ঢাকা ০৫:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসা পেশায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নায়লা নাঈম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • ৩৪ বার
নায়লা নাঈম তুমুলভাবে আলোচনায় আসেন ২০১৩ সালের শেষভাগে। সামাজিক মাধ্যমের আলোচিত ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। শোবিজে নায়লার গুরুত্ব বেড়ে যায়। কাজের সময়ের পরিধি বাড়তে থাকে।

বিজ্ঞাপন, গানের মডেল নাটক—সমানভাবে চলতে থাকে।গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করে শোবিজে অভিষেক ঘটে নায়লা নাঈমের। এরপর পোশাকের মডেল হিসেবে দীর্ঘ সময় কাজ করেন।

তন্ময় তানসেন রানআউট নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

এতে একটি আইটেম গানে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। পরে তিনি কাজী হায়াত পরিচালিত ‘মারুফ টাকা ধরে না’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। নায়লা নাঈমের গুরুত্ব চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু করোনা-পরবর্তী সময়ে আলোচিত এই মডেলকে সেভাবে আর দেখা যায়নি।
ফেসবুক প্রফাইলের নাম পরিবর্তন করে ফেলেছেন তিনি। তবে যে ভেরিফায়েড পেজের মাধ্যমে আলোচনায় ছিলেন, সেটি এখনো একই নামে আছে। কিন্তু তার টাইমলাইন ধরে এগোলে দেখা যাবে কোনো মডেলের ফেসবুক পেজ নয়, যেন শৌখিন কোনো ব্যক্তি চালান এটি।নায়লা নাঈম জানালেন, ব্যক্তিগত ঝামেলায় শোবিজ দুনিয়া থেকে সরে আছেন। একেবারে পারিবারিক কিছু জটিলতার কারণে নেই অন্তরাল।

বিয়ে করেছেন কি না, কেননা এক যুবকের সঙ্গে তাকে দেখা যেত সামাজিক মাধ্যমে জানতে চাইলে নায়লা নাঈম যে উত্তর দিলেন তার অর্থ হ্যাঁ-ও হতে পারে না-ও হতে পারে।ন্তরালে অন্তর্ধান কত দিন চলবে এই প্রশ্ন করলে নায়লা বললেন, ‘কই, আমি তো হারাইনি। আপনি কি আমাকে পাননি?’ আসলেই নায়লা নাঈমকে খুঁজে পেয়েছি, তবে আগে যেভাবে পাওয়া যেত, সেভাবে নয়। একাধিক দিন যোগাযোগের পর পাওয়া গেছে। বললেন, ‘আমি এখন চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত। আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে আমি একজন দন্তচিকিৎসক। আগে খিলগাঁওয়ে আমার নিজের চেম্বার ছিল, এখন বনশ্রীতেও একটি চেম্বারে বসি। বুঝতেই পারছেন আমার ব্যস্ততা কোন দিকে বেড়েছে।’

ক্যামেরার সামনে থেকে সরে রোগীর দিকে মনোযোগ বাড়লেও কমেনি কুকুর-বিড়ালদের প্রতি মনোযোগ। পরিষ্কার করেই বলা যাক। নায়লা নাঈম আফতাবনগরের যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, সেখানে অন্য ভাড়াটে বা ফ্ল্যাট মালিকরা নায়লার সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা করতেন। কেননা অনেক বিড়াল পুষতেন তিনি। আফতাবনগরের সব কুকুরকে খাওয়াতেন নায়লা। খাওয়াতেন বলা হচ্ছে এ কারণেই যে, তিনি এখন চলে গেছেন বনশ্রীতে। তাই বলে কুকুর-বিড়ালদের খাওয়ানো বা রেসকিউ করা এখনো থেমে যায়নি। আফতাবনগরে অন্য একজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন, আর তিনি বনশ্রী, খিলগাঁও এলাকায়। নায়লা বললেন, ‘ওরা তো আমার স্বজন, কুকুর-বিড়ালদের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার উপায় নেই।’

শোবিজে ফেরা? শিগগিরই হচ্ছে না। কিংবা নায়লা নাঈম নিজেও বলতে পারছেন না। ফিরে গেলেন শুরুর কথায়। বললেন, ‘প্রথমেই বললাম, পারিবারিক কিছু জটিলতা চলছে। সেসবের পর দেখা যাক।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চিকিৎসা পেশায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নায়লা নাঈম

