টিপ কাণ্ডে ড. লতা সমাদ্দার ছাড়াও শোবিজ অঙ্গনের ১৬ জন তারকাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল নাজমুল তারেক। তিন বছর আগে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় ঘটে যাওয়া বহুচর্চিত ‘টিপ–কাণ্ড’ নতুন মোড় নিয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে দায়ের করা এই মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি)।
মামলার পটভূমি
২০২২ সালের এপ্রিল। তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দার ফার্মগেটে এক কনস্টেবলের দ্বারা টিপ পরার কারণে হেনস্তার শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় অভিযুক্ত নাজমুল তারেককে বরখাস্ত করা হয় এবং পরে চাকরিচ্যুত হন তিনি। সেই সময় বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। শোবিজের অনেক তারকাই তখন ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হন।
তবে নাজমুল তারেক বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন। তাঁর ভাষায়, কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যা তাঁর পেশাগত ও সামাজিক জীবনে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।
মামলা ও অভিযুক্ত তারকারা
নাজমুল তারেক তাঁর মামলায় দাবি করেছেন, তাঁকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও বক্তব্য ছড়ানো হয়েছে। এতে তাঁর মানহানি হয়েছে।
এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সুবর্ণা মোস্তফা। আরও রয়েছেন—
আনিসুর রহমান মিলন, সাজু খাদেম, প্রাণ রায়, সায়মন সাদিক, মনোজ প্রামাণিক, স্বাধীন খসরু, চয়নিকা চৌধুরী, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, দেবী সানু, নাজনীন নাহার চুমকি, সুষমা সরকার ও কুসুম সিকদার। এছাড়া মামলার প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ড. লতা সমাদ্দারকে। অপর আসামি তাঁর স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় মালা।
জানা যায়, চাকরিচ্যুতির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে নাজমুল তারেক বর্তমানে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। পাশাপাশি চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরে।