতা নারী হিসেবে গড়ে তোলে। রক্ষণশীল সমাজ ও আত্মীয়স্বজনের আপত্তি সত্যেও ফাইটার পাইলট হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। স্বপ্ন নিশানা করেন আকাশে, যুদ্ধবিমানের ককপিটে!

Pakistan's first female fighter pilot - Womentalk - Women talk online -  DW.COM

পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে প্রথমবারের মতো নারীদের অন্তর্ভুক্তি শুরু হয় ২০০৩ সালে। তবে আয়েশাই প্রথম নারী, যিনি যুদ্ধবিমান চালানোর দক্ষতা অর্জন করেন। পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে গত দশ বছরে মোট ১৯ জন নারী পাইলট হয়েছেন। এদের মাঝে মাত্র ৫ জন চালাতে পারেন ফাইটার জেট। এদের মাঝেই একমাত্র আয়েশাই যুদ্ধের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত। যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত পাকিস্তানের প্রথম নারী পাইলট হিসেবে পাঞ্জাবের মুশাফ বিমানঘাঁটিতে এক সাংবাদিককে আয়েশা বলেন, অন্যান্যদের থেকে তিনি ব্যাতিক্রম কিছু ভাবেন না। তবে ভূরাজনীতি ও সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে তিনি সদা প্রস্তুত।

আয়েশা ফারুকের কথায় স্পষ্ট, দেশকে রক্ষা করতে সবসময় সচেষ্ট তিনি। দেশের সেবায় এই নিবেদনই তাকে জায়গা করে দিয়েছে ইতিহাসের পাতায়।