আপডেট টাইম : ০৬:১২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
নায়লা নাঈম তুমুলভাবে আলোচনায় আসেন ২০১৩ সালের শেষভাগে। সামাজিক মাধ্যমের আলোচিত ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। শোবিজে নায়লার গুরুত্ব বেড়ে যায়। কাজের সময়ের পরিধি বাড়তে থাকে।

বিজ্ঞাপন, গানের মডেল নাটক—সমানভাবে চলতে থাকে।গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করে শোবিজে অভিষেক ঘটে নায়লা নাঈমের। এরপর পোশাকের মডেল হিসেবে দীর্ঘ সময় কাজ করেন।

তন্ময় তানসেন রানআউট নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

এতে একটি আইটেম গানে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। পরে তিনি কাজী হায়াত পরিচালিত ‘মারুফ টাকা ধরে না’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। নায়লা নাঈমের গুরুত্ব চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু করোনা-পরবর্তী সময়ে আলোচিত এই মডেলকে সেভাবে আর দেখা যায়নি।
ফেসবুক প্রফাইলের নাম পরিবর্তন করে ফেলেছেন তিনি। তবে যে ভেরিফায়েড পেজের মাধ্যমে আলোচনায় ছিলেন, সেটি এখনো একই নামে আছে। কিন্তু তার টাইমলাইন ধরে এগোলে দেখা যাবে কোনো মডেলের ফেসবুক পেজ নয়, যেন শৌখিন কোনো ব্যক্তি চালান এটি।নায়লা নাঈম জানালেন, ব্যক্তিগত ঝামেলায় শোবিজ দুনিয়া থেকে সরে আছেন। একেবারে পারিবারিক কিছু জটিলতার কারণে নেই অন্তরাল।

বিয়ে করেছেন কি না, কেননা এক যুবকের সঙ্গে তাকে দেখা যেত সামাজিক মাধ্যমে জানতে চাইলে নায়লা নাঈম যে উত্তর দিলেন তার অর্থ হ্যাঁ-ও হতে পারে না-ও হতে পারে।ন্তরালে অন্তর্ধান কত দিন চলবে এই প্রশ্ন করলে নায়লা বললেন, ‘কই, আমি তো হারাইনি। আপনি কি আমাকে পাননি?’ আসলেই নায়লা নাঈমকে খুঁজে পেয়েছি, তবে আগে যেভাবে পাওয়া যেত, সেভাবে নয়। একাধিক দিন যোগাযোগের পর পাওয়া গেছে। বললেন, ‘আমি এখন চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত। আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে আমি একজন দন্তচিকিৎসক। আগে খিলগাঁওয়ে আমার নিজের চেম্বার ছিল, এখন বনশ্রীতেও একটি চেম্বারে বসি। বুঝতেই পারছেন আমার ব্যস্ততা কোন দিকে বেড়েছে।’

ক্যামেরার সামনে থেকে সরে রোগীর দিকে মনোযোগ বাড়লেও কমেনি কুকুর-বিড়ালদের প্রতি মনোযোগ। পরিষ্কার করেই বলা যাক। নায়লা নাঈম আফতাবনগরের যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, সেখানে অন্য ভাড়াটে বা ফ্ল্যাট মালিকরা নায়লার সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা করতেন। কেননা অনেক বিড়াল পুষতেন তিনি। আফতাবনগরের সব কুকুরকে খাওয়াতেন নায়লা। খাওয়াতেন বলা হচ্ছে এ কারণেই যে, তিনি এখন চলে গেছেন বনশ্রীতে। তাই বলে কুকুর-বিড়ালদের খাওয়ানো বা রেসকিউ করা এখনো থেমে যায়নি। আফতাবনগরে অন্য একজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন, আর তিনি বনশ্রী, খিলগাঁও এলাকায়। নায়লা বললেন, ‘ওরা তো আমার স্বজন, কুকুর-বিড়ালদের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার উপায় নেই।’

শোবিজে ফেরা? শিগগিরই হচ্ছে না। কিংবা নায়লা নাঈম নিজেও বলতে পারছেন না। ফিরে গেলেন শুরুর কথায়। বললেন, ‘প্রথমেই বললাম, পারিবারিক কিছু জটিলতা চলছে। সেসবের পর দেখা যাক।’