ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট জেট ফুয়েলের মূল্য হ্রাসে কমবে উড়োজাহাজ ভাড়া আমার সোনার বাংলা’ যেভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হলো মাহফুজ ভাইয়ের সঙ্গে যা ঘটলো, তাতে হতাশ হয়েছি: আসিফ মাহমুদ আমি কখনই ক্রিকেট খেলা শিখিনি, এখন চেষ্টা করছি: তিশা মাদক-অপকর্মের আখড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আগেভাগেই ঢাকায় আসবেন হামজা উপদেষ্টা মাহফুজকে লাঞ্ছিত করায় হাসনাতের ক্ষোভ জনদাবির মুখে ছাত্র উপদেষ্টাদের ঠেলে দেওয়ার আচরণ সন্দেহজনক বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শওকত ওসমানের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা বৃষ্টিতে ভিজে শাহবাগে আন্দোলন করছেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা ইউক্রেন যুদ্ধ তুরস্কে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান ট্রাম্প

সাকিবকে আগেই সতর্ক করেছিলেন মেজর হাফিজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • ২৪ বার

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পতনের পর থেকেই বেকায়দায় সাকিব আল হাসান। ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থানের পর আর দেশে আসতে পারেননি এই ক্রিকেট তারকা। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ায়ই এমন বেকায়দায় পড়েছেন তিনি। ২০২৪ সালের নির্বাচনেই মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন সাকিব।

অথচ, দেশসেরা এই ক্রিকেটারকে আগেই রাজনীতিতে না জড়াতে পরামর্শ দিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। অন্তত আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। রাজনীতিতে যোগ না দিলে সাকিব এখন সম্মানের সঙ্গে ঢাকার রাজপথে বিচরণ করতেন বলেও মনে করেন তিনি।

আজ শনিবার ক্রীড়া সংগঠকদের নতুন সংগঠন বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এসব মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা ও সাবেক ফুটবলার মেজর হাফিজ। একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তামিম ইকবাল আর সাবেক ফুটবলার ও বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলামও।

সেই সময়ের কথা মনে করে আজ মেজর হাফিজ বলেন, ‘সাকিব আল হাসান আমার বাসায় এসেছিলেন একদিন। আমার পরিচিত সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা তাকে আমার বাসায় নিয়ে এসেছিলেন। অনেক কথাবার্তার এক ফাঁকে তাকে একটা উপদেশ দিয়েছিলাম, যেটি সে গ্রহণ না করে বিপদে পড়েছে। তাকে বলেছিলাম, যা করো না করো আওয়ামী লীগ কখনো করবা না। সে এটা শুনে একটু বিমর্ষ হলো। তার ধারণা সে আওয়ামী লীগে গেলে মন্ত্রী হবে, অনেক কিছু হবে।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘তাকে বলেছিলাম, জাতীয় দলে খেলা অবস্থায় রাজনীতিতে যোগ দেয়া এটি ঠিক আমার মনঃপুত হচ্ছে না। তোমার অনেক নাম রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে তোমাকে দেখছি। তুমি রাজনীতিতে এখন যেও না। আর গেলেও এ দলটির (আওয়ামী লীগের) বেশিদিন আয়ু নেই। সে চুপচাপ থেকে খানিকক্ষণ পর চলে গেল। যদি সে আমার কথা শুনতো, এ ধরনের রাজনীতিতে না যেত। আজকে সে অনেক সম্মানের সঙ্গে ঢাকার রাজপথে বিচরণ করতে পারতো। এখন তো তার বাড়ি আসাই মুশকিল হবে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুট জেট ফুয়েলের মূল্য হ্রাসে কমবে উড়োজাহাজ ভাড়া

সাকিবকে আগেই সতর্ক করেছিলেন মেজর হাফিজ

আপডেট টাইম : ১১:৪০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পতনের পর থেকেই বেকায়দায় সাকিব আল হাসান। ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থানের পর আর দেশে আসতে পারেননি এই ক্রিকেট তারকা। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ায়ই এমন বেকায়দায় পড়েছেন তিনি। ২০২৪ সালের নির্বাচনেই মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন সাকিব।

অথচ, দেশসেরা এই ক্রিকেটারকে আগেই রাজনীতিতে না জড়াতে পরামর্শ দিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। অন্তত আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। রাজনীতিতে যোগ না দিলে সাকিব এখন সম্মানের সঙ্গে ঢাকার রাজপথে বিচরণ করতেন বলেও মনে করেন তিনি।

আজ শনিবার ক্রীড়া সংগঠকদের নতুন সংগঠন বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এসব মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা ও সাবেক ফুটবলার মেজর হাফিজ। একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তামিম ইকবাল আর সাবেক ফুটবলার ও বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলামও।

সেই সময়ের কথা মনে করে আজ মেজর হাফিজ বলেন, ‘সাকিব আল হাসান আমার বাসায় এসেছিলেন একদিন। আমার পরিচিত সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা তাকে আমার বাসায় নিয়ে এসেছিলেন। অনেক কথাবার্তার এক ফাঁকে তাকে একটা উপদেশ দিয়েছিলাম, যেটি সে গ্রহণ না করে বিপদে পড়েছে। তাকে বলেছিলাম, যা করো না করো আওয়ামী লীগ কখনো করবা না। সে এটা শুনে একটু বিমর্ষ হলো। তার ধারণা সে আওয়ামী লীগে গেলে মন্ত্রী হবে, অনেক কিছু হবে।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘তাকে বলেছিলাম, জাতীয় দলে খেলা অবস্থায় রাজনীতিতে যোগ দেয়া এটি ঠিক আমার মনঃপুত হচ্ছে না। তোমার অনেক নাম রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে তোমাকে দেখছি। তুমি রাজনীতিতে এখন যেও না। আর গেলেও এ দলটির (আওয়ামী লীগের) বেশিদিন আয়ু নেই। সে চুপচাপ থেকে খানিকক্ষণ পর চলে গেল। যদি সে আমার কথা শুনতো, এ ধরনের রাজনীতিতে না যেত। আজকে সে অনেক সম্মানের সঙ্গে ঢাকার রাজপথে বিচরণ করতে পারতো। এখন তো তার বাড়ি আসাই মুশকিল হবে।’